শরীফ ওবায়েদুল্লাহ
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট একজন শিক্ষার্থীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এ ধাপ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ক্যারিয়ারের পথ ঠিক হয়ে যায়। এইচএসসি শেষ করার পর কেউ কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, অনেকে দেশেই শুরু করেন উচ্চশিক্ষা। যাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাঁদের এখন থেকে শুরু করতে হবে। সঠিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা থাকলে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যকরী ১০টি পরামর্শ উল্লেখ করা হলো:
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্বাচন
প্রথমে আপনার আগ্রহ এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিট নির্বাচন করুন। সেটা হতে পারে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, কৃষি ও প্রকৌশল। আপনার পছন্দ ও দক্ষতার সঙ্গে মিল রেখে বিষয়টি খুঁজে বের করা জরুরি। আপনি কোন বিভাগে ভর্তি হতে চান, সেটি নির্বাচন করার সময় আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের সুযোগগুলো বিবেচনায় নিন। এটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস জানুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষার সময়সীমা, আবেদন পদ্ধতি, পরীক্ষার সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করুন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আলাদা হয়। তাই, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তার সিলেবাস সম্পর্কে জানুন। প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু চিহ্নিত করে সেগুলোর ওপর জোর দিন। সঠিক সিলেবাস জানা থাকলে প্রস্তুতি আরও কার্যকর হবে।
পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ
পূর্ববর্তী বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করুন এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করুন। এটি আপনাকে প্রশ্নের ধরন, কাঠামো এবং গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সম্পর্কে ধারণা দেবে। পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে আপনি পরীক্ষার মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
নিয়মিত পড়াশোনার পরিকল্পনা করুন
আপনার জন্য একটি সঠিক সময়সূচি তৈরি করুন। নিয়মিত পড়াশোনা করলে চাপ কমবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে। প্রতিদিনের পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন এবং সিলেবাস অনুযায়ী পড়ুন। একটি সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা আপনাকে প্রস্তুত থাকতে সাহায্য করবে।
মক টেস্ট ও গ্রুপস্টাডি
মক টেস্টে অংশগ্রহণ করুন এবং বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপস্টাডি করুন। এটি আপনার প্রস্তুতির মান বাড়াতে সাহায্য করবে। গ্রুপস্টাডি করার সময় একে অপরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেখার সুযোগ পাবেন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
গুরুত্বপূর্ণ বই ও রিসোর্স ব্যবহার করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সঠিক বই ও রিসোর্স নির্বাচন করুন। বিভিন্ন কোচিং সেন্টার বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণ সংগ্রহ করুন। কিছু জনপ্রিয় বইয়ের তালিকা তৈরি করুন। সেগুলো থেকে পাঠ্যবিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্য ও মানসিকতা বজায় রাখুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পুরো সময়জুড়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলতার কৌশল ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকলে মনোযোগ ও মনোভাব—উভয়ই ভালো থাকবে।
পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনা
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কতটুকু লাগবে, তা নির্ধারণ করুন। সেই অনুযায়ী সময় বণ্টন করুন। মক পরীক্ষার মাধ্যমে সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন। পরীক্ষায় সময় সীমাবদ্ধ থাকে। সুতরাং আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান
আত্মবিশ্বাসী থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগে নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন। সব সময় ইতিবাচক চিন্তাধারা বজায় রাখুন। আত্মবিশ্বাস আপনার পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিজের দক্ষতা ও প্রস্তুতির ওপর বিশ্বাস রাখুন।
ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন
ভর্তির আবেদনে সব তথ্য সঠিকভাবে দিন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমার মধ্যে সাবধানতার সঙ্গে আবেদন শেষ করুন। আবেদনপত্রের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে আপনার ভর্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে, তাই সবকিছু খুঁটিয়ে দেখুন। বিভিন্ন দপ্তর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন।
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট একজন শিক্ষার্থীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এ ধাপ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ক্যারিয়ারের পথ ঠিক হয়ে যায়। এইচএসসি শেষ করার পর কেউ কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, অনেকে দেশেই শুরু করেন উচ্চশিক্ষা। যাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাঁদের এখন থেকে শুরু করতে হবে। সঠিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা থাকলে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যকরী ১০টি পরামর্শ উল্লেখ করা হলো:
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্বাচন
প্রথমে আপনার আগ্রহ এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিট নির্বাচন করুন। সেটা হতে পারে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, কৃষি ও প্রকৌশল। আপনার পছন্দ ও দক্ষতার সঙ্গে মিল রেখে বিষয়টি খুঁজে বের করা জরুরি। আপনি কোন বিভাগে ভর্তি হতে চান, সেটি নির্বাচন করার সময় আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের সুযোগগুলো বিবেচনায় নিন। এটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস জানুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষার সময়সীমা, আবেদন পদ্ধতি, পরীক্ষার সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করুন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আলাদা হয়। তাই, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তার সিলেবাস সম্পর্কে জানুন। প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু চিহ্নিত করে সেগুলোর ওপর জোর দিন। সঠিক সিলেবাস জানা থাকলে প্রস্তুতি আরও কার্যকর হবে।
পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ
পূর্ববর্তী বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করুন এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করুন। এটি আপনাকে প্রশ্নের ধরন, কাঠামো এবং গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সম্পর্কে ধারণা দেবে। পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে আপনি পরীক্ষার মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
নিয়মিত পড়াশোনার পরিকল্পনা করুন
আপনার জন্য একটি সঠিক সময়সূচি তৈরি করুন। নিয়মিত পড়াশোনা করলে চাপ কমবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে। প্রতিদিনের পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন এবং সিলেবাস অনুযায়ী পড়ুন। একটি সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা আপনাকে প্রস্তুত থাকতে সাহায্য করবে।
মক টেস্ট ও গ্রুপস্টাডি
মক টেস্টে অংশগ্রহণ করুন এবং বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপস্টাডি করুন। এটি আপনার প্রস্তুতির মান বাড়াতে সাহায্য করবে। গ্রুপস্টাডি করার সময় একে অপরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেখার সুযোগ পাবেন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
গুরুত্বপূর্ণ বই ও রিসোর্স ব্যবহার করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সঠিক বই ও রিসোর্স নির্বাচন করুন। বিভিন্ন কোচিং সেন্টার বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণ সংগ্রহ করুন। কিছু জনপ্রিয় বইয়ের তালিকা তৈরি করুন। সেগুলো থেকে পাঠ্যবিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্য ও মানসিকতা বজায় রাখুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পুরো সময়জুড়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলতার কৌশল ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকলে মনোযোগ ও মনোভাব—উভয়ই ভালো থাকবে।
পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনা
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কতটুকু লাগবে, তা নির্ধারণ করুন। সেই অনুযায়ী সময় বণ্টন করুন। মক পরীক্ষার মাধ্যমে সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন। পরীক্ষায় সময় সীমাবদ্ধ থাকে। সুতরাং আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান
আত্মবিশ্বাসী থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগে নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন। সব সময় ইতিবাচক চিন্তাধারা বজায় রাখুন। আত্মবিশ্বাস আপনার পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিজের দক্ষতা ও প্রস্তুতির ওপর বিশ্বাস রাখুন।
ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন
ভর্তির আবেদনে সব তথ্য সঠিকভাবে দিন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমার মধ্যে সাবধানতার সঙ্গে আবেদন শেষ করুন। আবেদনপত্রের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে আপনার ভর্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে, তাই সবকিছু খুঁটিয়ে দেখুন। বিভিন্ন দপ্তর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১৯ ঘণ্টা আগে