যশোর প্রতিনিধি
স্বামী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই সুযোগে স্ত্রী শেফালি বেগম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই এলাকার রবিউল সর্দারের (৪২) সঙ্গে। দীর্ঘদিনের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনে যান স্বামী জহির হাসান (৪২) ও তাঁর পরিবার। পরকীয়ার এই সম্পর্ক টিকেয়ে রাখতে প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী।
আজ বুধবার বিকেলে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ এবং অবন্তিকা রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তারকৃত ওই নারী ও তাঁর প্রেমিক। পরে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের বকচর হুসতলা এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। রাতেই নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় স্ত্রী ও প্রেমিককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই হত্যায় ব্যবহৃত আলামতসহ অভিযুক্ত স্ত্রীকে শেফালিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সকালে প্রেমিক রবিউল সর্দারকে জেলা শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হলে দুজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বেসরকারি একটি হাসপাতালের আয়ার কাজ করেন স্ত্রী শেফালি। শহরের শংকরপুরের রবিউল সর্দার নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান তিনি। এই সম্পর্কের জন্য স্বামী জহিরের সঙ্গে তাঁর (স্ত্রী) ঝামেলা হয়। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শেফালি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে স্বামীর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন তিনি। এদিকে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখেন শেফালি। ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ভিজিয়ে রাখা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে নিঃসৃত অ্যাসিড সিরিঞ্জের মাধ্যমে জহিরের শরীরে পুশ করেন শেফালি। এ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী শেফালি বেগম কৌশলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারের কাছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে জহিরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে নিহতের শরীরের বাম হাতে রক্ত জমাট বেধে থাকায় সন্দেহ হয়। পরে স্ত্রী শেফালী বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নিলে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রেমিক রবিউলের কথায় পরিকল্পিতভাবে জহিরকে হত্যা করেন।
এই ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ স্ত্রী ও প্রেমিককে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ঘটনার পর পরই র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে প্রেমিক রবিউল সর্দার ও স্ত্রী শেফালি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বিষাক্ত কিছু পুশ করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে ইনজেকশনটা পুশ করা হয়েছে সেই হাতের শিরাগুলোতে কালো হয়ে গেছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে জানা যাবে।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ এবং অবন্তিকা রায়ের আদালতে দুই আসামি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক আলাদাভাবে দুজনের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেছেন। পরে বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন।’
এর আগে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যশোর শহরের বকচর হুসতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য তুলে ধরেন যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান।
স্বামী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই সুযোগে স্ত্রী শেফালি বেগম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই এলাকার রবিউল সর্দারের (৪২) সঙ্গে। দীর্ঘদিনের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনে যান স্বামী জহির হাসান (৪২) ও তাঁর পরিবার। পরকীয়ার এই সম্পর্ক টিকেয়ে রাখতে প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী।
আজ বুধবার বিকেলে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ এবং অবন্তিকা রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তারকৃত ওই নারী ও তাঁর প্রেমিক। পরে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের বকচর হুসতলা এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। রাতেই নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় স্ত্রী ও প্রেমিককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই হত্যায় ব্যবহৃত আলামতসহ অভিযুক্ত স্ত্রীকে শেফালিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সকালে প্রেমিক রবিউল সর্দারকে জেলা শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হলে দুজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বেসরকারি একটি হাসপাতালের আয়ার কাজ করেন স্ত্রী শেফালি। শহরের শংকরপুরের রবিউল সর্দার নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান তিনি। এই সম্পর্কের জন্য স্বামী জহিরের সঙ্গে তাঁর (স্ত্রী) ঝামেলা হয়। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শেফালি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে স্বামীর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন তিনি। এদিকে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখেন শেফালি। ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ভিজিয়ে রাখা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে নিঃসৃত অ্যাসিড সিরিঞ্জের মাধ্যমে জহিরের শরীরে পুশ করেন শেফালি। এ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী শেফালি বেগম কৌশলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারের কাছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে জহিরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে নিহতের শরীরের বাম হাতে রক্ত জমাট বেধে থাকায় সন্দেহ হয়। পরে স্ত্রী শেফালী বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নিলে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রেমিক রবিউলের কথায় পরিকল্পিতভাবে জহিরকে হত্যা করেন।
এই ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ স্ত্রী ও প্রেমিককে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ঘটনার পর পরই র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে প্রেমিক রবিউল সর্দার ও স্ত্রী শেফালি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বিষাক্ত কিছু পুশ করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে ইনজেকশনটা পুশ করা হয়েছে সেই হাতের শিরাগুলোতে কালো হয়ে গেছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে জানা যাবে।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ এবং অবন্তিকা রায়ের আদালতে দুই আসামি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক আলাদাভাবে দুজনের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেছেন। পরে বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন।’
এর আগে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যশোর শহরের বকচর হুসতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য তুলে ধরেন যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে