মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়া মানে শূন্য থেকে শুরু করা। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছে জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি)। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক, ভূতত্ত্ববিদ ও দক্ষ প্রশাসক প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।
জানা যায়, ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদকে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বশেফমুবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দেশের ‘রোল মডেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এ পরিণত করার মহাপরিকল্পনা হাতে নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সীমিত সম্পদের মধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা কার্যক্রমে উৎসাহ ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সামাজিক বনায়ন, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, মুজিব শতবর্ষের ইতিহাস শীর্ষক বই প্রকাশসহ বছরজুড়ে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ‘অবিনাশী জনক তুমি’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ১৮ মাস ধরে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনার সংস্কারকাজ করা হয়। এ সময় একাডেমিক ভবন নির্মাণ, হলের সংস্কার, প্রশাসনিক ভবন, ডরমিটরি সংস্কার করে ব্যবহারের উপযুগী করা হয়। বর্তমানে দুটি হোস্টেল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
করোনার প্রভাবে শিক্ষার্থীদের সেশনজট থেকে রক্ষা করতে ক্যাম্পাস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের না হওয়া পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি বিভাগেই পুরোদমে ক্লাস চলছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশের উচ্চ শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমরাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার দিকে জোর দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল জ্ঞান বিতরণ নয়, জ্ঞান অনুসন্ধান ও আহরণও করা হয়। জ্ঞান আহরণের বিষয়টা একান্তই গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। গবেষণা ছাড়া নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। গবেষণার কাজটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তুলতে চাইম যেন তাঁরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন। আমরা সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছি এবং থাকব।
এ জন্য আমাদের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা সবাই সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে যেতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বশেফমুবিপ্রবিকে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে এমন স্বপ্ন নিয়েই আমি এগিয়ে চলেছি।'
উল্লেখ্য, অল্পসংখ্যক লোকবল দিয়েই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়া মানে শূন্য থেকে শুরু করা। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছে জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি)। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক, ভূতত্ত্ববিদ ও দক্ষ প্রশাসক প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।
জানা যায়, ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদকে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বশেফমুবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দেশের ‘রোল মডেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এ পরিণত করার মহাপরিকল্পনা হাতে নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সীমিত সম্পদের মধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা কার্যক্রমে উৎসাহ ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সামাজিক বনায়ন, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, মুজিব শতবর্ষের ইতিহাস শীর্ষক বই প্রকাশসহ বছরজুড়ে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ‘অবিনাশী জনক তুমি’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ১৮ মাস ধরে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনার সংস্কারকাজ করা হয়। এ সময় একাডেমিক ভবন নির্মাণ, হলের সংস্কার, প্রশাসনিক ভবন, ডরমিটরি সংস্কার করে ব্যবহারের উপযুগী করা হয়। বর্তমানে দুটি হোস্টেল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
করোনার প্রভাবে শিক্ষার্থীদের সেশনজট থেকে রক্ষা করতে ক্যাম্পাস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের না হওয়া পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি বিভাগেই পুরোদমে ক্লাস চলছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশের উচ্চ শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমরাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার দিকে জোর দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল জ্ঞান বিতরণ নয়, জ্ঞান অনুসন্ধান ও আহরণও করা হয়। জ্ঞান আহরণের বিষয়টা একান্তই গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। গবেষণা ছাড়া নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। গবেষণার কাজটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তুলতে চাইম যেন তাঁরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন। আমরা সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছি এবং থাকব।
এ জন্য আমাদের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা সবাই সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে যেতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বশেফমুবিপ্রবিকে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে এমন স্বপ্ন নিয়েই আমি এগিয়ে চলেছি।'
উল্লেখ্য, অল্পসংখ্যক লোকবল দিয়েই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১০ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১০ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে