আতাউর রহমান সায়েম
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
জ্ঞান স্তর ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্নগুলো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে আসবে। আর প্রয়োগ স্তর ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলো উদ্দীপক ও বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় মিলে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চাইলে বইয়ের একটি অধ্যায় পড়ার পর ওই অধ্যায়ের কয়টি দিক রয়েছে এবং যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর কার কী ভূমিকা, তা ভালোভাবে বুঝে, না দেখে খাতায় লেখার চর্চা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ‘সুভা’ ছোটগল্প তুলে ধরছি। এই অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি দিক বা বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে। যেমন–
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী,
২. প্রকৃতির সঙ্গে ভাব বিনিময়
৩. মনের মানুষকে নিয়ে কল্পনা করা/ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৪. বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরীর কষ্ট/অসহায়ত্ব
৫. সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-মমতা ও মঙ্গল কামনা
৬. সন্তানের প্রতি মায়ের দুশ্চিন্তা
৭. দুরন্তপনা
৮. ভালোবাসা প্রত্যাশীর মনের কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি। আর যেসব চরিত্র রয়েছে এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়েছে, সেগুলো হলো প্রধান চরিত্র সুভা (১, ২, ৩, ৪), অন্যান্য চরিত্র সুভার মা (৫), সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ (৬), সুভার মনের মানুষ প্রতাপ
(৭, ৮) প্রমুখ। আর ‘সুভা’ ছোটগল্পের প্রধান দিক/মূল উপজীব্য/সারকথা/ সারবক্তব্য হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটানো। তোমাদের আরও জানা দরকার যে, বইয়ের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য একটি অধ্যায়ের মূলভাব কিংবা কোনো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বা গুণের মিল থাকলে যৌথভাবে উদ্দীপকসহ প্রশ্ন করা যায়।
তাই তোমাদের এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তোমাদের সুবিধার জন্য উদাহরণ হিসেবে আমি কয়েকটি অধ্যায়ের নাম তুলে ধরছি: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিনপঞ্জির সঙ্গে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, ‘আমার পরিচয়’, ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশপ্রেম, দুঃসাহসী, পাকিস্তানি বাহিনীর শাসন ও নির্যাতনের দিকটির মিল রয়েছে। আবার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকিত মানুষ হওয়ার দিকটির মিল রয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি অধ্যায় মিলে প্রশ্ন হতে পারে।
প্রত্যেক উদ্দীপকে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন থাকে। তোমাদের সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(ক) জ্ঞানমূলক: অধ্যায়ের ভেতর থেকে যে বাক্যগুলো এক কথায় প্রশ্নোত্তর হয় সেখান থেকে, শব্দার্থ থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের কোনো প্রশ্ন এই স্তরে হবে না। আর এই স্তরের মানবণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক: অনুধাবন স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হবে। তবে যে বইয়ের অধ্যায়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে। প্রশ্নপত্রে এই স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও তোমরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাৎ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুই থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারো এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরেও লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক: প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নে উদ্দীপক ও বইয়ের কোনো অধ্যায়ের দিক/চরিত্রের সঙ্গে একত্র করে প্রশ্ন হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১ ও প্রয়োগ স্তর= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে (উদ্দীপকের কথা হুবহু লেখা যাবে না, নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে হবে) এবং শেষে তাই বলে প্রয়োগের জ্ঞানটি—অর্থাৎ বই ও উদ্দীপক উভয় জায়গাতে যে দিকটি ফুটে উঠেছে সেটা সংক্ষেপে মিলিয়ে লিখলে ভালো হবে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। উল্লেখ্য, (গ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তর ঠিক না হলে পরীক্ষকগণ খুবই কম নম্বর, এমনকি শূন্য নম্বর দিতে পারেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৪ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১, প্রয়োগ স্তর= ১ ও উচ্চতর দক্ষতা= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী (১ বাক্যে কারণসহ), অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক বা দুই প্যারায় বা তিন প্যারায় চার স্তরের উত্তর ঠিকভাবে লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবি রাখে। (ঘ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তরের উত্তরটিও খুবই সাবধানে দিতে হবে। কেননা, সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে ওই প্রশ্নের অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতার দক্ষতা স্তরের ভুল উত্তরের প্রভাব পড়বে। তখন হয়তো পরীক্ষকগণ ওই প্রশ্নোত্তরে শূন্য নম্বর দিতে পারেন। উল্লেখ্য, (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের কোনো চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/প্রতিবিম্ব রূপ/প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ/প্রতিচ্ছবি—এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের ওই চরিত্রের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য/গুণ এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় লিখতে হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’ এ ধরনের কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য/গুণ না থাকলেও চলবে।
অবশ্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য/গুণ মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে; আর মাত্র দুই-একটি বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। কারণ, হয়তো ওই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে প্রায় ৫-১০টি বৈশিষ্ট্য/গুণ রয়েছে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/মূলকথা/সারকথা/মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত—এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মেলানোর প্রয়োজন নেই, মূলকথা থাকলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিক ভাব/দিক প্রকাশ পায়—এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মেলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই (বিয়োগ অঙ্কের মতো করে পার্থক্য দেখাতে হবে) ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। আর মন্তব্য না দিয়ে যদি মূলভাব কিংবা সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? কিংবা কোনো চরিত্রের প্রতিবিম্ব/প্রতিচ্ছবি বলা যায় কি?—এ ধরনের কথা থাকলে হ্যাঁ কিংবা না লিখতে হবে। যথার্থ কিংবা যথার্থ নয় লেখা যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীরা মন্তব্যটি যথার্থ নাকি উক্তিটি যথার্থ প্রশ্ন দেখে লিখবে। তবে (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মধ্যে জ্ঞানের উত্তরের সঙ্গে কারণটি লেখা উত্তম বলে মনে করি। আর শেষ প্যারায় প্রাসঙ্গিক নৈতিকতার কোনো কথা এক বাক্যে লিখলে আরও ভালো হবে।
আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
জ্ঞান স্তর ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্নগুলো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে আসবে। আর প্রয়োগ স্তর ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলো উদ্দীপক ও বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় মিলে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চাইলে বইয়ের একটি অধ্যায় পড়ার পর ওই অধ্যায়ের কয়টি দিক রয়েছে এবং যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর কার কী ভূমিকা, তা ভালোভাবে বুঝে, না দেখে খাতায় লেখার চর্চা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ‘সুভা’ ছোটগল্প তুলে ধরছি। এই অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি দিক বা বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে। যেমন–
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী,
২. প্রকৃতির সঙ্গে ভাব বিনিময়
৩. মনের মানুষকে নিয়ে কল্পনা করা/ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৪. বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরীর কষ্ট/অসহায়ত্ব
৫. সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-মমতা ও মঙ্গল কামনা
৬. সন্তানের প্রতি মায়ের দুশ্চিন্তা
৭. দুরন্তপনা
৮. ভালোবাসা প্রত্যাশীর মনের কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি। আর যেসব চরিত্র রয়েছে এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়েছে, সেগুলো হলো প্রধান চরিত্র সুভা (১, ২, ৩, ৪), অন্যান্য চরিত্র সুভার মা (৫), সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ (৬), সুভার মনের মানুষ প্রতাপ
(৭, ৮) প্রমুখ। আর ‘সুভা’ ছোটগল্পের প্রধান দিক/মূল উপজীব্য/সারকথা/ সারবক্তব্য হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটানো। তোমাদের আরও জানা দরকার যে, বইয়ের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য একটি অধ্যায়ের মূলভাব কিংবা কোনো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বা গুণের মিল থাকলে যৌথভাবে উদ্দীপকসহ প্রশ্ন করা যায়।
তাই তোমাদের এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তোমাদের সুবিধার জন্য উদাহরণ হিসেবে আমি কয়েকটি অধ্যায়ের নাম তুলে ধরছি: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিনপঞ্জির সঙ্গে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, ‘আমার পরিচয়’, ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশপ্রেম, দুঃসাহসী, পাকিস্তানি বাহিনীর শাসন ও নির্যাতনের দিকটির মিল রয়েছে। আবার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকিত মানুষ হওয়ার দিকটির মিল রয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি অধ্যায় মিলে প্রশ্ন হতে পারে।
প্রত্যেক উদ্দীপকে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন থাকে। তোমাদের সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(ক) জ্ঞানমূলক: অধ্যায়ের ভেতর থেকে যে বাক্যগুলো এক কথায় প্রশ্নোত্তর হয় সেখান থেকে, শব্দার্থ থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের কোনো প্রশ্ন এই স্তরে হবে না। আর এই স্তরের মানবণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক: অনুধাবন স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হবে। তবে যে বইয়ের অধ্যায়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে। প্রশ্নপত্রে এই স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও তোমরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাৎ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুই থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারো এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরেও লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক: প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নে উদ্দীপক ও বইয়ের কোনো অধ্যায়ের দিক/চরিত্রের সঙ্গে একত্র করে প্রশ্ন হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১ ও প্রয়োগ স্তর= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে (উদ্দীপকের কথা হুবহু লেখা যাবে না, নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে হবে) এবং শেষে তাই বলে প্রয়োগের জ্ঞানটি—অর্থাৎ বই ও উদ্দীপক উভয় জায়গাতে যে দিকটি ফুটে উঠেছে সেটা সংক্ষেপে মিলিয়ে লিখলে ভালো হবে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। উল্লেখ্য, (গ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তর ঠিক না হলে পরীক্ষকগণ খুবই কম নম্বর, এমনকি শূন্য নম্বর দিতে পারেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৪ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১, প্রয়োগ স্তর= ১ ও উচ্চতর দক্ষতা= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী (১ বাক্যে কারণসহ), অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক বা দুই প্যারায় বা তিন প্যারায় চার স্তরের উত্তর ঠিকভাবে লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবি রাখে। (ঘ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তরের উত্তরটিও খুবই সাবধানে দিতে হবে। কেননা, সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে ওই প্রশ্নের অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতার দক্ষতা স্তরের ভুল উত্তরের প্রভাব পড়বে। তখন হয়তো পরীক্ষকগণ ওই প্রশ্নোত্তরে শূন্য নম্বর দিতে পারেন। উল্লেখ্য, (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের কোনো চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/প্রতিবিম্ব রূপ/প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ/প্রতিচ্ছবি—এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের ওই চরিত্রের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য/গুণ এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় লিখতে হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’ এ ধরনের কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য/গুণ না থাকলেও চলবে।
অবশ্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য/গুণ মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে; আর মাত্র দুই-একটি বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। কারণ, হয়তো ওই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে প্রায় ৫-১০টি বৈশিষ্ট্য/গুণ রয়েছে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/মূলকথা/সারকথা/মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত—এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মেলানোর প্রয়োজন নেই, মূলকথা থাকলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিক ভাব/দিক প্রকাশ পায়—এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মেলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই (বিয়োগ অঙ্কের মতো করে পার্থক্য দেখাতে হবে) ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। আর মন্তব্য না দিয়ে যদি মূলভাব কিংবা সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? কিংবা কোনো চরিত্রের প্রতিবিম্ব/প্রতিচ্ছবি বলা যায় কি?—এ ধরনের কথা থাকলে হ্যাঁ কিংবা না লিখতে হবে। যথার্থ কিংবা যথার্থ নয় লেখা যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীরা মন্তব্যটি যথার্থ নাকি উক্তিটি যথার্থ প্রশ্ন দেখে লিখবে। তবে (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মধ্যে জ্ঞানের উত্তরের সঙ্গে কারণটি লেখা উত্তম বলে মনে করি। আর শেষ প্যারায় প্রাসঙ্গিক নৈতিকতার কোনো কথা এক বাক্যে লিখলে আরও ভালো হবে।
আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
৫ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
৭ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৭ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগে