বাকৃবি প্রতিনিধি
ইউজিসি স্বর্ণপদক ২০১৮ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এবং মেরিন ফিশারিজ সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. সাদিকুল ইসলাম। উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা ও প্রকাশনায় অনবদ্য অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তাঁদের এ সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত দুই শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে বন, কৃষি ও পরিবেশ এবং জীববিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইউজিসি স্বর্ণপদকের জন্য আবেদন করেন ড. শাহজাহান এবং ড. সাদিকুল। বাছায় প্রক্রিয়া শেষে আজ ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়।
ড. মো. শাহজাহান ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট জামালপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার মো. ইউনুছ আলী মণ্ডল এবং মাতা মোছা. লতিফা খাতুন। তিনি ১৯৯০ সালে এসএসসি ও ১৯৯২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএসসি ফিশারিজ (অনার্স) ও এমএস ইন ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. শাহজাহান ২০০১ সালে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ফিশারিজ কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। ২০১০ সালে জাপানের কিউসু বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনবুশো বৃত্তির মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপান সরকারের JSPS অর্থায়নে নিগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক জার্নালে অনেকগুলো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তাঁর গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউজিসি পদক-২০১৩, BAS-স্বর্ণপদক-২০১৫ ইত্যাদি পদকে ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর অধীনে পিএইচডি পর্যায়ে ৪ জন ও MS পর্যায়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী গবেষণা পরিচালনা করছেন।
অন্যদিকে, ড. মো. সাদিকুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে গাইবান্ধা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. নুরুল হোসেন সরকার এবং মাতা শাহরে বানু। তিনি ১৯৮৭ সালে এসএসসি ও ১৯৮৯ সালে ১ম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএসসি ফিশারিজ (অনার্স) ও এমএস ইন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৮ সালে তিনি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাকৃবিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০০৬ সালে তিনি জাপানের কেইও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং ২০০৮-১০ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ইউজিসি বৃত্তি বিএসসি ফিশারিজ-১৯৯২ এবং জিন্নাই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ অর্জন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্বাচনী কমিটি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. সাদিকুল। বর্তমানে তাঁর অধীনে পিএইচডি পর্যায়ে ৮ জন ও মাস্টার্স পর্যায়ে ৭ জন শিক্ষার্থী গবেষণা কার্য পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে ড. শাহজাহান বলেন, ‘আমার ভালো লাগা থেকেই আমি গবেষণা করে থাকি। এর আগেও আমি গবেষণার জন্য সম্মাননা পেয়েছি। গবেষণার বিষয়বস্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ড. সাদিকুল বলেন, ‘সত্যিই এটি আনন্দের বিষয়। একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করা আমার দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক গবেষণায় আগ্রহ বৃদ্ধি করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো অবস্থান অর্জন করবে।’
ইউজিসি স্বর্ণপদক ২০১৮ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এবং মেরিন ফিশারিজ সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. সাদিকুল ইসলাম। উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা ও প্রকাশনায় অনবদ্য অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তাঁদের এ সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত দুই শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে বন, কৃষি ও পরিবেশ এবং জীববিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইউজিসি স্বর্ণপদকের জন্য আবেদন করেন ড. শাহজাহান এবং ড. সাদিকুল। বাছায় প্রক্রিয়া শেষে আজ ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়।
ড. মো. শাহজাহান ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট জামালপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার মো. ইউনুছ আলী মণ্ডল এবং মাতা মোছা. লতিফা খাতুন। তিনি ১৯৯০ সালে এসএসসি ও ১৯৯২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএসসি ফিশারিজ (অনার্স) ও এমএস ইন ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. শাহজাহান ২০০১ সালে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ফিশারিজ কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। ২০১০ সালে জাপানের কিউসু বিশ্ববিদ্যালয় হতে মনবুশো বৃত্তির মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপান সরকারের JSPS অর্থায়নে নিগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক জার্নালে অনেকগুলো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তাঁর গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউজিসি পদক-২০১৩, BAS-স্বর্ণপদক-২০১৫ ইত্যাদি পদকে ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর অধীনে পিএইচডি পর্যায়ে ৪ জন ও MS পর্যায়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী গবেষণা পরিচালনা করছেন।
অন্যদিকে, ড. মো. সাদিকুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে গাইবান্ধা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. নুরুল হোসেন সরকার এবং মাতা শাহরে বানু। তিনি ১৯৮৭ সালে এসএসসি ও ১৯৮৯ সালে ১ম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএসসি ফিশারিজ (অনার্স) ও এমএস ইন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৮ সালে তিনি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাকৃবিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০০৬ সালে তিনি জাপানের কেইও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং ২০০৮-১০ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ইউজিসি বৃত্তি বিএসসি ফিশারিজ-১৯৯২ এবং জিন্নাই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ অর্জন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্বাচনী কমিটি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. সাদিকুল। বর্তমানে তাঁর অধীনে পিএইচডি পর্যায়ে ৮ জন ও মাস্টার্স পর্যায়ে ৭ জন শিক্ষার্থী গবেষণা কার্য পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে ড. শাহজাহান বলেন, ‘আমার ভালো লাগা থেকেই আমি গবেষণা করে থাকি। এর আগেও আমি গবেষণার জন্য সম্মাননা পেয়েছি। গবেষণার বিষয়বস্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ড. সাদিকুল বলেন, ‘সত্যিই এটি আনন্দের বিষয়। একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করা আমার দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক গবেষণায় আগ্রহ বৃদ্ধি করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো অবস্থান অর্জন করবে।’
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
১৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
১ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
২ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে