নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ শেষ হচ্ছে। তবে ঘোষণার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে সঠিক উপায়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং কোন শিক্ষার্থীর কোন দিন কত দিন ধরে ক্লাস হবে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনাসহ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই পরিকল্পনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা আসার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করার তোড়জোড় চলছে। এখন মূল চ্যালেঞ্জ, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলোকে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা। বিশেষ করে গ্রামের অনেক স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘ বন্ধে এসব স্কুলের শ্রেণিকক্ষ কোথাও গোয়ালঘর আবার কোথাও ঠিকাদারের সরঞ্জাম রাখার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে মাউশি বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করণীয় ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো চলতি সপ্তাহের মধ্যে স্কুল-কলেজগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নির্দেশনাগুলো ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা তদারকির দায়িত্বে থাকবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বিদ্যালয়ের প্রস্তুতির বিষয়ে পুরান ঢাকার পগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত আছি। প্রতি বেঞ্চে দুজন করে হলেও আমাদের মোট ৩৩টি শ্রেণিকক্ষে ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী ক্লাস করার মতো ধারণ ক্ষমতা আছে। আশা করি স্কুল খুলে দিলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
এর একেবারে ভিন্ন চিত্র নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। সেখানকার শ্রীমন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গোয়ালে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা স্কুলে নেই। এ সুযোগে স্কুলটির ভেতরে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে বেঞ্চ সরিয়ে সিমেন্ট, লোহার জিনিসপত্রসহ নির্মাণের সরঞ্জামাদি রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের অপর কক্ষে বাস করছেন একজন ঠিকাদার। শুধু এ দুই বিদ্যালয়ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের অবস্থা জরাজীর্ণ। কোথাও আবর্জনায় একাকার। কোথাও পলেস্তারা খসে পড়েছে।
তবে দেশের বেশির ভাগ স্থানে শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের উপযোগী করতে শুরু হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ।
এদিকে নির্দেশনা না আসলেও ক্লাস শুরু করেছে যশোরের মনিরামপুরের একটি স্কুল। উপজেলার মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলে ক্লাস চালু করা হয়। গতকাল শনিবার সকালে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা মিত্র বলেন, ‘আশপাশের দুটো স্কুলে ক্লাস চালু হয়েছে শুনে বৃহস্পতিবার থেকে আমরা ক্লাস চালু করেছি।’
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে আরও দেখা গেছে, ঘোষণা না দিয়ে দেশের অনেক স্কুলেই নিয়মিত পাঠদান হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্লাস শুরুর পর সরকারি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে স্কুল দেখতে।
তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সবাই একসঙ্গে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন না। গতকাল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে স্কুল-কলেজ খোলার সম্পূর্ণ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সরকার চাইলে যেকোনো সময় স্কুল খুলে দিতে পারে।
স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ শেষ হচ্ছে। তবে ঘোষণার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে সঠিক উপায়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং কোন শিক্ষার্থীর কোন দিন কত দিন ধরে ক্লাস হবে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনাসহ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই পরিকল্পনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা আসার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করার তোড়জোড় চলছে। এখন মূল চ্যালেঞ্জ, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলোকে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা। বিশেষ করে গ্রামের অনেক স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘ বন্ধে এসব স্কুলের শ্রেণিকক্ষ কোথাও গোয়ালঘর আবার কোথাও ঠিকাদারের সরঞ্জাম রাখার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে মাউশি বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করণীয় ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো চলতি সপ্তাহের মধ্যে স্কুল-কলেজগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নির্দেশনাগুলো ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা তদারকির দায়িত্বে থাকবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বিদ্যালয়ের প্রস্তুতির বিষয়ে পুরান ঢাকার পগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত আছি। প্রতি বেঞ্চে দুজন করে হলেও আমাদের মোট ৩৩টি শ্রেণিকক্ষে ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী ক্লাস করার মতো ধারণ ক্ষমতা আছে। আশা করি স্কুল খুলে দিলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
এর একেবারে ভিন্ন চিত্র নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। সেখানকার শ্রীমন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গোয়ালে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা স্কুলে নেই। এ সুযোগে স্কুলটির ভেতরে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে বেঞ্চ সরিয়ে সিমেন্ট, লোহার জিনিসপত্রসহ নির্মাণের সরঞ্জামাদি রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের অপর কক্ষে বাস করছেন একজন ঠিকাদার। শুধু এ দুই বিদ্যালয়ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের অবস্থা জরাজীর্ণ। কোথাও আবর্জনায় একাকার। কোথাও পলেস্তারা খসে পড়েছে।
তবে দেশের বেশির ভাগ স্থানে শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের উপযোগী করতে শুরু হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ।
এদিকে নির্দেশনা না আসলেও ক্লাস শুরু করেছে যশোরের মনিরামপুরের একটি স্কুল। উপজেলার মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলে ক্লাস চালু করা হয়। গতকাল শনিবার সকালে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা মিত্র বলেন, ‘আশপাশের দুটো স্কুলে ক্লাস চালু হয়েছে শুনে বৃহস্পতিবার থেকে আমরা ক্লাস চালু করেছি।’
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে আরও দেখা গেছে, ঘোষণা না দিয়ে দেশের অনেক স্কুলেই নিয়মিত পাঠদান হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্লাস শুরুর পর সরকারি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে স্কুল দেখতে।
তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সবাই একসঙ্গে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন না। গতকাল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে স্কুল-কলেজ খোলার সম্পূর্ণ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সরকার চাইলে যেকোনো সময় স্কুল খুলে দিতে পারে।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
১২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
১৪ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে