পাবনা ও ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি
দরজি হাসিনুর রহমান হাসুর বাড়ির সামনে মাটিতে একটি তাবিজ পুঁততে গিয়েছিলেন রিমন সরকার। তাবিজ পোঁতা শেষে তাঁকে দেখে ফেলেন হাসু। রিমনকে ঘরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখন ঘরে থাকা শাবল দিয়ে হাসুর মাথায় আঘাত করেন রিমন। পরে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে সিঁধ কেটে পালিয়ে যান। পরদিন দুপুরে তালাবদ্ধ ওই ঘর থেকে দরজি হাসিনুর রহমান হাসুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া হারোপাড়া মহল্লার দরজি হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন সরকারকে (২৩) গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে রিমনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমন উপজেলার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলাম সরকারের ছেলে এবং নিহত হাসুর সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সাজেদা খাতুনের ছোট বোনের স্বামী।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিমন এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে হাসুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি শাবল, একটি দা ও মাটিতে পুঁতে রাখা তাবিজ উদ্ধার করা হয়।
হত্যার কারণ ও কীভাবে হত্যা করা হয় এ বিষয়ে রিমন সরকারের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি রাশিদুল ইসলাম জানান, দরজি হাসিনুর রহমান হাসু তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে পারিবারিক দ্বন্দ্বে কিছুদিন আগে তালাক দেন। তাঁদের সংসারে সন্তানও রয়েছে। তালাকের পর থেকে সাজেদা খাতুন নানাভাবে হাসুর সংসারে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
স্বামীকে বশে আনতে এক কবিরাজের কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে আসেন সাজেদা। সেই তাবিজ ছোট বোনের স্বামী রিমন সরকারকে দেন। হাসিনুরের বাড়ির যাতায়াতের পথে মাটিতে পুঁতে রেখে আসতে বলে তাঁকে। সেই মোতাবেক রিমন গত ১৫ আগস্ট রাতে হাসিনুরের বাড়ির সামনে মাটিতে তাবিজটি পুঁতে রাখতে যান। তাবিজ পোঁতা শেষ হওয়ার পর রিমনকে দেখে ফেলেন হাসিনুর। তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন—এত রাতে বাড়ির সামনে কেন, কী উদ্দেশ্যে তিনি এসেছে এসব জানতে চান।
একপর্যায়ে রিমন পালানোর চেষ্টা করলে হাসিনুর তাঁকে জাপটে ধরেন। রিমন এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘরে থাকা লোহার শাবল দিয়ে হাসিনুরের মাথায় আঘাত করে। এতে হাসিনুর মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথায় আরও কয়েকটি আঘাত করেন রিমন। মৃত্যু নিশ্চিত করে শাবল, একটি দা ও হাসিনুরের মোবাইল ফোন নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এরপর ঘরের পেছনে মাটির মেঝেতে সিঁধ কেটে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে শাবল ও দা ফেলে যান।
নিরাপদ স্থানে গিয়ে হাসিনুরের মোবাইলের সিম খুলে ফেলে দিয়ে নিজের সিম তুলে স্ত্রীর বড় বোন সাজেদা খাতুনকে কল দেন রিমন। সাজেদাকে বলেন, ‘তাবিজ মাটিতে পোঁতার কাজ হয়ে গেছে, চিন্তার কিছু নেই।’ রিমন তাঁকে আরও বলেন, হাসিনুরের বাড়ির সামনে তিনজন মুখোশপরা লোককে তিনি ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। হাসিনুরকে হত্যায় যেন তাঁকে সন্দেহ করা না সে জন্যই তিনি এ গল্প ফাঁদেন। এরপর বাড়িতে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন রিমন সরকার।
গত ১৭ আগস্ট রাতে হাসিনুরের ছেলে রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওসি রাশিদুল জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হাসিনুরের ফোনে নিজের সিম ঢুকিয়ে সাজেদার সঙ্গে রিমনের কথা বলার সূত্র বের করে ফেলে পুলিশ। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত শাবল ও দা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। হাসিনুরের সাবেক স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের হাড়োপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে দরজি হাসিনুর রহমান হাসুর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাসিনুর রহমান ওই এলাকার সোবহান আলীর ছেলে।
দরজি হাসিনুর রহমান হাসুর বাড়ির সামনে মাটিতে একটি তাবিজ পুঁততে গিয়েছিলেন রিমন সরকার। তাবিজ পোঁতা শেষে তাঁকে দেখে ফেলেন হাসু। রিমনকে ঘরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখন ঘরে থাকা শাবল দিয়ে হাসুর মাথায় আঘাত করেন রিমন। পরে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে সিঁধ কেটে পালিয়ে যান। পরদিন দুপুরে তালাবদ্ধ ওই ঘর থেকে দরজি হাসিনুর রহমান হাসুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া হারোপাড়া মহল্লার দরজি হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন সরকারকে (২৩) গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে রিমনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমন উপজেলার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলাম সরকারের ছেলে এবং নিহত হাসুর সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সাজেদা খাতুনের ছোট বোনের স্বামী।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিমন এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে হাসুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি শাবল, একটি দা ও মাটিতে পুঁতে রাখা তাবিজ উদ্ধার করা হয়।
হত্যার কারণ ও কীভাবে হত্যা করা হয় এ বিষয়ে রিমন সরকারের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি রাশিদুল ইসলাম জানান, দরজি হাসিনুর রহমান হাসু তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে পারিবারিক দ্বন্দ্বে কিছুদিন আগে তালাক দেন। তাঁদের সংসারে সন্তানও রয়েছে। তালাকের পর থেকে সাজেদা খাতুন নানাভাবে হাসুর সংসারে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
স্বামীকে বশে আনতে এক কবিরাজের কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে আসেন সাজেদা। সেই তাবিজ ছোট বোনের স্বামী রিমন সরকারকে দেন। হাসিনুরের বাড়ির যাতায়াতের পথে মাটিতে পুঁতে রেখে আসতে বলে তাঁকে। সেই মোতাবেক রিমন গত ১৫ আগস্ট রাতে হাসিনুরের বাড়ির সামনে মাটিতে তাবিজটি পুঁতে রাখতে যান। তাবিজ পোঁতা শেষ হওয়ার পর রিমনকে দেখে ফেলেন হাসিনুর। তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন—এত রাতে বাড়ির সামনে কেন, কী উদ্দেশ্যে তিনি এসেছে এসব জানতে চান।
একপর্যায়ে রিমন পালানোর চেষ্টা করলে হাসিনুর তাঁকে জাপটে ধরেন। রিমন এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘরে থাকা লোহার শাবল দিয়ে হাসিনুরের মাথায় আঘাত করে। এতে হাসিনুর মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথায় আরও কয়েকটি আঘাত করেন রিমন। মৃত্যু নিশ্চিত করে শাবল, একটি দা ও হাসিনুরের মোবাইল ফোন নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এরপর ঘরের পেছনে মাটির মেঝেতে সিঁধ কেটে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে শাবল ও দা ফেলে যান।
নিরাপদ স্থানে গিয়ে হাসিনুরের মোবাইলের সিম খুলে ফেলে দিয়ে নিজের সিম তুলে স্ত্রীর বড় বোন সাজেদা খাতুনকে কল দেন রিমন। সাজেদাকে বলেন, ‘তাবিজ মাটিতে পোঁতার কাজ হয়ে গেছে, চিন্তার কিছু নেই।’ রিমন তাঁকে আরও বলেন, হাসিনুরের বাড়ির সামনে তিনজন মুখোশপরা লোককে তিনি ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। হাসিনুরকে হত্যায় যেন তাঁকে সন্দেহ করা না সে জন্যই তিনি এ গল্প ফাঁদেন। এরপর বাড়িতে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন রিমন সরকার।
গত ১৭ আগস্ট রাতে হাসিনুরের ছেলে রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওসি রাশিদুল জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হাসিনুরের ফোনে নিজের সিম ঢুকিয়ে সাজেদার সঙ্গে রিমনের কথা বলার সূত্র বের করে ফেলে পুলিশ। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত শাবল ও দা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। হাসিনুরের সাবেক স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের হাড়োপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে দরজি হাসিনুর রহমান হাসুর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাসিনুর রহমান ওই এলাকার সোবহান আলীর ছেলে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে