মো. সুজাউদ দৌলা
প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্ন চারটি অংশে (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) বিভক্ত থাকে। তাই প্রতি অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে, যেমন: তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সে ক্ষেত্রে-৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে।
জ্ঞানমূলক
এ অংশের প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এই স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে, সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন—‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক
এ অংশের প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তোমরা ইচ্ছে করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পারো। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনের প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারায় লেখার চেষ্টা করবে।
প্রয়োগমূলক
এ অংশের প্রশ্নের মোট নম্বর-৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। এক প্যারায় সবগুলো তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে, অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাব/Theme-এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। তারপর ওই প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতামূলক
এ অংশের প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়, তাহলে কেন ভুল সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই, সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্যটি/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনীর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে, যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্ন চারটি অংশে (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) বিভক্ত থাকে। তাই প্রতি অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে, যেমন: তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সে ক্ষেত্রে-৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে।
জ্ঞানমূলক
এ অংশের প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এই স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে, সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন—‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক
এ অংশের প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তোমরা ইচ্ছে করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পারো। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনের প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারায় লেখার চেষ্টা করবে।
প্রয়োগমূলক
এ অংশের প্রশ্নের মোট নম্বর-৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। এক প্যারায় সবগুলো তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে, অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাব/Theme-এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। তারপর ওই প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতামূলক
এ অংশের প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়, তাহলে কেন ভুল সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই, সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্যটি/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনীর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে, যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
৩ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
৪ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৫ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগে