এই বইতে লেখক গুরুত্বপূর্ণ কাজকে রূপক অর্থে ব্যাঙ খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ, ব্যাঙ খাওয়া যেমন কঠিন ও বিরক্তিকর, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করাও কঠিন। শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজটি সম্পন্ন করতে পারলে সহজ বা পছন্দের কাজ করতে সমস্যা হয় না। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে সব কাজ সহজে সম্পন্ন হয়। এভাবে কাজ করলে কোনো কাজ জমা পড়ে থাকে না। তাই সবার আগে ব্যাঙগুলো তথা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আর সেগুলো দিনের শুরুতে করতে হবে। কোনো গড়িমসি করা যাবে না। বইটিতে গড়িমসি করাকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
লক্ষ্য নির্ধারণ হোক স্পষ্ট
সফলতার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। সেই লক্ষ্য হতে হবে খুবই স্পষ্ট এবং বাস্তবায়নযোগ্য। লক্ষ্য স্পষ্ট থাকলে কাজ করার ক্ষেত্রে কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। ব্রায়ান ট্রেসি পাঠকদের লক্ষ্যগুলো লিখে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য দিকনির্দেশনার আলোকে মনোযোগের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অগ্রাধিকার দিন কাজকে
আমাদের সব কাজ সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই কাজগুলোকে এ, বি, সি ও ডি পদ্ধতিতে শ্রেণিবদ্ধ করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ শ্রেণিতে, এরপরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বি শ্রেণিতে, মাঝারি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সি এবং সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ডি শ্রেণিতে রেখে সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে এ শ্রেণির কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে বি, সি এবং ডি শ্রেণির কাজ শেষ করতে হবে।
আগের রাতে হোক দিনের পরিকল্পনা
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলোর পরিকল্পনা আগের রাতে করে ফেলতে হবে। তাহলে নতুন দিনের শুরুতে আপনি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। কোন কাজ দিনের প্রথমে শুরু করতে হবে, সেটা আপনি জানবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এতে সময় নষ্ট হবে না। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজও বাদ পড়বে না।
কাজে নেমে পড়ুন
শুধু স্বপ্ন দেখে আর পরিকল্পনা করে বসে থাকলে সফলতা আসবে না। সফলতার জন্য লেখক বইয়ে কাজে নেমে পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আপনি কাজ না করে যত গড়িমসি করবেন, ততই আপনার মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা ভর করবে। ফলে কাজগুলো করা হয়ে উঠবে না। তাই যত কঠিন মনে হোক না কেন, কাজ শুরু করতে হবে; তবেই সফলতা আসবে।
আত্মশৃঙ্খলা বাড়ান
কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনার জন্য আত্মশৃঙ্খলা বাড়ানো অপরিহার্য। ব্রায়ান ট্রেসি পাঠকদের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করতে বলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ যত বোরিং হোক না কেন, তা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করেছেন।
বিভ্রান্তি দূর করুন
কাজ করার ক্ষেত্রে নানা বিভ্রান্তি আসে, যেমন পড়তে বসলে মোবাইল টিপতে মন চায়। কাজের ক্ষেত্রে যত বিভ্রান্তি আছে, সব দূর করে কাজে মনোনিবেশ করলে ভালো ফল আশা করা যায়।
প্রযুক্তিকে বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করুন
উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি কাজে লাগান। তবে এর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়া এড়িয়ে চলুন। কাজ করার সময় প্রয়োজনে
প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং অ্যাপস ব্যবহার করুন। কিন্তু যেসব প্রযুক্তি এবং অ্যাপস কাজে বিভ্রান্তি ঘটায়, সেগুলো দূরে রাখতে হবে; যেমন পড়াশোনার সময় মোবাইল।
নিজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন
শুধু কাজ করলে হবে না, নিয়মিত নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে। যথাযথ অগ্রগতি না হলে কাজের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। কেননা জীবনে সফলতা শুধু পরিশ্রম করলে যদি পাওয়া যেত, তাহলে গাধা হতো বনের রাজা। তাই কাজের পরিশ্রমের পাশাপাশি কৌশলী হতে হবে। প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে একই কাজ নতুনভাবে বা একই স্থান থেকে শুরু করা যেতে পারে।
এই বইতে লেখক গুরুত্বপূর্ণ কাজকে রূপক অর্থে ব্যাঙ খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ, ব্যাঙ খাওয়া যেমন কঠিন ও বিরক্তিকর, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করাও কঠিন। শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজটি সম্পন্ন করতে পারলে সহজ বা পছন্দের কাজ করতে সমস্যা হয় না। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে সব কাজ সহজে সম্পন্ন হয়। এভাবে কাজ করলে কোনো কাজ জমা পড়ে থাকে না। তাই সবার আগে ব্যাঙগুলো তথা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আর সেগুলো দিনের শুরুতে করতে হবে। কোনো গড়িমসি করা যাবে না। বইটিতে গড়িমসি করাকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
লক্ষ্য নির্ধারণ হোক স্পষ্ট
সফলতার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। সেই লক্ষ্য হতে হবে খুবই স্পষ্ট এবং বাস্তবায়নযোগ্য। লক্ষ্য স্পষ্ট থাকলে কাজ করার ক্ষেত্রে কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। ব্রায়ান ট্রেসি পাঠকদের লক্ষ্যগুলো লিখে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য দিকনির্দেশনার আলোকে মনোযোগের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অগ্রাধিকার দিন কাজকে
আমাদের সব কাজ সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই কাজগুলোকে এ, বি, সি ও ডি পদ্ধতিতে শ্রেণিবদ্ধ করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ শ্রেণিতে, এরপরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বি শ্রেণিতে, মাঝারি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সি এবং সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ডি শ্রেণিতে রেখে সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে এ শ্রেণির কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে বি, সি এবং ডি শ্রেণির কাজ শেষ করতে হবে।
আগের রাতে হোক দিনের পরিকল্পনা
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলোর পরিকল্পনা আগের রাতে করে ফেলতে হবে। তাহলে নতুন দিনের শুরুতে আপনি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। কোন কাজ দিনের প্রথমে শুরু করতে হবে, সেটা আপনি জানবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এতে সময় নষ্ট হবে না। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজও বাদ পড়বে না।
কাজে নেমে পড়ুন
শুধু স্বপ্ন দেখে আর পরিকল্পনা করে বসে থাকলে সফলতা আসবে না। সফলতার জন্য লেখক বইয়ে কাজে নেমে পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আপনি কাজ না করে যত গড়িমসি করবেন, ততই আপনার মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা ভর করবে। ফলে কাজগুলো করা হয়ে উঠবে না। তাই যত কঠিন মনে হোক না কেন, কাজ শুরু করতে হবে; তবেই সফলতা আসবে।
আত্মশৃঙ্খলা বাড়ান
কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনার জন্য আত্মশৃঙ্খলা বাড়ানো অপরিহার্য। ব্রায়ান ট্রেসি পাঠকদের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করতে বলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ যত বোরিং হোক না কেন, তা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করেছেন।
বিভ্রান্তি দূর করুন
কাজ করার ক্ষেত্রে নানা বিভ্রান্তি আসে, যেমন পড়তে বসলে মোবাইল টিপতে মন চায়। কাজের ক্ষেত্রে যত বিভ্রান্তি আছে, সব দূর করে কাজে মনোনিবেশ করলে ভালো ফল আশা করা যায়।
প্রযুক্তিকে বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করুন
উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি কাজে লাগান। তবে এর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়া এড়িয়ে চলুন। কাজ করার সময় প্রয়োজনে
প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং অ্যাপস ব্যবহার করুন। কিন্তু যেসব প্রযুক্তি এবং অ্যাপস কাজে বিভ্রান্তি ঘটায়, সেগুলো দূরে রাখতে হবে; যেমন পড়াশোনার সময় মোবাইল।
নিজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন
শুধু কাজ করলে হবে না, নিয়মিত নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে। যথাযথ অগ্রগতি না হলে কাজের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। কেননা জীবনে সফলতা শুধু পরিশ্রম করলে যদি পাওয়া যেত, তাহলে গাধা হতো বনের রাজা। তাই কাজের পরিশ্রমের পাশাপাশি কৌশলী হতে হবে। প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে একই কাজ নতুনভাবে বা একই স্থান থেকে শুরু করা যেতে পারে।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
৯ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
৯ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
৯ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে