চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
ইফতারির ব্যাগ হাতে নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গ্যারেজে মেরামত করতে দেওয়া মোটরসাইকেল নিতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খাইরুল আলম জেম (৫০)। এ সময় পেছন থেকে এক ব্যক্তি এসে তাঁর পায়ে হাম্বল (শাবল) দিয়ে আঘাত করলে জেম চিৎকার করে বলেন, ‘আমি রোজা আছি, মারিস না।’ এর পরই সামনে থেকে আরও তিন-চারজন দেশীয় অস্ত্র ও হাম্বল দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে জেম নিস্তেজ হয়ে পড়লে দ্রুত পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
কথাগুলো বলছিলেন নিহত জেমের সঙ্গে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী পৌর যুবলীগের নেতা মামুন আলী।
আজ বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হত্যায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দুপুর দেড়টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের শান্তি মোড়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। অবরোধের কারণে রাস্তার চারপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় গোরস্থানে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এর আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় ওয়ালটন মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নেতা-কর্মীরা। সেখানেই রাস্তার পাশে আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না হলেও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দুজনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরাধী যেই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।’
নিহত সাবেক কাউন্সিলর শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক মামুন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে খাইরুল আলম জেম শহরের উদয়ন মোড়ের একটি হোটেল থেকে ইফতারি কেনেন। এর পরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অংশ নেয় এলাকার চিহ্নিত সাত-আটজন সন্ত্রাসী। মাত্র দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। পরে আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মামুন আলী আরও বলেন, ‘একজন রোজাদার ব্যক্তি বলার পরেও তাঁকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো। যাঁরা বাঁচাতে এগিয়ে গেছেন তাঁদেরও ছোরা বের করে হত্যার হুমকি দেওয়ায় কেউ কাছে আসেননি।’
২৫০ শয্যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় জেমকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালে রাত ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মাথায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে রক্তশূন্য হয়ে তিনি মারা গেছেন।’
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই হাসপাতাল ও থানায় ভিড় জমান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। রাতেই শহরে যুবলীগের নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইফতারির ব্যাগ হাতে নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গ্যারেজে মেরামত করতে দেওয়া মোটরসাইকেল নিতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খাইরুল আলম জেম (৫০)। এ সময় পেছন থেকে এক ব্যক্তি এসে তাঁর পায়ে হাম্বল (শাবল) দিয়ে আঘাত করলে জেম চিৎকার করে বলেন, ‘আমি রোজা আছি, মারিস না।’ এর পরই সামনে থেকে আরও তিন-চারজন দেশীয় অস্ত্র ও হাম্বল দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে জেম নিস্তেজ হয়ে পড়লে দ্রুত পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
কথাগুলো বলছিলেন নিহত জেমের সঙ্গে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী পৌর যুবলীগের নেতা মামুন আলী।
আজ বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হত্যায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দুপুর দেড়টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের শান্তি মোড়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। অবরোধের কারণে রাস্তার চারপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় গোরস্থানে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এর আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় ওয়ালটন মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নেতা-কর্মীরা। সেখানেই রাস্তার পাশে আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না হলেও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দুজনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরাধী যেই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।’
নিহত সাবেক কাউন্সিলর শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক মামুন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে খাইরুল আলম জেম শহরের উদয়ন মোড়ের একটি হোটেল থেকে ইফতারি কেনেন। এর পরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অংশ নেয় এলাকার চিহ্নিত সাত-আটজন সন্ত্রাসী। মাত্র দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। পরে আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মামুন আলী আরও বলেন, ‘একজন রোজাদার ব্যক্তি বলার পরেও তাঁকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো। যাঁরা বাঁচাতে এগিয়ে গেছেন তাঁদেরও ছোরা বের করে হত্যার হুমকি দেওয়ায় কেউ কাছে আসেননি।’
২৫০ শয্যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় জেমকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালে রাত ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মাথায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে রক্তশূন্য হয়ে তিনি মারা গেছেন।’
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই হাসপাতাল ও থানায় ভিড় জমান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। রাতেই শহরে যুবলীগের নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে