ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাধীনতার আগে–পরে সব ইতিবাচক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে অনেক সংগ্রাম জড়িত। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরালো হতে থাকে। ১৯২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানার জন্য। বাঙালি নাগরিক সমাজের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দীর্ঘ বোঝাপড়ার ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গভঙ্গ রদের অল্প কিছুদিন পরেই ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সময়টি ছিল ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ১৯১২ সালের ২৭ মে নাথান কমিশন গঠিত হয়। ১৯১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। এর পরে বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। এর পরেও বাঙালি নাগরিক সমাজ বসে থাকেনি। তারা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাতে থাকে। ১৯১৭ সালে স্যাডলার কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপ তৈরি হয়ে যায়। অবশেষে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯২০’ পাস হয়। ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এই বিলে সম্মতি প্রদান করেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব সন্দেহের অবসান ঘটে। এই আইনকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইনটি বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর লিখিত 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা' বইয়ে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতার কারণে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এত উৎসাহ-আয়োজন দেখালেও লর্ড হার্ডিঞ্জের প্রস্তাবের পর পূর্ববঙ্গের মুসলমান নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। নওয়াব সলিমুল্লাহর মৃত্যুর (১৯১৪) পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়নকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা বানিয়ে এই লক্ষ্যে মাঠে-ময়দানে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে দাবি-দাওয়া পেশ ও চাপ প্রয়োগ করে অসাধারণ দৃঢ়তার পরিচয় দেন নওয়াব আলী চৌধুরী। এ ছাড়া আরও যেসব নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন নবাব সিরাজুল ইসলাম, স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা, আবদুল করিম, এ কে ফজলুল হক, আহছানউল্লাহ প্রমুখ (পৃ.৫৫-৬৯)।
সৈয়দ শামসুল হুদার ভূমিকা উঠে এসেছে বইটিতে। এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কমানোর প্রতিবাদ করেন। ঢাকায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় যেন ‘উন্নত মানের আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে পূর্ববঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি সরব ছিলেন। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো বরাদ্দ দেওয়া, ভালো শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতেও তিনি সোচ্চার ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে বিশ্বযুদ্ধ, সরকারের আর্থিক অসংগতিসহ অসংখ্য কারণে এই প্রকল্প পিছিয়ে যায়। এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পকে সরকারের অগ্রাধিকারে রাখার জন্য রাজনীতির মঞ্চে, লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী। শুধু হিন্দু বুদ্ধিজীবী শ্রেণি নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নে তাঁকে আলীগড়পন্থীদেরও মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তাঁদের আশ্বস্ত করতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তা প্রস্তাবিত আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না। ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নাথান কমিটির ২৫টি সাব-কমিটির ৬টিতেই তিনি সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘আঞ্চলিক আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ হাজার টাকার তহবিল দান করা ইত্যাদি ছিল তাঁর অনন্য অবদান। হিন্দুধর্ম ও হিন্দু পুরাণ প্রাধান্যের পাঠ্যপুস্তকের বদলে যেন মুসলমানদের পছন্দসই পাঠ্যপুস্তক চালু করা হয়, এই ছিল তাঁর সব সময়ের দাবি। মাতৃভাষার প্রশ্নে সমসাময়িক মুসলিম নেতাদের মতো আচ্ছন্নতায় না ভুগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন : ‘আমাদের মাতৃভাষা উর্দু নয়, বাংলা।’ দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নামে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করেছে (পৃ.৬৪-৬৬)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নে নিবেদিত আরেকজন মুসলিম নেতা ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। মুসলমানদের শিক্ষার প্রসঙ্গ ছিল তাঁর রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু মুসলমানরা উপকৃত হবে—এই তত্ত্বের তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় তিনি এর বিরোধিতা করেন, পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতি যে বৈষম্য হচ্ছে তার ব্যাপারে তিনি সোচ্চার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি, ছাত্রদের সমস্যার খোঁজখবর করতে নিয়মিত আসতেন। আরেকজন মুসলমান নেতা, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেন খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ। শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি সরকারের শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে থাকতেন এবং মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে গেছেন (পৃ.৬৯-৭২)।
দেশের এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পরিবেশ-পরিস্থিতি, স্বল্প বাজেট, রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে পদায়ন, ক্ষমতাসীনদের একক আধিপত্য ও ভিন্নমত দমনে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির কারণে গণমানুষের চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। এত কিছুর পরেও বলা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে তার জাতির পিতা উপহার দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ, আইনসভা এবং রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ অংশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদচারণা দৃশ্যমান।
'৫২–র ভাষা আন্দোলন, '৬২–র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থান, '৭০–এর নির্বাচন এবং '৭১–এর মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ কালরাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেদিন অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরে '৯০–এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা লক্ষণীয়। দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। কিওএস র্যাঙ্কিংসহ অন্যান্য র্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় নিম্নগামী হওয়ার কারণে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা, আবাসনব্যবস্থা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটালাইজেশনে নিতান্তই অপ্রতুল। সরকারি চাকরির প্রতি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মোহের কারণে, লেজুড়বৃত্তি শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতির কারণে সমসাময়িক গবেষক তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা মহামারিতে টিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ দেশের সাধারণ মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসব কিছু আশা করে।
বিশ্ব যখন ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়ে গেছে পশ্চাৎপদ। ডিজিটাল ক্লাসরুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, আবাসিক সুবিধা, অনলাইনে ফি পরিশোধের ব্যবস্থা ও ভর্তি কার্যক্রমে জটিলতা কমাতে পারেনি। আবাসিক সুযোগ-সুবিধা, শতভাগ ডিজিটালাইজেশন, লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে উঠলেই বিশ্বের সেরা বিদ্যাপীঠের স্থান দখল করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
করোনার ভয়াল থাবায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন :
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠান পেছানো হয়েছে। ১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আজ সীমিত পরিসরে অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচি পালিত হবে। অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচিতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ : ফিরে দেখা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
মহামারির কারণে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, টিএসসি ও কার্জন হল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে।
শতবর্ষ পূর্তিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের’ নানা পরিকল্পনা থাকলেও দেশে লকডাউনের কারণে এক দিন আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ফ্লোরে সীমিত পরিসরে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছে।
শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এক শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন।
শুভেচ্ছাবাণীতে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রিয় মাতৃভূমি ও গণমানুষের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশসেবায় রেখেছে অনন্য অবদান।
'মহান এই বিদ্যাপীঠের স্বনামধন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ (মুজিববর্ষ), মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের বিরল সৌভাগ্যপ্রাপ্তির ক্ষণে আমরা দেশের শিক্ষা ও গবেষণার মানকে আরও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।'
স্বাধীনতার আগে–পরে সব ইতিবাচক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে অনেক সংগ্রাম জড়িত। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরালো হতে থাকে। ১৯২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানার জন্য। বাঙালি নাগরিক সমাজের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দীর্ঘ বোঝাপড়ার ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গভঙ্গ রদের অল্প কিছুদিন পরেই ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সময়টি ছিল ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ১৯১২ সালের ২৭ মে নাথান কমিশন গঠিত হয়। ১৯১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। এর পরে বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। এর পরেও বাঙালি নাগরিক সমাজ বসে থাকেনি। তারা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাতে থাকে। ১৯১৭ সালে স্যাডলার কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপ তৈরি হয়ে যায়। অবশেষে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯২০’ পাস হয়। ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এই বিলে সম্মতি প্রদান করেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব সন্দেহের অবসান ঘটে। এই আইনকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইনটি বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর লিখিত 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা' বইয়ে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতার কারণে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এত উৎসাহ-আয়োজন দেখালেও লর্ড হার্ডিঞ্জের প্রস্তাবের পর পূর্ববঙ্গের মুসলমান নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। নওয়াব সলিমুল্লাহর মৃত্যুর (১৯১৪) পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়নকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা বানিয়ে এই লক্ষ্যে মাঠে-ময়দানে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে দাবি-দাওয়া পেশ ও চাপ প্রয়োগ করে অসাধারণ দৃঢ়তার পরিচয় দেন নওয়াব আলী চৌধুরী। এ ছাড়া আরও যেসব নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন নবাব সিরাজুল ইসলাম, স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা, আবদুল করিম, এ কে ফজলুল হক, আহছানউল্লাহ প্রমুখ (পৃ.৫৫-৬৯)।
সৈয়দ শামসুল হুদার ভূমিকা উঠে এসেছে বইটিতে। এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কমানোর প্রতিবাদ করেন। ঢাকায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় যেন ‘উন্নত মানের আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে পূর্ববঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি সরব ছিলেন। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো বরাদ্দ দেওয়া, ভালো শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতেও তিনি সোচ্চার ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে বিশ্বযুদ্ধ, সরকারের আর্থিক অসংগতিসহ অসংখ্য কারণে এই প্রকল্প পিছিয়ে যায়। এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পকে সরকারের অগ্রাধিকারে রাখার জন্য রাজনীতির মঞ্চে, লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী। শুধু হিন্দু বুদ্ধিজীবী শ্রেণি নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নে তাঁকে আলীগড়পন্থীদেরও মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তাঁদের আশ্বস্ত করতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তা প্রস্তাবিত আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না। ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নাথান কমিটির ২৫টি সাব-কমিটির ৬টিতেই তিনি সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘আঞ্চলিক আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ হাজার টাকার তহবিল দান করা ইত্যাদি ছিল তাঁর অনন্য অবদান। হিন্দুধর্ম ও হিন্দু পুরাণ প্রাধান্যের পাঠ্যপুস্তকের বদলে যেন মুসলমানদের পছন্দসই পাঠ্যপুস্তক চালু করা হয়, এই ছিল তাঁর সব সময়ের দাবি। মাতৃভাষার প্রশ্নে সমসাময়িক মুসলিম নেতাদের মতো আচ্ছন্নতায় না ভুগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন : ‘আমাদের মাতৃভাষা উর্দু নয়, বাংলা।’ দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নামে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করেছে (পৃ.৬৪-৬৬)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নে নিবেদিত আরেকজন মুসলিম নেতা ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। মুসলমানদের শিক্ষার প্রসঙ্গ ছিল তাঁর রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু মুসলমানরা উপকৃত হবে—এই তত্ত্বের তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় তিনি এর বিরোধিতা করেন, পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতি যে বৈষম্য হচ্ছে তার ব্যাপারে তিনি সোচ্চার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি, ছাত্রদের সমস্যার খোঁজখবর করতে নিয়মিত আসতেন। আরেকজন মুসলমান নেতা, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেন খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ। শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি সরকারের শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে থাকতেন এবং মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে গেছেন (পৃ.৬৯-৭২)।
দেশের এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পরিবেশ-পরিস্থিতি, স্বল্প বাজেট, রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে পদায়ন, ক্ষমতাসীনদের একক আধিপত্য ও ভিন্নমত দমনে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির কারণে গণমানুষের চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। এত কিছুর পরেও বলা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে তার জাতির পিতা উপহার দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ, আইনসভা এবং রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ অংশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদচারণা দৃশ্যমান।
'৫২–র ভাষা আন্দোলন, '৬২–র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থান, '৭০–এর নির্বাচন এবং '৭১–এর মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ কালরাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেদিন অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরে '৯০–এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা লক্ষণীয়। দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। কিওএস র্যাঙ্কিংসহ অন্যান্য র্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় নিম্নগামী হওয়ার কারণে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা, আবাসনব্যবস্থা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটালাইজেশনে নিতান্তই অপ্রতুল। সরকারি চাকরির প্রতি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মোহের কারণে, লেজুড়বৃত্তি শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতির কারণে সমসাময়িক গবেষক তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা মহামারিতে টিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ দেশের সাধারণ মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসব কিছু আশা করে।
বিশ্ব যখন ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়ে গেছে পশ্চাৎপদ। ডিজিটাল ক্লাসরুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, আবাসিক সুবিধা, অনলাইনে ফি পরিশোধের ব্যবস্থা ও ভর্তি কার্যক্রমে জটিলতা কমাতে পারেনি। আবাসিক সুযোগ-সুবিধা, শতভাগ ডিজিটালাইজেশন, লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে উঠলেই বিশ্বের সেরা বিদ্যাপীঠের স্থান দখল করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
করোনার ভয়াল থাবায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন :
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠান পেছানো হয়েছে। ১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আজ সীমিত পরিসরে অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচি পালিত হবে। অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচিতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ : ফিরে দেখা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
মহামারির কারণে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, টিএসসি ও কার্জন হল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে।
শতবর্ষ পূর্তিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের’ নানা পরিকল্পনা থাকলেও দেশে লকডাউনের কারণে এক দিন আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ফ্লোরে সীমিত পরিসরে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছে।
শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এক শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন।
শুভেচ্ছাবাণীতে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রিয় মাতৃভূমি ও গণমানুষের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশসেবায় রেখেছে অনন্য অবদান।
'মহান এই বিদ্যাপীঠের স্বনামধন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ (মুজিববর্ষ), মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের বিরল সৌভাগ্যপ্রাপ্তির ক্ষণে আমরা দেশের শিক্ষা ও গবেষণার মানকে আরও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।'
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
২১ ঘণ্টা আগে