রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী থেকে চার কিশোরীকে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ ঢাকা থেকে তাদের উদ্ধার করেছে। ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে কিশোরীদের ঢাকায় নিয়ে দালালদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। এর মধ্যে এক কিশোরীর বাবা রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। সেই সূত্র ধরে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাভারের একটি বাসা থেকে এক নারীসহ চার কিশোরীকে উদ্ধার করে।
আটক নারীকে এক কিশোরীর বাবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁর নাম মোসা. চাঁদনী (৩০)। তিনি নগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী। সুরুজ ও চাঁদনী নগরীর মহিষবাথান এলাকার ভাড়াটিয়া। ভুক্তভোগী চার কিশোরীর মধ্যে একজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বাকি তিনজন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দুজনের বাবা রিকশাচালক। একজনের বাবা নির্মাণশ্রমিক। অন্য আরেকজনের বাবা ছাগলের ব্যাপারী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজপাড়া থানায় এই কিশোরীদের সঙ্গে কথা হয়। তারা কীভাবে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল জানতে চাইলে সবাই বলে, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভালো বলতে পারবে। সে জানায়, চাঁদনী তাদের ঢাকায় ভালো চাকরির কথা বলেছিলেন। ভালো টাকা-পয়সা পাওয়া যাবে। নিজের মতো খরচ করা যাবে। এই প্রস্তাবে তারা চাঁদনীর সঙ্গে যেতে রাজি হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রথমে তিনজন বাড়ি থেকে বের হয়। পরে তাদের সঙ্গে আরেকজন যোগ দেয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের নগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ের একটি ডেকোরেটরের দোকানের গুদামঘরে রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসে করে তারা ঢাকায় রওনা হয়।
বাবা-মাকে না জানিয়ে কেন গিয়েছ, জানতে চাইলে মেয়েটি বলে, জানতে পারলে বাবা-মা যেতে দেবে না, তাই বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিল। ঢাকায় যাওয়ার পরে তাদের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলা হয়। ওই অটোরিকশার চালকের কথা শুনে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা খাওয়ার কথা বলে একটি হোটেলে নামে। সেখানেই চার-পাঁচ যুবক তাদের পিছু নেয়। তখন কিশোরীরা বিষয়টি হোটেলের একজন কর্মচারীকে জানায়। খাওয়ার পরে তারা ওই কর্মচারীর আত্মীয়ের বাসায় যেতে চায়। কিন্তু ওই যুবকেরা তাদের পিছু ছাড়ে না। অন্য কেউ কথা বলতে চাইলে চাঁদনী তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেন না। বলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে। কোনোভাবে তারা ওই হোটেল কর্মচারীর আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ওঠে। সেখানে চাঁদনীও যান। এরই মধ্যে ফোনে তিনি বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে থাকেন।
থানায় এই কিশোরীরা সব কথা চাঁদনীর পাশে বসেই বলছিল। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদনী তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাঁদনী এই চার কিশোরীকে যৌন কার্যকলাপে নিয়োগের জন্য ফুসলিয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। তাঁরা স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ফিরে না এলে অভিভাবকেরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ওই চার কিশোরীকে নগরের মহিষবাথান কলোনির উত্তর পাশের গেট দিয়ে যেতে দেখেছেন।
‘এই খবর পেয়ে তাঁরা চাঁদনীর স্বামীর কাছে যান। চাঁদনীর স্বামীর কাছ থেকে জানতে পারেন, চাঁদনীও কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যান এবং ১০-১২ দিন পর ফিরে আসেন। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কিশোরীদের অভিভাবকেরা ধারণা করেন, চাঁদনীসহ তাঁর সহযোগীরা কিশোরীদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছেন। এক কিশোরীর বাবা এই অভিযোগে থানায় মামলা করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানার পূর্ব রাজাসন এলাকার একটি বাসা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর হেফাজত থেকে ওই চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।’
ওসি জানান, চার কিশোরীর কেউই বলেনি যে তাদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। এর পরও নিশ্চিত হতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে আজই তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এটি শেষ হলে তাদের আদালতে তোলা হবে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেবে। এরপর আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত নারীকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী থেকে চার কিশোরীকে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ ঢাকা থেকে তাদের উদ্ধার করেছে। ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে কিশোরীদের ঢাকায় নিয়ে দালালদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। এর মধ্যে এক কিশোরীর বাবা রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। সেই সূত্র ধরে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাভারের একটি বাসা থেকে এক নারীসহ চার কিশোরীকে উদ্ধার করে।
আটক নারীকে এক কিশোরীর বাবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁর নাম মোসা. চাঁদনী (৩০)। তিনি নগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী। সুরুজ ও চাঁদনী নগরীর মহিষবাথান এলাকার ভাড়াটিয়া। ভুক্তভোগী চার কিশোরীর মধ্যে একজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বাকি তিনজন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দুজনের বাবা রিকশাচালক। একজনের বাবা নির্মাণশ্রমিক। অন্য আরেকজনের বাবা ছাগলের ব্যাপারী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজপাড়া থানায় এই কিশোরীদের সঙ্গে কথা হয়। তারা কীভাবে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল জানতে চাইলে সবাই বলে, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভালো বলতে পারবে। সে জানায়, চাঁদনী তাদের ঢাকায় ভালো চাকরির কথা বলেছিলেন। ভালো টাকা-পয়সা পাওয়া যাবে। নিজের মতো খরচ করা যাবে। এই প্রস্তাবে তারা চাঁদনীর সঙ্গে যেতে রাজি হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রথমে তিনজন বাড়ি থেকে বের হয়। পরে তাদের সঙ্গে আরেকজন যোগ দেয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের নগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ের একটি ডেকোরেটরের দোকানের গুদামঘরে রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসে করে তারা ঢাকায় রওনা হয়।
বাবা-মাকে না জানিয়ে কেন গিয়েছ, জানতে চাইলে মেয়েটি বলে, জানতে পারলে বাবা-মা যেতে দেবে না, তাই বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিল। ঢাকায় যাওয়ার পরে তাদের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলা হয়। ওই অটোরিকশার চালকের কথা শুনে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা খাওয়ার কথা বলে একটি হোটেলে নামে। সেখানেই চার-পাঁচ যুবক তাদের পিছু নেয়। তখন কিশোরীরা বিষয়টি হোটেলের একজন কর্মচারীকে জানায়। খাওয়ার পরে তারা ওই কর্মচারীর আত্মীয়ের বাসায় যেতে চায়। কিন্তু ওই যুবকেরা তাদের পিছু ছাড়ে না। অন্য কেউ কথা বলতে চাইলে চাঁদনী তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেন না। বলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে। কোনোভাবে তারা ওই হোটেল কর্মচারীর আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ওঠে। সেখানে চাঁদনীও যান। এরই মধ্যে ফোনে তিনি বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে থাকেন।
থানায় এই কিশোরীরা সব কথা চাঁদনীর পাশে বসেই বলছিল। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদনী তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাঁদনী এই চার কিশোরীকে যৌন কার্যকলাপে নিয়োগের জন্য ফুসলিয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। তাঁরা স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ফিরে না এলে অভিভাবকেরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ওই চার কিশোরীকে নগরের মহিষবাথান কলোনির উত্তর পাশের গেট দিয়ে যেতে দেখেছেন।
‘এই খবর পেয়ে তাঁরা চাঁদনীর স্বামীর কাছে যান। চাঁদনীর স্বামীর কাছ থেকে জানতে পারেন, চাঁদনীও কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যান এবং ১০-১২ দিন পর ফিরে আসেন। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কিশোরীদের অভিভাবকেরা ধারণা করেন, চাঁদনীসহ তাঁর সহযোগীরা কিশোরীদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছেন। এক কিশোরীর বাবা এই অভিযোগে থানায় মামলা করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানার পূর্ব রাজাসন এলাকার একটি বাসা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর হেফাজত থেকে ওই চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।’
ওসি জানান, চার কিশোরীর কেউই বলেনি যে তাদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। এর পরও নিশ্চিত হতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে আজই তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এটি শেষ হলে তাদের আদালতে তোলা হবে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেবে। এরপর আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত নারীকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে