তামান্না-ই-জাহান
পড়তে বসলে ক্লান্ত লাগছে? পড়াশোনা একেবারেই বিরক্তি লাগে? অজান্তেই হাতে উঠছে মোবাইল ফোন? ইন্টারনেটের জগতে ঘুরতে গিয়ে চলে যাচ্ছে একটা বড় সময় কিংবা মন বিচরণ করছে অজানা কোনো জগতে! এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কিছু সহজ উপায় আছে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার এমন কয়েকটি সহজ উপায় সম্পর্কে জানা যাক—
লক্ষ্য স্থির করুন
সবকিছুতে একটি লক্ষ্য থাকতে হয়। উদ্দেশ্যহীনভাবে যদি আপনি বল ছোড়েন, সেই বল যেমন গোল পোস্টে ঢুকবে না, ঠিক উদ্দেশ্যহীন পড়ালেখায় মন বসবে না, এটাই স্বাভাবিক। পড়াশোনার পেছনেও তাই লক্ষ্য থাকা চাই।
রুটিন তৈরি করুন
আগামীকাল কী পড়বেন, তা আগের দিন প্ল্যান করে আলাদা খাতায় লিখে রাখুন এবং পরের দিন সেই প্ল্যান অনুযায়ী পড়ুন। প্রতি সপ্তাহ ও মাসে কোন কোন সাবজেক্ট বা বই শেষ করবেন, তা-ও প্ল্যান করে খাতায় লিখে রাখুন এবং একটি দৈনিক পড়ার রুটিন করতে পারেন।
সহজ দিয়ে শুরু
যেকোনো পড়াশোনার সময় সহজ বিষয় দিয়ে শুরু করুন। একটা গতি চলে এলে কঠিন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
পড়া ভাগ করে নিন
একটা বইয়ের যদি অনেকগুলো চ্যাপটার থাকে, কিংবা কোনো চ্যাপটার যদি অনেক বড় হয়; তাহলে সেগুলো ভাগ করে নিন কয়েক ভাগে। এতে পড়া কম মনে হবে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
কিছু বিষয়ে জোর দিন
যারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরা কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর জোর দিন। যেমন—বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান।
টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করুন
অনেকে বিছানায় শুয়ে বা হেলান দিয়ে পড়েন, এটা বাদ দিতে হবে। এতে কিছুক্ষণ পড়ার পর ঘুমের ভাব আসে এবং পড়ার ইচ্ছে শেষ হয়ে যায়। তাই টেবিলে পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
দুশ্চিন্তা পরিহার করুন
অতীত নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করলে পড়ার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। কেউ কেউ জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পিছিয়ে পড়েন। জীবনে পিছিয়ে পড়া নিয়ে অযথা না ভেবে, কীভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, সেটা নিয়েই ভাবুন।
ধ্যান করুন
ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমাদের মন একসঙ্গে অনেক কিছু চিন্তা করতে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে একটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যায়।
নিজের ওপর আস্থা রাখুন
আপনার সামর্থ্য নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। ‘আপনার দ্বারা হবে না। আপনি জীবনে কিছু করতে পারবেন না।’ এ ধরনের কথা পড়াশোনার প্রতি আপনাকে ডিমোটিভেটেড করতে পারে। তাই অন্যের কথা এড়িয়ে চলুন এবং নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখুন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান
শিক্ষার্থীদের চাই যথেষ্ট ভিটামিন, মিনারেল এবং পানীয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ব্রেনের খাবার
বিভিন্ন বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, শাক-সবজি, ফল, গ্রিন-টিসহ বিভিন্ন চা খাদ্যতালিকায় রাখুন। যা শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো বা টমেটোর জুসও খেতে পারেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও ব্যায়াম আমাদের মনমেজাজ ও মস্তিষ্ককে চাঙা রাখতে সহায়তা করে। ফলে আপনার পড়তে ভালো লাগবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকে সারা রাত জেগে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাটান এতে করে ঠিকমতো ঘুম হয় না। ফলে আপনার ব্রেইন শান্ত হয় না, আর এর প্রভাব পড়াশোনার ওপর পরে। ফলে, একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
পড়ার সময় ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
পড়ার সময় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সেগুলোর প্রতি মনোযোগ চলে যেতে পারে। তাই পড়ার সময় এগুলো ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
পড়তে বসলে ক্লান্ত লাগছে? পড়াশোনা একেবারেই বিরক্তি লাগে? অজান্তেই হাতে উঠছে মোবাইল ফোন? ইন্টারনেটের জগতে ঘুরতে গিয়ে চলে যাচ্ছে একটা বড় সময় কিংবা মন বিচরণ করছে অজানা কোনো জগতে! এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কিছু সহজ উপায় আছে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার এমন কয়েকটি সহজ উপায় সম্পর্কে জানা যাক—
লক্ষ্য স্থির করুন
সবকিছুতে একটি লক্ষ্য থাকতে হয়। উদ্দেশ্যহীনভাবে যদি আপনি বল ছোড়েন, সেই বল যেমন গোল পোস্টে ঢুকবে না, ঠিক উদ্দেশ্যহীন পড়ালেখায় মন বসবে না, এটাই স্বাভাবিক। পড়াশোনার পেছনেও তাই লক্ষ্য থাকা চাই।
রুটিন তৈরি করুন
আগামীকাল কী পড়বেন, তা আগের দিন প্ল্যান করে আলাদা খাতায় লিখে রাখুন এবং পরের দিন সেই প্ল্যান অনুযায়ী পড়ুন। প্রতি সপ্তাহ ও মাসে কোন কোন সাবজেক্ট বা বই শেষ করবেন, তা-ও প্ল্যান করে খাতায় লিখে রাখুন এবং একটি দৈনিক পড়ার রুটিন করতে পারেন।
সহজ দিয়ে শুরু
যেকোনো পড়াশোনার সময় সহজ বিষয় দিয়ে শুরু করুন। একটা গতি চলে এলে কঠিন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
পড়া ভাগ করে নিন
একটা বইয়ের যদি অনেকগুলো চ্যাপটার থাকে, কিংবা কোনো চ্যাপটার যদি অনেক বড় হয়; তাহলে সেগুলো ভাগ করে নিন কয়েক ভাগে। এতে পড়া কম মনে হবে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
কিছু বিষয়ে জোর দিন
যারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরা কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর জোর দিন। যেমন—বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান।
টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করুন
অনেকে বিছানায় শুয়ে বা হেলান দিয়ে পড়েন, এটা বাদ দিতে হবে। এতে কিছুক্ষণ পড়ার পর ঘুমের ভাব আসে এবং পড়ার ইচ্ছে শেষ হয়ে যায়। তাই টেবিলে পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
দুশ্চিন্তা পরিহার করুন
অতীত নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করলে পড়ার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। কেউ কেউ জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পিছিয়ে পড়েন। জীবনে পিছিয়ে পড়া নিয়ে অযথা না ভেবে, কীভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, সেটা নিয়েই ভাবুন।
ধ্যান করুন
ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমাদের মন একসঙ্গে অনেক কিছু চিন্তা করতে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে একটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যায়।
নিজের ওপর আস্থা রাখুন
আপনার সামর্থ্য নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। ‘আপনার দ্বারা হবে না। আপনি জীবনে কিছু করতে পারবেন না।’ এ ধরনের কথা পড়াশোনার প্রতি আপনাকে ডিমোটিভেটেড করতে পারে। তাই অন্যের কথা এড়িয়ে চলুন এবং নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখুন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান
শিক্ষার্থীদের চাই যথেষ্ট ভিটামিন, মিনারেল এবং পানীয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ব্রেনের খাবার
বিভিন্ন বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, শাক-সবজি, ফল, গ্রিন-টিসহ বিভিন্ন চা খাদ্যতালিকায় রাখুন। যা শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো বা টমেটোর জুসও খেতে পারেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও ব্যায়াম আমাদের মনমেজাজ ও মস্তিষ্ককে চাঙা রাখতে সহায়তা করে। ফলে আপনার পড়তে ভালো লাগবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকে সারা রাত জেগে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাটান এতে করে ঠিকমতো ঘুম হয় না। ফলে আপনার ব্রেইন শান্ত হয় না, আর এর প্রভাব পড়াশোনার ওপর পরে। ফলে, একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
পড়ার সময় ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
পড়ার সময় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সেগুলোর প্রতি মনোযোগ চলে যেতে পারে। তাই পড়ার সময় এগুলো ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১৩ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে