নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম। গুরুদাসপুরে তাঁকে ‘মিনি এমপি’ বলেন স্থানীয়রা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে নানা আলোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এলাকায়। এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে গৃহহীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। পরে সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন ইউএনও।
গুরুদাসপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র গৃহহীনদের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা টিন শেড ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন নজরুল ইসলাম। উপজেলার বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী জয়নব বেগমের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন নজরুল। এ ছাড়া স্থানীয় অসহায় আরও সাত নারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাত নারী হলেন—নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী আসমা বেগম, ছাইফুল হোসেনের স্ত্রী ইঞ্জিরা বেগম, মৃত হাসমত আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম, মৃত আবেদ আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মৃত তারা মিয়ার স্ত্রী হাবিয়া বেগম, আব্দুল হামিদের স্ত্রী সাহারা বানু ও ইয়াছিন আলীর মেয়ে বিউটি খাতুন।
জয়নব বেগম গত বছর বাদী হয়ে নজরুলে বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। এই মামলায় গত ২ এপ্রিল আদালতে জামিন চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নজরুল। এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৬ দিন কারাভোগের পর গত ১৮ এপ্রিল জামিনে বেরিয়ে আসেন নজরুল ইসলাম। এরপরই ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘জেল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠানোর পর গুরুদাসপুর থানার ওসির বদলি হয়ে গেছে।’ ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর নজরুলকে দলে আগের পদে বহাল করা হয়। গত ৪ মে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পরিচিতি সভায় তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এমপি আব্দুল কুদ্দুস। এমপি আব্দুল কুদ্দুস নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ দিকে টাকা না পেয়ে গত বুধবার ভুক্তভোগী সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগম গুরুদাসপুর আমলি আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নূর মোহাম্মদ ইউএনওর কার্যালয়ে অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনেন। তখন ইউএনও শ্রাবণী রায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার ওই সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের টাকা ফেরত দেন ইউএনও শ্রাবণী রায়। গতকাল সরকারি ছুটির দিন ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ভুক্তভোগী নারীদের ডেকে নিয়ে এসব টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগমের টাকা দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত পেতে তাঁদের শর্ত দেওয়া হয়েছে—নজরুলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
ইউএনও যখন তাঁর বাসভবনে ভুক্তভোগীদের ডেকে টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন তখন স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাঁর বাড়ির ফটকে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবরে ভুক্তভোগীদের ইউএনওর বাসভবনের প্রাচীর টপকে বের করে দেওয়া হয়।
ঘুষের টাকা ফেরত নেওয়া নারীরা জানান, ইউএনও গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের ফোনকল করে টাকা নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে যেতে বলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসমা বেগম, ইঞ্জিরা বেগম, রাবিয়া বেগম, রিজিয়া বেগম, হাবিয়া বেগম, সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগম ইউএনওর বাসভবনে যান। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযোগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউএনও। বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে অভিযোগকারী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং একজনকে ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
প্রাচীর টপকে পার হওয়া নারীদের মধ্যে আসমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকদের দৃষ্টি এড়াতে ইউএনওর পরামর্শে তাঁর গাড়িচালক জয়নাল হোসেনের সহায়তায় মই বেয়ে প্রাচীর টপকে বেরিয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগী নারীরা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুম আহমেদ অভিযোগের বিষয়ে শুনানির পর রাতে নজরুল ইসলাম তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে আসেন এবং ইউএনওর মাধ্যমে তাঁরা সবাই টাকা ফেরত পাবেন বলেও আশ্বাস দেন।
গুরুদাসপুরের ইউএনও শ্রাবণী রায় জানান, নজরুল ইসলামের কাছ থেকে আদায় করেই টাকাগুলো ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত দিতে এত গোপনীয়তা কেন—তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ইউএনও। তিনি বলেছেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। আমি শুধু আমার সরকারি দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো নেতার প্রতি দুর্বলতা থেকে আমি কিছু করিনি।’
এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে নজরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকালে ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমি পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ গৃহহীনদের দিয়ে মামলা করিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। জেলে যাওয়ার আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পুকুর খননের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে চিঠি দিই। এই চিঠিতে গুরুদাসপুর থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল মতিনের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ ছিল। এরপর তিনি বদলি হয়েছেন। আমি জেল থেকে বের হয়ে লাইভে বলেছিলাম যে, আমি ওসিকে বদলি করিয়েছি। শুক্রবার ইউএনও আমার থেকে কোনো টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী কাউকে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। তবে ইউএনও অত্যন্ত ভালো মানুষ।’
এলাকায় তাঁকে ‘মিনি এমপি’ ডাকা হয় কেন জানতে চাইলে নজরুল পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমি মিনি এমপি হলে আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করবে কী করে? আমি এমপি কুদ্দুসের রাজনীতি করি।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘নজরুল পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। কিন্তু এলাকায় প্রভাবশালী। প্রতারণা করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে হয়রানি করেন। প্রশাসনও তাঁর কথায় চলে। এমপির ঘনিষ্ঠ এই নজরুলের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।’
গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী বলেন, ‘নজরুল সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রতারক হিসেবে নানা অপকর্মে জড়িত। আমাদের লজ্জা হয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প বেচে যিনি গরিবদের থেকে টাকা আদায় করার পরও সাংসদের সঙ্গে থাকেন।’
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম। গুরুদাসপুরে তাঁকে ‘মিনি এমপি’ বলেন স্থানীয়রা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে নানা আলোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এলাকায়। এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে গৃহহীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। পরে সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন ইউএনও।
গুরুদাসপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র গৃহহীনদের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা টিন শেড ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন নজরুল ইসলাম। উপজেলার বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী জয়নব বেগমের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন নজরুল। এ ছাড়া স্থানীয় অসহায় আরও সাত নারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাত নারী হলেন—নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী আসমা বেগম, ছাইফুল হোসেনের স্ত্রী ইঞ্জিরা বেগম, মৃত হাসমত আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম, মৃত আবেদ আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মৃত তারা মিয়ার স্ত্রী হাবিয়া বেগম, আব্দুল হামিদের স্ত্রী সাহারা বানু ও ইয়াছিন আলীর মেয়ে বিউটি খাতুন।
জয়নব বেগম গত বছর বাদী হয়ে নজরুলে বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। এই মামলায় গত ২ এপ্রিল আদালতে জামিন চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নজরুল। এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৬ দিন কারাভোগের পর গত ১৮ এপ্রিল জামিনে বেরিয়ে আসেন নজরুল ইসলাম। এরপরই ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘জেল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠানোর পর গুরুদাসপুর থানার ওসির বদলি হয়ে গেছে।’ ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর নজরুলকে দলে আগের পদে বহাল করা হয়। গত ৪ মে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পরিচিতি সভায় তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এমপি আব্দুল কুদ্দুস। এমপি আব্দুল কুদ্দুস নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ দিকে টাকা না পেয়ে গত বুধবার ভুক্তভোগী সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগম গুরুদাসপুর আমলি আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নূর মোহাম্মদ ইউএনওর কার্যালয়ে অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনেন। তখন ইউএনও শ্রাবণী রায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার ওই সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের টাকা ফেরত দেন ইউএনও শ্রাবণী রায়। গতকাল সরকারি ছুটির দিন ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ভুক্তভোগী নারীদের ডেকে নিয়ে এসব টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগমের টাকা দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত পেতে তাঁদের শর্ত দেওয়া হয়েছে—নজরুলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
ইউএনও যখন তাঁর বাসভবনে ভুক্তভোগীদের ডেকে টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন তখন স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাঁর বাড়ির ফটকে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবরে ভুক্তভোগীদের ইউএনওর বাসভবনের প্রাচীর টপকে বের করে দেওয়া হয়।
ঘুষের টাকা ফেরত নেওয়া নারীরা জানান, ইউএনও গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের ফোনকল করে টাকা নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে যেতে বলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসমা বেগম, ইঞ্জিরা বেগম, রাবিয়া বেগম, রিজিয়া বেগম, হাবিয়া বেগম, সাহারা বেগম ও মমতাজ বেগম ইউএনওর বাসভবনে যান। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযোগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউএনও। বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে অভিযোগকারী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং একজনকে ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
প্রাচীর টপকে পার হওয়া নারীদের মধ্যে আসমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকদের দৃষ্টি এড়াতে ইউএনওর পরামর্শে তাঁর গাড়িচালক জয়নাল হোসেনের সহায়তায় মই বেয়ে প্রাচীর টপকে বেরিয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগী নারীরা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুম আহমেদ অভিযোগের বিষয়ে শুনানির পর রাতে নজরুল ইসলাম তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে আসেন এবং ইউএনওর মাধ্যমে তাঁরা সবাই টাকা ফেরত পাবেন বলেও আশ্বাস দেন।
গুরুদাসপুরের ইউএনও শ্রাবণী রায় জানান, নজরুল ইসলামের কাছ থেকে আদায় করেই টাকাগুলো ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত দিতে এত গোপনীয়তা কেন—তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ইউএনও। তিনি বলেছেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। আমি শুধু আমার সরকারি দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো নেতার প্রতি দুর্বলতা থেকে আমি কিছু করিনি।’
এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে নজরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকালে ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমি পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ গৃহহীনদের দিয়ে মামলা করিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। জেলে যাওয়ার আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পুকুর খননের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে চিঠি দিই। এই চিঠিতে গুরুদাসপুর থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল মতিনের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ ছিল। এরপর তিনি বদলি হয়েছেন। আমি জেল থেকে বের হয়ে লাইভে বলেছিলাম যে, আমি ওসিকে বদলি করিয়েছি। শুক্রবার ইউএনও আমার থেকে কোনো টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী কাউকে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। তবে ইউএনও অত্যন্ত ভালো মানুষ।’
এলাকায় তাঁকে ‘মিনি এমপি’ ডাকা হয় কেন জানতে চাইলে নজরুল পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমি মিনি এমপি হলে আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করবে কী করে? আমি এমপি কুদ্দুসের রাজনীতি করি।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘নজরুল পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। কিন্তু এলাকায় প্রভাবশালী। প্রতারণা করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে হয়রানি করেন। প্রশাসনও তাঁর কথায় চলে। এমপির ঘনিষ্ঠ এই নজরুলের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।’
গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী বলেন, ‘নজরুল সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রতারক হিসেবে নানা অপকর্মে জড়িত। আমাদের লজ্জা হয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প বেচে যিনি গরিবদের থেকে টাকা আদায় করার পরও সাংসদের সঙ্গে থাকেন।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে