নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
যশোরে অটোরিকশাচালক বিল্লাল হোসেন মিয়াদ (২৮) খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারকৃত দুজন গতকাল রোববার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, রিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পরে মৃত বিল্লালের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোবাইল, হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু ও একটি গামছা উদ্ধার করা হয়।
মৃত বিল্লাল হোসেন মিয়াদ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ছোট বাদুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্বশুরবাড়ি যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ মাঠপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, যশোর শহরের পুরোনো কসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলার তোতা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল কাদের মোল্লা (২৩) ও একই এলাকার আরেক ভাড়াটিয়া জুয়েল শেখ (২৫)।
যশোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাঁঠালতলা মোড় থেকে আব্দুল কাদের মোল্লা ও দুপুরে তিতাসের বাড়ির সামনে থেকে জুয়েল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল রোববার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আমলি আদালতে আসামিদের সোপর্দ করা হলে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যার বিবরণ ও কারণ জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই ডিএম নুর জামাল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান গত ২১ জুন সন্ধ্যার দিকে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিল্লাল হোসেন মিয়াদকে কাঁঠালতলায় হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাদের মোল্লা মোবাইল করে বিল্লালকে ভাড়ায় যাওয়ার নামে শহরের কাঁঠালতলা মোড়ে আসতে বলেন। পরে তাঁরা বিল্লালের অটোরিকশায় করে ক্ষিতিবদিয়া গ্রামে যায়। গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে অটোরিকশাটি রেখে রেজাউল সরদারের মেহগনি বাগানে যান তিনি। সেখানে জুয়েলের কাছে থাকা রশি দিয়ে পেছন দিক থেকে বিল্লালের গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরেন আসামিরা। এ সময় কাদের তাঁর কোমরে থাকা চাকু বের করে বিল্লালের পেটের বাম পাশে ও রানে আঘাত করেন। পরে একই চাকু দিয়ে বিল্লালকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর বিল্লালের কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে সিম ও মেমোরি কার্ড খুলে বাগানের ফেলে দেন আসামিরা। এরপর তাঁরা রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান এবং পরদিন রিকশাটি বিক্রি করে দেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন বিকেল ৫টার দিকে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মিয়াদ। রাতে বাড়ি না ফিরলে তাঁর স্ত্রী শারমিন অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন ২২ জুন কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন তাঁর মা রেনু বেগম। পরে জিডির কপি যশোরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে জমা দেওয়া হয়। পিবিআইয়ের এসআই ডিএম নুর জামাল জিডিটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি নিখোঁজ মিয়াদের মোবাইল উদ্ধার করেন। কিন্তু তাতে সিমকার্ড ছিল না।
পরবর্তীতে গত ৩ জুলাই সদরের ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের রেজাউলের মেহগুনি বাগানের মধ্যে থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। কঙ্কালের সঙ্গে পরনের কাপড়ও উদ্ধার করা হয়। পরে গত শনিবার বিল্লালের স্ত্রীকে মোবাইল করে পিবিআই অফিসে যেতে বলা হয়। তিনি সেখানে গেলে তাঁকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে গিয়ে ক্ষিতিবদিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের সঙ্গে থাকা লুঙ্গি দেখানো হয়। ওই লুঙ্গি দেখে কংকালটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন তিনি।
যশোরে অটোরিকশাচালক বিল্লাল হোসেন মিয়াদ (২৮) খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারকৃত দুজন গতকাল রোববার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, রিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পরে মৃত বিল্লালের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোবাইল, হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু ও একটি গামছা উদ্ধার করা হয়।
মৃত বিল্লাল হোসেন মিয়াদ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ছোট বাদুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্বশুরবাড়ি যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ মাঠপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, যশোর শহরের পুরোনো কসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলার তোতা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল কাদের মোল্লা (২৩) ও একই এলাকার আরেক ভাড়াটিয়া জুয়েল শেখ (২৫)।
যশোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাঁঠালতলা মোড় থেকে আব্দুল কাদের মোল্লা ও দুপুরে তিতাসের বাড়ির সামনে থেকে জুয়েল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল রোববার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আমলি আদালতে আসামিদের সোপর্দ করা হলে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যার বিবরণ ও কারণ জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই ডিএম নুর জামাল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান গত ২১ জুন সন্ধ্যার দিকে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিল্লাল হোসেন মিয়াদকে কাঁঠালতলায় হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাদের মোল্লা মোবাইল করে বিল্লালকে ভাড়ায় যাওয়ার নামে শহরের কাঁঠালতলা মোড়ে আসতে বলেন। পরে তাঁরা বিল্লালের অটোরিকশায় করে ক্ষিতিবদিয়া গ্রামে যায়। গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে অটোরিকশাটি রেখে রেজাউল সরদারের মেহগনি বাগানে যান তিনি। সেখানে জুয়েলের কাছে থাকা রশি দিয়ে পেছন দিক থেকে বিল্লালের গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরেন আসামিরা। এ সময় কাদের তাঁর কোমরে থাকা চাকু বের করে বিল্লালের পেটের বাম পাশে ও রানে আঘাত করেন। পরে একই চাকু দিয়ে বিল্লালকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর বিল্লালের কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে সিম ও মেমোরি কার্ড খুলে বাগানের ফেলে দেন আসামিরা। এরপর তাঁরা রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান এবং পরদিন রিকশাটি বিক্রি করে দেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন বিকেল ৫টার দিকে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মিয়াদ। রাতে বাড়ি না ফিরলে তাঁর স্ত্রী শারমিন অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন ২২ জুন কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন তাঁর মা রেনু বেগম। পরে জিডির কপি যশোরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে জমা দেওয়া হয়। পিবিআইয়ের এসআই ডিএম নুর জামাল জিডিটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি নিখোঁজ মিয়াদের মোবাইল উদ্ধার করেন। কিন্তু তাতে সিমকার্ড ছিল না।
পরবর্তীতে গত ৩ জুলাই সদরের ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের রেজাউলের মেহগুনি বাগানের মধ্যে থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। কঙ্কালের সঙ্গে পরনের কাপড়ও উদ্ধার করা হয়। পরে গত শনিবার বিল্লালের স্ত্রীকে মোবাইল করে পিবিআই অফিসে যেতে বলা হয়। তিনি সেখানে গেলে তাঁকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে গিয়ে ক্ষিতিবদিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের সঙ্গে থাকা লুঙ্গি দেখানো হয়। ওই লুঙ্গি দেখে কংকালটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন তিনি।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে