নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১৮ মাস বন্ধ ছিল। গত ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস। কিন্তু বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম মাসে বিদ্যালয়ে ফেরেনি প্রায় ৪৩ লাখ শিক্ষার্থী। এ সময়ের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং প্রাথমিকের ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী কমে গেছে। বিদ্যালয়ে না ফেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্র্যাক প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ার হার নির্ণয় করতে দুই ধরনের গবেষণা চালিয়েছে ব্র্যাক। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন হেইনম্যান, কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জন রিচার্ডস এবং ইউএস এআইডির সাবেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম।
করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের গবেষক সামির রঞ্জন নাথ।
গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সামির রঞ্জন নাথ জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল খোলার প্রথম মাসে প্রাথমিকের প্রায় ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফেরেনি। যা প্রাথমিকের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ফলে এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক স্তর থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে না ফেরার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু না হওয়া, পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি, শিক্ষায় অনাগ্রহ, শিক্ষা বিরতি কাটিয়ে ওঠার ভয়, মাদ্রাসা শিক্ষায় যুক্ত হওয়া, বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা করোনা পরবর্তী সময়ে আর বিদ্যালয়ে যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনার পর শহর এলাকায় প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে প্রাথমিকে কমেছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। প্রাক-প্রাথমিকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কমেছে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। অপরদিকে প্রাথমিকে ছেলে শিক্ষার্থী কমার হার বেশি দেখা গেছে। তবে করোনা পরবর্তীতে স্কুল খোলার পর শহর ও গ্রাম এলাকায় ছেলের চাইতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নানাবিধ সংকট আছে। করোনায় শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যেভাবে বলা হচ্ছে তেমন আতঙ্কিত হওয়ার মতো না। গ্রামের দিকে এটি বেশি হয়েছে। তবে আমরাসহ সবাই তা পুষিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা যদি আমরা উপলব্ধি না করি তাহলে হয়তো আমরা একটা প্রজন্মকে হারাব। ব্র্যাক ব্রিজ স্কুলের যে ধারণা উদ্ভাবন করেছে তার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার ধারায় ফিরে আসছে। সরকার ২০৪১-এ স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছে, শিক্ষায় জোর না দিলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।’
করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১৮ মাস বন্ধ ছিল। গত ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস। কিন্তু বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম মাসে বিদ্যালয়ে ফেরেনি প্রায় ৪৩ লাখ শিক্ষার্থী। এ সময়ের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং প্রাথমিকের ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী কমে গেছে। বিদ্যালয়ে না ফেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্র্যাক প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ার হার নির্ণয় করতে দুই ধরনের গবেষণা চালিয়েছে ব্র্যাক। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন হেইনম্যান, কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জন রিচার্ডস এবং ইউএস এআইডির সাবেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম।
করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের গবেষক সামির রঞ্জন নাথ।
গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সামির রঞ্জন নাথ জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল খোলার প্রথম মাসে প্রাথমিকের প্রায় ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফেরেনি। যা প্রাথমিকের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ফলে এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক স্তর থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে না ফেরার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু না হওয়া, পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি, শিক্ষায় অনাগ্রহ, শিক্ষা বিরতি কাটিয়ে ওঠার ভয়, মাদ্রাসা শিক্ষায় যুক্ত হওয়া, বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা করোনা পরবর্তী সময়ে আর বিদ্যালয়ে যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনার পর শহর এলাকায় প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে প্রাথমিকে কমেছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। প্রাক-প্রাথমিকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কমেছে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। অপরদিকে প্রাথমিকে ছেলে শিক্ষার্থী কমার হার বেশি দেখা গেছে। তবে করোনা পরবর্তীতে স্কুল খোলার পর শহর ও গ্রাম এলাকায় ছেলের চাইতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নানাবিধ সংকট আছে। করোনায় শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যেভাবে বলা হচ্ছে তেমন আতঙ্কিত হওয়ার মতো না। গ্রামের দিকে এটি বেশি হয়েছে। তবে আমরাসহ সবাই তা পুষিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা যদি আমরা উপলব্ধি না করি তাহলে হয়তো আমরা একটা প্রজন্মকে হারাব। ব্র্যাক ব্রিজ স্কুলের যে ধারণা উদ্ভাবন করেছে তার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার ধারায় ফিরে আসছে। সরকার ২০৪১-এ স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছে, শিক্ষায় জোর না দিলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।’
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
১ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
৩ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৩ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগে