রবিউল আলম, ঢাকা
দেশের প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ পরীক্ষার 'বি' ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। এ ফলে গরমিলের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়েছে রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা মোহাম্মদ নাহিদ নামের এক পরীক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষায় এই শিক্ষার্থী বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৪ টির বৃত্ত ভরাট করলেও ফলে দেখানো হয়েছে, উত্তরপত্রে ৩৮টি বৃত্ত ভরাট করেছে। আবার ইংরেজি অংশে সে ৩৩টি প্রশ্নের জন্য বৃত্ত ভরাট করলেও এ অংশে ২৩টি বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষার আইসিটি অংশে নম্বর নিয়েও অভিযোগ করেছেন এই শিক্ষার্থী।
লাইভে প্রবেশপত্রে আগুন ধরিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, `এ রকম ফলের কোনো মানে হয় না। আমার ভবিষ্যৎ ওরা (ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি) যেমন পুড়িয়েছে, আমিও না হয় কিছুটা পুড়লাম। কোন আস্থা আর বিশ্বাসে আমি আবার দ্বিতীয়বার ফলের জন্য আবেদন করব? আমি প্রথমবার কী অপরাধ করেছিলাম? কিন্তু আমিসহ আমাদের সবার সঙ্গে তারা এটা কী করেছে? ভেবেছি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনেক স্বচ্ছ হবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কিছুই হয়নি।'
শুধু নাহিদ নন, গতকাল বিকেলে 'বি' ইউনিটের ফল প্রকাশের পরপরই গরমিলের অভিযোগ এনেছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাঁরা বলছেন, পরীক্ষায় ভরাটকৃত উত্তরের সঙ্গে ফলের মিল নেই। আবার প্রশ্ন ভরাটের চাইতে অনেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন। তাই পুনরায় ফলাফল যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু নোমান সালমান বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৫টির বৃত্ত ভরাট করলেও ফলে দেখানো হয়েছে উত্তরপত্রে ২০টি বৃত্ত ভরাট করেছেন। আবার ইংরেজি অংশে এই শিক্ষার্থী ১৮টি প্রশ্নের জন্য বৃত্ত ভরাট করলেও ফলে ৩০টি বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।
এদিকে গতকাল মধ্যরাতে সংশোধিত ফল প্রকাশ করেছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটি। সংশোধিত ফলে দেখা যায়, মোট বৃত্ত ভরাটের সংখ্যা ঠিকঠাক এলেও মোট নম্বর অনেক কম আসছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ নাহিদ।
নাহিদ নামের ওই শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, `পরীক্ষা শেষে আমি উত্তর মিলিয়ে দেখলাম আমার সর্বমোট ৫৮ নম্বর থাকবেই। কিন্তু সংশোধিত ফলাফলে আমার নম্বর আগের মতোই ৪০ দশমিক ৫০ এসেছে। সংশোধিত ফলে তারা নতুন করে বাংলার মার্ক ইংরেজি অংশে আর ইংরেজি অংশের মার্ক বাংলায় দিয়েছে। কিন্তু তারা তো খাতা পুনরায় যাচাই করেনি। আমি ইংরেজিতে আরও অনেক নম্বর পাব।'
তবে সংশোধিত ফলে সর্বমোট উত্তরের সংখ্যা মিললেও ফলে এখনো ভুল দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ রায়হান চৌধুরী নামের আরেক শিক্ষার্থীর। সংশোধিত ফলে তিনি মোট ৬৬ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন। পরীক্ষা শেষে যাচাই করে দেখেছিলেন ইংরেজি অংশে মাত্র একটি নৈর্ব্যক্তিক ভুল হয়েছে। এখন ফলে দেখাচ্ছে পাঁচটা ভুল হয়েছে। আবার বাংলা অংশে তিনটি উত্তর ভুল হওয়ার কথা থাকলেও এখানে দেখাচ্ছে ৯টি ভুল।
এদিকে সংশোধিত ফল নিয়েও শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ রয়েছে। নতুন করে আবার ওএমআর শিট যাচাইয়ের দাবি তাদের। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান জানান, ১ নভেম্বরে বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা শেষে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হবে। নির্ধারিত ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ফল চেক করাতে পারবেন।
দেশের প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ পরীক্ষার 'বি' ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। এ ফলে গরমিলের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়েছে রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা মোহাম্মদ নাহিদ নামের এক পরীক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষায় এই শিক্ষার্থী বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৪ টির বৃত্ত ভরাট করলেও ফলে দেখানো হয়েছে, উত্তরপত্রে ৩৮টি বৃত্ত ভরাট করেছে। আবার ইংরেজি অংশে সে ৩৩টি প্রশ্নের জন্য বৃত্ত ভরাট করলেও এ অংশে ২৩টি বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষার আইসিটি অংশে নম্বর নিয়েও অভিযোগ করেছেন এই শিক্ষার্থী।
লাইভে প্রবেশপত্রে আগুন ধরিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, `এ রকম ফলের কোনো মানে হয় না। আমার ভবিষ্যৎ ওরা (ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি) যেমন পুড়িয়েছে, আমিও না হয় কিছুটা পুড়লাম। কোন আস্থা আর বিশ্বাসে আমি আবার দ্বিতীয়বার ফলের জন্য আবেদন করব? আমি প্রথমবার কী অপরাধ করেছিলাম? কিন্তু আমিসহ আমাদের সবার সঙ্গে তারা এটা কী করেছে? ভেবেছি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনেক স্বচ্ছ হবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কিছুই হয়নি।'
শুধু নাহিদ নন, গতকাল বিকেলে 'বি' ইউনিটের ফল প্রকাশের পরপরই গরমিলের অভিযোগ এনেছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাঁরা বলছেন, পরীক্ষায় ভরাটকৃত উত্তরের সঙ্গে ফলের মিল নেই। আবার প্রশ্ন ভরাটের চাইতে অনেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন। তাই পুনরায় ফলাফল যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু নোমান সালমান বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৫টির বৃত্ত ভরাট করলেও ফলে দেখানো হয়েছে উত্তরপত্রে ২০টি বৃত্ত ভরাট করেছেন। আবার ইংরেজি অংশে এই শিক্ষার্থী ১৮টি প্রশ্নের জন্য বৃত্ত ভরাট করলেও ফলে ৩০টি বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।
এদিকে গতকাল মধ্যরাতে সংশোধিত ফল প্রকাশ করেছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটি। সংশোধিত ফলে দেখা যায়, মোট বৃত্ত ভরাটের সংখ্যা ঠিকঠাক এলেও মোট নম্বর অনেক কম আসছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ নাহিদ।
নাহিদ নামের ওই শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, `পরীক্ষা শেষে আমি উত্তর মিলিয়ে দেখলাম আমার সর্বমোট ৫৮ নম্বর থাকবেই। কিন্তু সংশোধিত ফলাফলে আমার নম্বর আগের মতোই ৪০ দশমিক ৫০ এসেছে। সংশোধিত ফলে তারা নতুন করে বাংলার মার্ক ইংরেজি অংশে আর ইংরেজি অংশের মার্ক বাংলায় দিয়েছে। কিন্তু তারা তো খাতা পুনরায় যাচাই করেনি। আমি ইংরেজিতে আরও অনেক নম্বর পাব।'
তবে সংশোধিত ফলে সর্বমোট উত্তরের সংখ্যা মিললেও ফলে এখনো ভুল দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ রায়হান চৌধুরী নামের আরেক শিক্ষার্থীর। সংশোধিত ফলে তিনি মোট ৬৬ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন। পরীক্ষা শেষে যাচাই করে দেখেছিলেন ইংরেজি অংশে মাত্র একটি নৈর্ব্যক্তিক ভুল হয়েছে। এখন ফলে দেখাচ্ছে পাঁচটা ভুল হয়েছে। আবার বাংলা অংশে তিনটি উত্তর ভুল হওয়ার কথা থাকলেও এখানে দেখাচ্ছে ৯টি ভুল।
এদিকে সংশোধিত ফল নিয়েও শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ রয়েছে। নতুন করে আবার ওএমআর শিট যাচাইয়ের দাবি তাদের। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান জানান, ১ নভেম্বরে বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা শেষে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হবে। নির্ধারিত ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ফল চেক করাতে পারবেন।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১৮ ঘণ্টা আগে