কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে মামলা করেন। এর মধ্যে মামলার আগে শফিকুল ইসলামকে আটক এবং মামলার পরে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাশেম আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
গতকাল শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ওই গ্রামের পল্লি চিকিৎসক ডা. লতিফের বাড়িতে ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় মিটিং করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তখন দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়।
এ ঘটনায় খারনৈ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক গেধু মিয়া, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাছ আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার, ডা. লতিফ, কাসেম আলী, সোহেল, খালেক মেম্বার, রতন আকুঞ্জিসহ বিএনপির অন্তত ২০ জন ও আওয়ামী লীগের চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার বলেন, ‘আমরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা শেষে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তদের নাম প্রকাশ করছিলাম। এমন সময় ইউপি যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও হারুন মন্ডলের নেতৃত্বে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার কোমরে কয়েকটি আঘাত করেছে। ডা. লতিফসহ আরও ২০ জনকে বেধড়ক পিটিয়েছে। আহতের ভয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালে যেতে পারছেন না তাঁরা। অনেকে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত লতিফকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ নিয়ে খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক বলেন, ‘বাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়া এবং বাইরে থেকে দেখা যায় না। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অমানবিকভাবে রামদা, রড ও বইঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান আওয়ামী লীগের ৪০-৪৫ জন নেতা-কর্মীরা। ইউপি বিএনপির আহ্বায়ককে মেরেছে, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুরসহ ১৫-২০ জনকে মেরে মারাত্মক আহত করেছে। তাঁদের কলমাকান্দা হাসপাতালে আনার সুবিধা নাই। তাই তাঁদের দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাউসাম বাজার থেকে আমার ভাতিজা পল্লি পশু চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।’
এদিকে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ওরা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগানসহ আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলতেছিল। পরে আমরা লোকজন গিয়ে তাদের বলেছি তোমরা মিটিং করো, কিন্তু নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন কথা বোলো না। এই কথা বলতেই ছাত্রলীগের এক কর্মীকে লাথি মারে। পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এ সময় আমাদের চার নেতা-কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।’
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘শুনেছি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওপর বিএনপি হামলা করেছে। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিএনপির কেউ এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে মামলা করেন। এর মধ্যে মামলার আগে শফিকুল ইসলামকে আটক এবং মামলার পরে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাশেম আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
গতকাল শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ওই গ্রামের পল্লি চিকিৎসক ডা. লতিফের বাড়িতে ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় মিটিং করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তখন দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়।
এ ঘটনায় খারনৈ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক গেধু মিয়া, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাছ আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার, ডা. লতিফ, কাসেম আলী, সোহেল, খালেক মেম্বার, রতন আকুঞ্জিসহ বিএনপির অন্তত ২০ জন ও আওয়ামী লীগের চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার বলেন, ‘আমরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা শেষে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তদের নাম প্রকাশ করছিলাম। এমন সময় ইউপি যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও হারুন মন্ডলের নেতৃত্বে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার কোমরে কয়েকটি আঘাত করেছে। ডা. লতিফসহ আরও ২০ জনকে বেধড়ক পিটিয়েছে। আহতের ভয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালে যেতে পারছেন না তাঁরা। অনেকে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত লতিফকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ নিয়ে খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক বলেন, ‘বাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়া এবং বাইরে থেকে দেখা যায় না। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অমানবিকভাবে রামদা, রড ও বইঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান আওয়ামী লীগের ৪০-৪৫ জন নেতা-কর্মীরা। ইউপি বিএনপির আহ্বায়ককে মেরেছে, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুরসহ ১৫-২০ জনকে মেরে মারাত্মক আহত করেছে। তাঁদের কলমাকান্দা হাসপাতালে আনার সুবিধা নাই। তাই তাঁদের দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাউসাম বাজার থেকে আমার ভাতিজা পল্লি পশু চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।’
এদিকে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ওরা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগানসহ আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলতেছিল। পরে আমরা লোকজন গিয়ে তাদের বলেছি তোমরা মিটিং করো, কিন্তু নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন কথা বোলো না। এই কথা বলতেই ছাত্রলীগের এক কর্মীকে লাথি মারে। পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এ সময় আমাদের চার নেতা-কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।’
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘শুনেছি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওপর বিএনপি হামলা করেছে। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিএনপির কেউ এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে