মো. আশিকুর রহমান
উচ্চমাধ্যমিক একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এ ধাপ শেষে দেশের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এসব শিক্ষার্থী নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ১০টি পরামর্শ।
পড়াশোনার প্রতি প্রতিশ্রুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য হলো পড়াশোনা। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও জার্নাল পড়ুন। শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং ক্লাসের বিষয়বস্তু বোঝার জন্য তাঁদেরকে প্রশ্ন করুন। নিয়মিত পড়াশোনা করুন এবং বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রুটিন তৈরি করুন।
সময় ব্যবস্থাপনা
সময় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। ক্লাসের সময়সূচি, পড়াশোনা এবং অবসর সময়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিকল্পনা করুন। একটি ডিজিটাল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করুন, যাতে সবকিছু সময়মতো করতে পারেন। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে চাপ কমবে এবং সফলতা অর্জনের পথ সুগম হবে।
ভাষার দক্ষতা উন্নয়ন
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এ সময়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। ইংরেজি ভাষার ওপর ভালো দক্ষতা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে। ইংরেজি ভাষার কোর্স, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং বই পড়ার মাধ্যমে ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্লাব ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন, যেমন বিতর্ক ক্লাব, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, সাহিত্য ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব ইত্যাদি। এসব ক্লাব আপনাকে নতুন দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে। এর ফলে নতুন বন্ধু পাবেন এবং সামাজিক জীবনে সমৃদ্ধি আসবে।
প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন
বর্তমান যুগে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অপরিহার্য। বিভিন্ন সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। অনলাইন কোর্স বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করুন। এসব দক্ষতা আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে।
নেটওয়ার্ক তৈরি
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সহপাঠী, শিক্ষক এবং সিনিয়রদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করলে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন।
শখ ও আগ্রহ অনুসরণ
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শখ ও আগ্রহ অনুসরণের ভালো সময়। এর জন্য সময় বের করুন, যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেবে। শখের মাধ্যমে আপনি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবেন এবং সৃজনশীলতা বাড়বে।
ফ্রিল্যান্সিং ও ইন্টার্নশিপ
পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এটি বিভিন্ন কাজের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত করবে এবং আপনার পেশাগত দক্ষতা উন্নত করবে। কাজের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও চাপ ব্যবস্থাপনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। কাজের চাপ, পরীক্ষার চাপ এবং নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চাপ থাকতে পারে। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। সময়মতো বিশ্রাম নিন, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং সেন্টারের সাহায্য নিন। একটি সুস্থ মানসিকতা আপনাকে আরও সফল হতে সাহায্য করবে।
ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার
সময় ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনার লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো কী, তা নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন। ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করুন। নিয়মিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
উচ্চমাধ্যমিক একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এ ধাপ শেষে দেশের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এসব শিক্ষার্থী নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ১০টি পরামর্শ।
পড়াশোনার প্রতি প্রতিশ্রুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য হলো পড়াশোনা। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও জার্নাল পড়ুন। শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং ক্লাসের বিষয়বস্তু বোঝার জন্য তাঁদেরকে প্রশ্ন করুন। নিয়মিত পড়াশোনা করুন এবং বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রুটিন তৈরি করুন।
সময় ব্যবস্থাপনা
সময় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। ক্লাসের সময়সূচি, পড়াশোনা এবং অবসর সময়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিকল্পনা করুন। একটি ডিজিটাল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করুন, যাতে সবকিছু সময়মতো করতে পারেন। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে চাপ কমবে এবং সফলতা অর্জনের পথ সুগম হবে।
ভাষার দক্ষতা উন্নয়ন
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এ সময়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। ইংরেজি ভাষার ওপর ভালো দক্ষতা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে। ইংরেজি ভাষার কোর্স, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং বই পড়ার মাধ্যমে ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্লাব ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন, যেমন বিতর্ক ক্লাব, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, সাহিত্য ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব ইত্যাদি। এসব ক্লাব আপনাকে নতুন দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে। এর ফলে নতুন বন্ধু পাবেন এবং সামাজিক জীবনে সমৃদ্ধি আসবে।
প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন
বর্তমান যুগে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অপরিহার্য। বিভিন্ন সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। অনলাইন কোর্স বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করুন। এসব দক্ষতা আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে।
নেটওয়ার্ক তৈরি
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সহপাঠী, শিক্ষক এবং সিনিয়রদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করলে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন।
শখ ও আগ্রহ অনুসরণ
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শখ ও আগ্রহ অনুসরণের ভালো সময়। এর জন্য সময় বের করুন, যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেবে। শখের মাধ্যমে আপনি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবেন এবং সৃজনশীলতা বাড়বে।
ফ্রিল্যান্সিং ও ইন্টার্নশিপ
পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এটি বিভিন্ন কাজের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত করবে এবং আপনার পেশাগত দক্ষতা উন্নত করবে। কাজের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও চাপ ব্যবস্থাপনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। কাজের চাপ, পরীক্ষার চাপ এবং নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চাপ থাকতে পারে। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। সময়মতো বিশ্রাম নিন, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং সেন্টারের সাহায্য নিন। একটি সুস্থ মানসিকতা আপনাকে আরও সফল হতে সাহায্য করবে।
ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার
সময় ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনার লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো কী, তা নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন। ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করুন। নিয়মিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১১ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১৪ ঘণ্টা আগেমেরিন ফিশারিজ একাডেমি (এমএফএ) বা বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি (বিএমএফএ) মৎস্য শিল্প, বণিক জাহাজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম শিল্পগুলোতে প্রবেশ করতে আগ্রহী ক্যাডেটদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বা
১৯ ঘণ্টা আগে২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম ফয়সাল বাতেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে