শাহ বিলিয়া জুলফিকার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অনিশ্চয়তা থেকে নিজের জীবন বদলানোর প্রয়াসে মনোযোগী হন নুর। শুরু করেন পুরোদমে চাকরিকেন্দ্রিক পড়াশোনার প্রস্তুতি গ্রহণ। নুরের বিজেএস জয়ে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছেন CZM সংস্থা এবং Pay it Forward Bangladesh গ্রুপ। এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বৃত্তি নিয়েই শেষ করেছেন স্নাতক প্রোগ্রাম।
বিজেএস প্রস্তুতি শুরুর কথা
করোনাকাল নুরের জন্য আপেক্ষিকভাবে অভিশাপের সময় হলেও, অদূর ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছিল অফুরন্ত আশীর্বাদ। এই সময় নিজেকে আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করেন তিনি। আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন পড়াশোনার প্রতি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে তৃতীয় বর্ষের দুটি সেমিস্টার শেষ করার পাশাপাশি মূলত বিজেএসের প্রস্তুতি শুরু করেন নুর ৷ শুরুর দিকে বুঝে উঠতে পারছিলেন না যদিও যে কী কী পড়বেন! এত বড় সিলেবাস! কিন্তু থেমে গেলে তো আর চলবে না। পরে একই পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণকারী বন্ধুদের দিকনির্দেশনার মধ্য দিয়ে নিজের বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন
আইনের অংশ ও সাধারণ বিষয়াবলি: বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস দুটি অংশে বিভক্ত। সাধারণ বিষয়াবলি অংশে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত। এই অংশে ভালো দখল নিয়ে আসার জন্য অনেকটা বিসিএসের মতো করেই পড়াশোনা করেছেন নুর। এ ছাড়া বিগত সালে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলোর পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর প্রতিও লক্ষ রাখতে হয়েছে; বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে বেশ ভালো করতে পারায় মোট নম্বরের গণনায় ভালো প্রভাব ফেলেছে নুরের জন্য।
আইন অংশের সব আইন মোট ছয়টি অংশে বিভক্ত। এই অংশে ভালো করতে চাইলে মুখস্থ করার চেয়ে বুঝে বুঝে পড়ার বিকল্প নেই। কারণ, লিখিত পরীক্ষায় প্রায় বেশির ভাগ প্রশ্নের সঙ্গে কিছু সমস্যা সমাধান করতে দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে আইন ঠিকঠাকভাবে বুঝে পড়া না হলে সমাধান তথা উত্তর দেওয়াটা অসম্ভব। তাই কোনো বিষয় মুখস্থ করতেন না নুর। মুখস্থ করার বদলে সব সময় বুঝে বুঝে আইনগুলো পড়া ও বারবার সেই পড়া রিভাইজ করে যাওয়ার অভ্যাস পরে বেশ কাজে দিয়েছে বলা যেতে পারে।
তা ছাড়া আইন অংশ পড়ার ক্ষেত্রে মূল আইনগুলো প্রাধান্য দিতেন নুর। পড়ার সময় কোনো জায়গায় বুঝতে সমস্যা হলে বিশ্লেষণধর্মী বই বা কোনো বন্ধু, কিংবা বড় ভাই ও শিক্ষকের সহায়তা নিতেন। আরও একটি অভ্যাস বেশ ভালো ফল দিয়েছিল নুরের জন্য। সব সময় ছোট আকারে নোট করে বা বইয়ে মার্ক করে পড়তেন তিনি, যার মধ্য দিয়ে পড়া আয়ত্তে চলে আসত খুব সহজে।
যাঁদের পাশে পেয়েছেন
বিজেএস পরীক্ষার এই সাফল্যে নুর সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ও সহায়তা পেয়েছেন নিজের মায়ের কাছ থেকে। মায়ের পর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও ১৫ তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাকিব আহমেদ ইমনের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছেন। আসলে বই কেনার তেমন সামর্থ্য ছিল না নুরের। প্রথম বর্ষ থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন উপবৃত্তির টাকায়। পরে বন্ধু হোসনে মোবারক সাগর ও মোহাম্মদ নাজ্জাসির বই নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। প্রিলিমিনারি থেকে শুরু করে লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত পুরোটা সময় তাঁদের বই পড়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন নুর।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস বেশ বড়। তাই প্রস্তুতি শুরু করার আগে পুরো সিলেবাস নিয়ে একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস দুটি অংশে বিভক্ত। এ ক্ষেত্রে আইন অংশের বেশির ভাগ পড়া একাডেমিক জীবনেই শেষ করে আসার সুযোগ রয়েছে আইন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই স্নাতক পর্যায়ের শুরু থেকেই আইনের অংশগুলো ভালোভাবে বুঝে পড়ার পরামর্শ রইল বিজেএস পরীক্ষার মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে এগিয়ে থাকার জন্য। আর সাধারণ বিষয়ের অংশে ভালো করতে হলে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে মোটামুটি ভালো করতে হয়। অনেকে আবার গণিতে ভয় করেন। গণিতে ভীতি থাকার মূল কারণ হতে পারে যথেষ্ট অনুশীলন না করা। এই বিষয়টি প্রতিনিয়ত অনুশীলন করার মধ্য দিয়ে দুর্বলতা কাটিয়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করেন নুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অনিশ্চয়তা থেকে নিজের জীবন বদলানোর প্রয়াসে মনোযোগী হন নুর। শুরু করেন পুরোদমে চাকরিকেন্দ্রিক পড়াশোনার প্রস্তুতি গ্রহণ। নুরের বিজেএস জয়ে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছেন CZM সংস্থা এবং Pay it Forward Bangladesh গ্রুপ। এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বৃত্তি নিয়েই শেষ করেছেন স্নাতক প্রোগ্রাম।
বিজেএস প্রস্তুতি শুরুর কথা
করোনাকাল নুরের জন্য আপেক্ষিকভাবে অভিশাপের সময় হলেও, অদূর ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছিল অফুরন্ত আশীর্বাদ। এই সময় নিজেকে আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করেন তিনি। আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন পড়াশোনার প্রতি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে তৃতীয় বর্ষের দুটি সেমিস্টার শেষ করার পাশাপাশি মূলত বিজেএসের প্রস্তুতি শুরু করেন নুর ৷ শুরুর দিকে বুঝে উঠতে পারছিলেন না যদিও যে কী কী পড়বেন! এত বড় সিলেবাস! কিন্তু থেমে গেলে তো আর চলবে না। পরে একই পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণকারী বন্ধুদের দিকনির্দেশনার মধ্য দিয়ে নিজের বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন
আইনের অংশ ও সাধারণ বিষয়াবলি: বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস দুটি অংশে বিভক্ত। সাধারণ বিষয়াবলি অংশে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত। এই অংশে ভালো দখল নিয়ে আসার জন্য অনেকটা বিসিএসের মতো করেই পড়াশোনা করেছেন নুর। এ ছাড়া বিগত সালে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলোর পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর প্রতিও লক্ষ রাখতে হয়েছে; বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে বেশ ভালো করতে পারায় মোট নম্বরের গণনায় ভালো প্রভাব ফেলেছে নুরের জন্য।
আইন অংশের সব আইন মোট ছয়টি অংশে বিভক্ত। এই অংশে ভালো করতে চাইলে মুখস্থ করার চেয়ে বুঝে বুঝে পড়ার বিকল্প নেই। কারণ, লিখিত পরীক্ষায় প্রায় বেশির ভাগ প্রশ্নের সঙ্গে কিছু সমস্যা সমাধান করতে দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে আইন ঠিকঠাকভাবে বুঝে পড়া না হলে সমাধান তথা উত্তর দেওয়াটা অসম্ভব। তাই কোনো বিষয় মুখস্থ করতেন না নুর। মুখস্থ করার বদলে সব সময় বুঝে বুঝে আইনগুলো পড়া ও বারবার সেই পড়া রিভাইজ করে যাওয়ার অভ্যাস পরে বেশ কাজে দিয়েছে বলা যেতে পারে।
তা ছাড়া আইন অংশ পড়ার ক্ষেত্রে মূল আইনগুলো প্রাধান্য দিতেন নুর। পড়ার সময় কোনো জায়গায় বুঝতে সমস্যা হলে বিশ্লেষণধর্মী বই বা কোনো বন্ধু, কিংবা বড় ভাই ও শিক্ষকের সহায়তা নিতেন। আরও একটি অভ্যাস বেশ ভালো ফল দিয়েছিল নুরের জন্য। সব সময় ছোট আকারে নোট করে বা বইয়ে মার্ক করে পড়তেন তিনি, যার মধ্য দিয়ে পড়া আয়ত্তে চলে আসত খুব সহজে।
যাঁদের পাশে পেয়েছেন
বিজেএস পরীক্ষার এই সাফল্যে নুর সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ও সহায়তা পেয়েছেন নিজের মায়ের কাছ থেকে। মায়ের পর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও ১৫ তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাকিব আহমেদ ইমনের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছেন। আসলে বই কেনার তেমন সামর্থ্য ছিল না নুরের। প্রথম বর্ষ থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন উপবৃত্তির টাকায়। পরে বন্ধু হোসনে মোবারক সাগর ও মোহাম্মদ নাজ্জাসির বই নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। প্রিলিমিনারি থেকে শুরু করে লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত পুরোটা সময় তাঁদের বই পড়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন নুর।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস বেশ বড়। তাই প্রস্তুতি শুরু করার আগে পুরো সিলেবাস নিয়ে একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস দুটি অংশে বিভক্ত। এ ক্ষেত্রে আইন অংশের বেশির ভাগ পড়া একাডেমিক জীবনেই শেষ করে আসার সুযোগ রয়েছে আইন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই স্নাতক পর্যায়ের শুরু থেকেই আইনের অংশগুলো ভালোভাবে বুঝে পড়ার পরামর্শ রইল বিজেএস পরীক্ষার মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে এগিয়ে থাকার জন্য। আর সাধারণ বিষয়ের অংশে ভালো করতে হলে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে মোটামুটি ভালো করতে হয়। অনেকে আবার গণিতে ভয় করেন। গণিতে ভীতি থাকার মূল কারণ হতে পারে যথেষ্ট অনুশীলন না করা। এই বিষয়টি প্রতিনিয়ত অনুশীলন করার মধ্য দিয়ে দুর্বলতা কাটিয়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করেন নুর।
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
১৭ মিনিট আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১ দিন আগে