আব্দুর রাজ্জাক খান
প্রশ্ন: কেমন ছিল আপনার পিএইচডি জার্নি?
উত্তর: খুবই ভালো। অনেক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ ডিগ্রি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি কীভাবে তুরস্কে পড়াশোনা করতে গেলেন?
উত্তর: ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। এ বৃত্তি পেয়ে ইংল্যান্ডের ইডেনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। কিন্তু তখন ফান্ডিং না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরের বছর ২০১৯ সালে তুরস্ক সরকারের ফুল ফান্ডেড পিএইচডি শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করি। সিলেকশনও পেয়ে যাই। কোনো কিছু না ভেবে অফারটি লুফে নিই।
প্রশ্ন: তুরস্কের দিনগুলো কেমন ছিল?
উত্তর: তুরস্ক দেশ হিসেবে খুবই সুন্দর। দেশটির প্রকৃতি আমাকে সব সময় মুগ্ধ করেছে। সমস্যা ছিল, তুর্কি ভাষা জানতাম না। তাই প্রথম দিকে সবার সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন ছিল।
প্রশ্ন: পরে ভাষা কীভাবে শিখলেন?
উত্তর: আমাদের বৃত্তির একটি কন্ডিশন ছিল, সব স্কলারশিপ হোল্ডার স্টুডেন্টকে বাধ্যতামূলকভাবে এক বছর তুর্কি ভাষার ডিপ্লোমা করতে হতো। আমি তা-ই করেছি। এরপর থেকে তুরস্কের জীবনযাপন খুব সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: তুরস্কে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কিছু বলবেন?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞতাই বলি, ভাষা ডিপ্লোমা করার পর বিভাগে ভর্তি হই। সেখানে এক বছর আটটি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। তারপর একটি কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষা হয়। খুবই কঠিন এ পরীক্ষা। সেখানে পাস করতে পারলে সুপারভাইজার সিলেকশন ও থিসিস প্রপোজাল লেখার সুযোগ তৈরি হয়।
প্রশ্ন: কী বিষয়ে থিসিস লিখলেন?
উত্তর: আমি মূলত হিস্টোরিক্যাল আইআর নিয়ে কাজ করেছি। আমার অধ্যাপক ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মিডলিস্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আলি বালজী। শুধু তুরস্কের নয়, সমসাময়িক বিশ্বের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের থিওরিটিশিয়ানদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং এবং সৌভাগ্যেরও বটে।
প্রশ্ন: ইতিহাসের থিওরি বলতে কী বোঝাতে চাচ্ছেন?
উত্তর: মূলত যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করে, তারা থিওরিকে ততটা গুরুত্ব দেয় না। ইংলিশ স্কুল অব আই আর hierarchy তত্ত্ব নিয়ে কাজ করে। আমি এই স্কুলের একজন ছাত্র। আমি দেখাতে চেয়েছি, কীভাবে ভারতবর্ষের মুসলিম রেজিস্ট্যান্স অটোমান অর্ডারকে ধারণ করে অ্যান্টি-ব্রিটিশ একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।
প্রশ্ন: ইতিহাস গবেষণায় কি থিওরির প্রয়োজন?
উত্তর: নিশ্চয়ই থিওরি ইতিহাস গবেষণাকে সায়েন্টিফিক গবেষণায় রূপান্তরে সহায়তা করে থাকে। ইতিহাসকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় রূপান্তর করে।
প্রশ্ন: ইতিহাস গবেষণা কি বৈজ্ঞানিক?
উত্তর: ই এইচ কার ইতিহাস গবেষণাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হিসেবে বিবেচনা করতে চাননি। কিন্তু ইংলিশ স্কুল অব আয়ারের থিওরিস্টরা ইতিহাস গবেষণাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় রূপান্তরে কাজ করছেন। কারণ, থিওরি দিয়ে ইতিহাস গবেষণা করলে এই গবেষণার নতুনত্ব বের করে নিয়ে আসা সম্ভব, যা পরে নতুন নতুন গবেষণার সূত্র তৈরি করে দেয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কি এ ধরনের ইতিহাসচর্চা হয়?
উত্তর: প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের ইতিহাসচর্চা আমাদের দেশে হয় না বললেই চলে। তবে ব্যক্তিপর্যায়ে বেশ কিছু শিক্ষক ইতিহাস গবেষণায় থিওরিকে ধারণ ও লালন করছেন।
প্রশ্ন: আপনি কতটুকু আশাবাদী যে বাংলাদেশে থিওরিটিক্যাল ইতিহাসচর্চা হবে?
উত্তর: আমি আশাবাদী। কারণ, আমাদের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী। আমাদের তরুণ স্কলাররা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী। এদের হাত ধরে বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চার নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: আমি বাংলাদেশে একটি স্কুল অব হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে ইতিহাসচর্চা, ইতিহাস গবেষণা, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলকে ধারণ ও লালন করে বাংলাদেশে এ গবেষণার নতুন নতুন পথ উন্মোচন করবে। ভবিষ্যতে আমরা কিছু প্রফেশনাল ইতিহাসবিদ তৈরি করতে চাই।
প্রশ্ন: কেমন ছিল আপনার পিএইচডি জার্নি?
উত্তর: খুবই ভালো। অনেক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ ডিগ্রি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি কীভাবে তুরস্কে পড়াশোনা করতে গেলেন?
উত্তর: ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। এ বৃত্তি পেয়ে ইংল্যান্ডের ইডেনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। কিন্তু তখন ফান্ডিং না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরের বছর ২০১৯ সালে তুরস্ক সরকারের ফুল ফান্ডেড পিএইচডি শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করি। সিলেকশনও পেয়ে যাই। কোনো কিছু না ভেবে অফারটি লুফে নিই।
প্রশ্ন: তুরস্কের দিনগুলো কেমন ছিল?
উত্তর: তুরস্ক দেশ হিসেবে খুবই সুন্দর। দেশটির প্রকৃতি আমাকে সব সময় মুগ্ধ করেছে। সমস্যা ছিল, তুর্কি ভাষা জানতাম না। তাই প্রথম দিকে সবার সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন ছিল।
প্রশ্ন: পরে ভাষা কীভাবে শিখলেন?
উত্তর: আমাদের বৃত্তির একটি কন্ডিশন ছিল, সব স্কলারশিপ হোল্ডার স্টুডেন্টকে বাধ্যতামূলকভাবে এক বছর তুর্কি ভাষার ডিপ্লোমা করতে হতো। আমি তা-ই করেছি। এরপর থেকে তুরস্কের জীবনযাপন খুব সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: তুরস্কে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কিছু বলবেন?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞতাই বলি, ভাষা ডিপ্লোমা করার পর বিভাগে ভর্তি হই। সেখানে এক বছর আটটি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। তারপর একটি কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষা হয়। খুবই কঠিন এ পরীক্ষা। সেখানে পাস করতে পারলে সুপারভাইজার সিলেকশন ও থিসিস প্রপোজাল লেখার সুযোগ তৈরি হয়।
প্রশ্ন: কী বিষয়ে থিসিস লিখলেন?
উত্তর: আমি মূলত হিস্টোরিক্যাল আইআর নিয়ে কাজ করেছি। আমার অধ্যাপক ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মিডলিস্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আলি বালজী। শুধু তুরস্কের নয়, সমসাময়িক বিশ্বের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের থিওরিটিশিয়ানদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং এবং সৌভাগ্যেরও বটে।
প্রশ্ন: ইতিহাসের থিওরি বলতে কী বোঝাতে চাচ্ছেন?
উত্তর: মূলত যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করে, তারা থিওরিকে ততটা গুরুত্ব দেয় না। ইংলিশ স্কুল অব আই আর hierarchy তত্ত্ব নিয়ে কাজ করে। আমি এই স্কুলের একজন ছাত্র। আমি দেখাতে চেয়েছি, কীভাবে ভারতবর্ষের মুসলিম রেজিস্ট্যান্স অটোমান অর্ডারকে ধারণ করে অ্যান্টি-ব্রিটিশ একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।
প্রশ্ন: ইতিহাস গবেষণায় কি থিওরির প্রয়োজন?
উত্তর: নিশ্চয়ই থিওরি ইতিহাস গবেষণাকে সায়েন্টিফিক গবেষণায় রূপান্তরে সহায়তা করে থাকে। ইতিহাসকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় রূপান্তর করে।
প্রশ্ন: ইতিহাস গবেষণা কি বৈজ্ঞানিক?
উত্তর: ই এইচ কার ইতিহাস গবেষণাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হিসেবে বিবেচনা করতে চাননি। কিন্তু ইংলিশ স্কুল অব আয়ারের থিওরিস্টরা ইতিহাস গবেষণাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় রূপান্তরে কাজ করছেন। কারণ, থিওরি দিয়ে ইতিহাস গবেষণা করলে এই গবেষণার নতুনত্ব বের করে নিয়ে আসা সম্ভব, যা পরে নতুন নতুন গবেষণার সূত্র তৈরি করে দেয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কি এ ধরনের ইতিহাসচর্চা হয়?
উত্তর: প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের ইতিহাসচর্চা আমাদের দেশে হয় না বললেই চলে। তবে ব্যক্তিপর্যায়ে বেশ কিছু শিক্ষক ইতিহাস গবেষণায় থিওরিকে ধারণ ও লালন করছেন।
প্রশ্ন: আপনি কতটুকু আশাবাদী যে বাংলাদেশে থিওরিটিক্যাল ইতিহাসচর্চা হবে?
উত্তর: আমি আশাবাদী। কারণ, আমাদের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী। আমাদের তরুণ স্কলাররা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী। এদের হাত ধরে বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চার নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: আমি বাংলাদেশে একটি স্কুল অব হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে ইতিহাসচর্চা, ইতিহাস গবেষণা, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলকে ধারণ ও লালন করে বাংলাদেশে এ গবেষণার নতুন নতুন পথ উন্মোচন করবে। ভবিষ্যতে আমরা কিছু প্রফেশনাল ইতিহাসবিদ তৈরি করতে চাই।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১৮ ঘণ্টা আগে