রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে এক যুবককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার মামলায় নারীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাদল মণ্ডল (৪৬), রাজশাহীর তানোর উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের বিমল সিং (৫০), বিমলের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৪৫) ও তাঁদের ছেলে সুবোধ সিং (২৮)। রায় ঘোষণার পর আসামিদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, তানোরের এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের নির্মল সিংয়ের ছেলে প্রকাশ সিংকে (২০) হত্যার দায়ে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। নিহত প্রকাশ দণ্ডপ্রাপ্ত বিমল সিংয়ের ছোট ভাইয়ের ছেলে। প্রকাশ রাজশাহীর নবরূপ মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানের পরিবেশন কর্মী ছিলেন। গত বছরের ২৯ এপ্রিল সকালে তানোরের বংশীধরপুর ব্রিজের কাছে প্রকাশের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় লকডাউনের কারণে তিনি গ্রামে থাকতেন। তাঁর মরদেহের গলা কাটা, মাথায়-পিঠে-বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ হত্যার ঘটনায় নির্মল সিং তানোর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অঞ্জলী রানীর সঙ্গে বাদল মণ্ডলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রকাশকে হত্যার এক মাস আগে বাদল একদিন সন্ধ্যায় অঞ্জলীর ঘরে ঢুকেছিলেন। তখন নির্মল সিং দেখে ফেলেন এবং বাদলকে ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় বাদল পালিয়ে যান। নির্মল ও তাঁর ছেলে প্রকাশ এ সম্পর্কে প্রতিবাদ করলে বাদল তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন। এরই জেরে পরিকল্পিতভাবে প্রকাশকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার ছয় দিনের মধ্যে তানোর থানার পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানান, স্বামীর অবর্তমানে প্রায়ই বাদলের সঙ্গে মিলিত হতেন অঞ্জলী। বিষয়টি প্রকাশ ও নির্মল জেনে যান। তাই অঞ্জলী ও তাঁর প্রেমিক বাদল প্রকাশকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। অঞ্জলী এই পরিকল্পনায় যুক্ত করেন তাঁর স্বামী ও বড় ছেলেকে। ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল রাতে বিমল ও তাঁর ছেলে সুবোধ কৌশলে প্রকাশকে ফসলি মাঠের নির্জন রাস্তার ধারে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন বাদল ও অঞ্জলী। পরে চারজন মিলে প্রকাশকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ ধরনের হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিচ প্রকৃতির কাজ। এসব ঘটনার কারণে আবহমানকালের পারিবারিক সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক ও সামাজিক সম্পর্ক প্রচণ্ডভাবে হোঁচট খাচ্ছে। স্থানীয় ও সমাজে এ ধরনের ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ ধরনের কাজের জন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, গ্রেপ্তারের পর আসামিরা হত্যার সঙ্গে সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। চার আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে ছিলেন। জামিনে ছিলেন অঞ্জলী। রায় ঘোষণার দিন সবাই আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ২০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন। এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।
আসামিপক্ষে এই মামলা লড়ছিলেন আইনজীবী বেনজীর আহমেদ, হামিদুল হক, মিজানুল হক এবং এস এম জ্যোতি উল ইসলাম। তাঁরা এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাজশাহীতে এক যুবককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার মামলায় নারীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাদল মণ্ডল (৪৬), রাজশাহীর তানোর উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের বিমল সিং (৫০), বিমলের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৪৫) ও তাঁদের ছেলে সুবোধ সিং (২৮)। রায় ঘোষণার পর আসামিদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, তানোরের এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের নির্মল সিংয়ের ছেলে প্রকাশ সিংকে (২০) হত্যার দায়ে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। নিহত প্রকাশ দণ্ডপ্রাপ্ত বিমল সিংয়ের ছোট ভাইয়ের ছেলে। প্রকাশ রাজশাহীর নবরূপ মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানের পরিবেশন কর্মী ছিলেন। গত বছরের ২৯ এপ্রিল সকালে তানোরের বংশীধরপুর ব্রিজের কাছে প্রকাশের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় লকডাউনের কারণে তিনি গ্রামে থাকতেন। তাঁর মরদেহের গলা কাটা, মাথায়-পিঠে-বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ হত্যার ঘটনায় নির্মল সিং তানোর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অঞ্জলী রানীর সঙ্গে বাদল মণ্ডলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রকাশকে হত্যার এক মাস আগে বাদল একদিন সন্ধ্যায় অঞ্জলীর ঘরে ঢুকেছিলেন। তখন নির্মল সিং দেখে ফেলেন এবং বাদলকে ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় বাদল পালিয়ে যান। নির্মল ও তাঁর ছেলে প্রকাশ এ সম্পর্কে প্রতিবাদ করলে বাদল তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন। এরই জেরে পরিকল্পিতভাবে প্রকাশকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার ছয় দিনের মধ্যে তানোর থানার পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানান, স্বামীর অবর্তমানে প্রায়ই বাদলের সঙ্গে মিলিত হতেন অঞ্জলী। বিষয়টি প্রকাশ ও নির্মল জেনে যান। তাই অঞ্জলী ও তাঁর প্রেমিক বাদল প্রকাশকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। অঞ্জলী এই পরিকল্পনায় যুক্ত করেন তাঁর স্বামী ও বড় ছেলেকে। ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল রাতে বিমল ও তাঁর ছেলে সুবোধ কৌশলে প্রকাশকে ফসলি মাঠের নির্জন রাস্তার ধারে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন বাদল ও অঞ্জলী। পরে চারজন মিলে প্রকাশকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ ধরনের হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিচ প্রকৃতির কাজ। এসব ঘটনার কারণে আবহমানকালের পারিবারিক সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক ও সামাজিক সম্পর্ক প্রচণ্ডভাবে হোঁচট খাচ্ছে। স্থানীয় ও সমাজে এ ধরনের ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ ধরনের কাজের জন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, গ্রেপ্তারের পর আসামিরা হত্যার সঙ্গে সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। চার আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে ছিলেন। জামিনে ছিলেন অঞ্জলী। রায় ঘোষণার দিন সবাই আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ২০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন। এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।
আসামিপক্ষে এই মামলা লড়ছিলেন আইনজীবী বেনজীর আহমেদ, হামিদুল হক, মিজানুল হক এবং এস এম জ্যোতি উল ইসলাম। তাঁরা এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে