নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের কয়েকটি জেলায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেসব এলাকার কোনো বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল না। যেখানে গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা এর নিচে নামলে সেসব এলাকায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখা যাবে।
তীব্র শীতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে গত মঙ্গলবার তিন দফায় সংশোধিত অফিস আদেশ দেয় মাউশি। প্রথম অফিস আদেশে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। ঘণ্টাখানেক পরেই নির্দেশনাটি সংশোধন করে বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে স্কুল বন্ধ থাকবে। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় দফায় দেওয়া আদেশে ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়। বলা হয়, দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে আলোচনার মাধ্যমে স্কুল বন্ধ রাখা যাবে।
বুধবার বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, সীতাকুণ্ড, বান্দরবান, ঈশ্বরদী এবং শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিচে রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোথাও বিদ্যালয় বন্ধ রাখার খবর পাওয়া যায়নি। এসব এলাকায় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, তাঁদের অনেকের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। তাঁরা জানেন না যে, মাউশির চূড়ান্ত অফিস আদেশে ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু স্কুলগুলোতে পুরোদমে পাঠদান চলেছে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানেরা দায়ী করেছেন মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে। আর শৈত্যপ্রবাহেও স্কুল বন্ধ না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এটি অব্যাহত থাকবে এবং দু–এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের আব্দুল মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সরকার যেভাবে বলছে তা মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু স্কুল বন্ধের নোটিশ দিকে মাউশির উপপরিচালক। তাদের নির্দেশ না পেলে কী করে বন্ধ করি!’
বরিশাল নগরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্যও একই কথা বলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনকে ফোনকল দিয়েও পাননি।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ‘আমরা মোবাইলে তো দেখেছি ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকে তো বন্ধ ছিল না স্কুল। মাউশির চিঠির আলোকে স্কুল বন্ধ রাখতে হবে। সবাই মিলেমিশে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গায় বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনার কথা শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমাদের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে, সেখানে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। ভাবছি, কাল থেকে তাপমাত্রা দেখে বন্ধ রাখব।’
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি. জে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমানও বলেন, কোনো নির্দেশনা না আসায় তিনি পাঠদান চালু রেখেছেন।
তবে নির্দেশনা না পেলেও শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে দুপুর ১টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস জাহান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ আছে। স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমি খোঁজ নিয়েছি, চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ডিগ্রির নিচে নামেনি। সে জন্য এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও বুধবার তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। কিন্তু সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলেছে।
শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, সরকারি কোনো ধরনের নির্দেশনা না পাওয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যেও যথানিয়মে পরিচালিত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র শীতের কারণে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যথারীতি চলেছে পাঠদান কার্যক্রম।
বাড়বকুণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. খুরশিদ আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাননি। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। তবে তীব্র শীতের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল।
হামিদুল্লা হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি জানেন না। আর শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনাও পাননি। তাই যথারীতি ক্লাস চলেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুচ্ছোফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দেশনার বিষয়ে তিনি জানেন। তবে বুধবার বিদ্যালয়ের বন্ধে উপ–পরিচালকের কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। তাই উপজেলার ৯৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলেছে। বুধবার তাপমাত্রা কত নেমেছিল সে বিষয়েও তাঁর কোনো ধারণা নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে একটি চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উপ–পরিচালক। উপ–পরিচালকের সঙ্গে তিনি একাধিকবার কথা বলেছেন। তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি।
সীতাকুণ্ড আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডে রোদের দেখা মিলেছে। আগামী আরও কয়েক দিন সীতাকুণ্ডের তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো জেলায় যদি তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট জেলার উপ–পরিচালকেরা। আজ (বুধবার) কোনো জেলায় স্কুল বন্ধ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আর আমরা স্কুল বন্ধের তথ্য পাঠানোর কথাও বলিনি।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা ও সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।
দেশের কয়েকটি জেলায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেসব এলাকার কোনো বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল না। যেখানে গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা এর নিচে নামলে সেসব এলাকায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখা যাবে।
তীব্র শীতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে গত মঙ্গলবার তিন দফায় সংশোধিত অফিস আদেশ দেয় মাউশি। প্রথম অফিস আদেশে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। ঘণ্টাখানেক পরেই নির্দেশনাটি সংশোধন করে বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে স্কুল বন্ধ থাকবে। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় দফায় দেওয়া আদেশে ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়। বলা হয়, দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে আলোচনার মাধ্যমে স্কুল বন্ধ রাখা যাবে।
বুধবার বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, সীতাকুণ্ড, বান্দরবান, ঈশ্বরদী এবং শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিচে রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোথাও বিদ্যালয় বন্ধ রাখার খবর পাওয়া যায়নি। এসব এলাকায় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, তাঁদের অনেকের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। তাঁরা জানেন না যে, মাউশির চূড়ান্ত অফিস আদেশে ‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু স্কুলগুলোতে পুরোদমে পাঠদান চলেছে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানেরা দায়ী করেছেন মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে। আর শৈত্যপ্রবাহেও স্কুল বন্ধ না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এটি অব্যাহত থাকবে এবং দু–এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের আব্দুল মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সরকার যেভাবে বলছে তা মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু স্কুল বন্ধের নোটিশ দিকে মাউশির উপপরিচালক। তাদের নির্দেশ না পেলে কী করে বন্ধ করি!’
বরিশাল নগরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্যও একই কথা বলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনকে ফোনকল দিয়েও পাননি।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ‘আমরা মোবাইলে তো দেখেছি ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকে তো বন্ধ ছিল না স্কুল। মাউশির চিঠির আলোকে স্কুল বন্ধ রাখতে হবে। সবাই মিলেমিশে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গায় বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনার কথা শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমাদের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে, সেখানে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। ভাবছি, কাল থেকে তাপমাত্রা দেখে বন্ধ রাখব।’
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি. জে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমানও বলেন, কোনো নির্দেশনা না আসায় তিনি পাঠদান চালু রেখেছেন।
তবে নির্দেশনা না পেলেও শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে দুপুর ১টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস জাহান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ আছে। স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমি খোঁজ নিয়েছি, চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ডিগ্রির নিচে নামেনি। সে জন্য এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও বুধবার তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। কিন্তু সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলেছে।
শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, সরকারি কোনো ধরনের নির্দেশনা না পাওয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যেও যথানিয়মে পরিচালিত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র শীতের কারণে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যথারীতি চলেছে পাঠদান কার্যক্রম।
বাড়বকুণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. খুরশিদ আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাননি। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। তবে তীব্র শীতের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল।
হামিদুল্লা হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি জানেন না। আর শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনাও পাননি। তাই যথারীতি ক্লাস চলেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুচ্ছোফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দেশনার বিষয়ে তিনি জানেন। তবে বুধবার বিদ্যালয়ের বন্ধে উপ–পরিচালকের কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। তাই উপজেলার ৯৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলেছে। বুধবার তাপমাত্রা কত নেমেছিল সে বিষয়েও তাঁর কোনো ধারণা নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে একটি চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উপ–পরিচালক। উপ–পরিচালকের সঙ্গে তিনি একাধিকবার কথা বলেছেন। তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি।
সীতাকুণ্ড আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডে রোদের দেখা মিলেছে। আগামী আরও কয়েক দিন সীতাকুণ্ডের তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো জেলায় যদি তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট জেলার উপ–পরিচালকেরা। আজ (বুধবার) কোনো জেলায় স্কুল বন্ধ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আর আমরা স্কুল বন্ধের তথ্য পাঠানোর কথাও বলিনি।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা ও সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।
২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
৩১ মিনিট আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
১ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে