অনলাইন ডেস্ক
ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতাল। এশিয়াজুড়ে তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের চিকিৎসা ব্যবসা। গর্ব করে বলে, তারা বছরে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি কিডনি প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে। যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্ব থেকে ধনী রোগীরা তাদের কাছে আসে অস্ত্রোপচারের জন্য।
ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর তথ্য। চিকিৎসার মতো ‘মহান’ সেবা বাণিজ্যের আড়ালে কিডনি ব্যবসার বৈশ্বিক চক্রে জড়িয়ে গেছে এই হাসপাতাল। অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ধনী রোগীদের কাছে অঙ্গ বিক্রি করছেন মিয়ানমারের দরিদ্র তরুণ-যুবকেরা।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল গ্রুপটি ‘কিডনির বিনিময়ে টাকা’ লেনদেনের একটি অপরাধী চক্রে জড়িয়ে পড়েছে। তারা মিয়ানমারের দরিদ্র মানুষদের মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করছে।
ভারতে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ বেচাকেনা বেআইনি। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এমন আইন আছে। টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মিয়ানমার থেকে দরিদ্র গ্রামীণ যুবকদের অ্যাপোলোর মর্যাদাপূর্ণ দিল্লি হাসপাতালে আনা হচ্ছে। মিয়ানমারেরই ধনী রোগীদের তাঁরা কিডনি দান করছেন। বিনিময়ে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এই চক্রের একজন এজেন্ট টেলিগ্রাফের প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘এটি বড় ব্যবসা। এর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ-সংক্রান্ত বাধাগুলো অপসারণে যোগসাজশে কাজ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব সময় সরকারকে মিথ্যা তথ্য দেয়।’
কিডনি বেচাকেনার পুরো প্রক্রিয়াটিতে অনেকগুলো ধাপে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়। পরিচয় সম্পর্কিত নথি জাল করা হয়। দাতাকে রোগীর আত্মীয় হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য পারিবারিক ছবি মঞ্চায়িত করা হয়। যেখানে ভারত এবং মিয়ানমারের আইন অনুসারে, একজন রোগী স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে অঙ্গ নিতে পারেন না।
অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা তথ্য দেখে তারা হতবাক হয়েছে। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করবেন বলেও জানিয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষ বলেছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো বেআইনি কার্যকলাপের জন্য আমাদের ইচ্ছাকৃত জটিলতা বা গোপন অনুমোদনের কোনো সুযোগ নেই।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সার্জনদের একজন ডা. সন্দীপ গুলেরিয়া। তিনি যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং চিকিৎসা সেবার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মশ্রী পেয়েছেন। রোগী এবং এজেন্টরা কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার পরিচালনাকারী সার্জন হিসেবে তাঁর নাম বলেছেন।
তবে ডা. সন্দীপ বলেছেন, টেলিগ্রাফ যেসব তথ্য অনুসন্ধানে পেয়েছে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। তা ছাড়া এসব দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন চক্রের সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত করাটা ‘আপত্তিকর এবং হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন ডা. সন্দীপ।
অথচ ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য ডেকান হেরাল্ডে ২০১৬ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপোলোর দিল্লি হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কিডনি কেলেঙ্কারির ঘটনায় ডা. সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এই সম্মানিত চিকিৎসক।
‘কিডনির বিনিময়ে নগদ টাকা’ এই চক্র সম্পর্কে টেলিগ্রাফ প্রথম জানতে পারে দাও সো সোয়ে নামে ৫৮ বছর বয়সী এক রোগী যখন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কিডনির জন্য ৮০ লাখ মিয়ানমার কিয়াত বা প্রায় ৩৯ হাজার ডলার খরচ করেন।
তাঁর চিকিৎসার নথিপত্রে দেখা যায়, দিল্লিতে অ্যাপোলোর ফ্ল্যাগশিপ হাসপাতাল ইন্দ্রপ্রস্থ হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর কিডনি দাতা ছিলেন সম্পূর্ণ অপরিচিত।
এই রোগী টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমি জানি যে, মিয়ানমার এবং ভারতের আইনে অপরিচিত ব্যক্তির অঙ্গ দান করার অনুমতি নেই। কিন্তু যেহেতু আমরা মিয়ানমারে আছি, তাই এজেন্ট আমাদের আত্মীয় বলে ভুয়া গল্প বলতে শিখিয়েছিল।’
টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে এমন গল্পই বলেছেন ডা. হটেট হটেট মিন্ট ওয়াই। তাঁর বিজনেস কার্ডে লেখা রয়েছে, তিনি মিয়ানমারে অ্যাপোলো অফিসের জন্য কাজ করেন। আত্মীয়দের মধ্যে অঙ্গ দাতা পাওয়া না গেলে রোগীর লোকজন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে প্রতিবেদককে জানান তিনি। ওই প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছিলেন।
অ্যাপোলোর সঙ্গে যুক্ত ফিয়ো খান্ট হেইন নামে আরেক ব্যক্তি টেলিগ্রাফকে বলেছেন, মিয়ানমারে ৮০ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপন হয় অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে। বাকি মাত্র ২০ শতাংশ দাতা থাকেন আত্মীয়।
ফিয়ো খান্ট বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করতে আগ্রহী মানুষ খুঁজে বের করেন। এরা সবাই দরিদ্র। এই এজেন্টদের অনেকে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে এভাবে দরিদ্র কিডনি দাতা খুঁজে দেওয়ার কাজ করছে। তারা একটি কিডনির জন্য প্রায় ৪ হাজার ডলার চার্জ করে।
ধারণা করা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রতিস্থাপিত অঙ্গের ১০টির মধ্যে একটি পাচারকৃত। যুক্তরাজ্যের সেন্ট মেরি ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা নীতিশাস্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং অঙ্গ পাচার বিশেষজ্ঞ ডা. ট্রেভর স্ট্যামারস টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমরা হাজার হাজার অঙ্গ পাচারের কথা বলছি। এটি বিশাল বৈশ্বিক বাণিজ্য।’
এমনকি যুক্তরাজ্য থেকেও এমন অনেকে টাকার বিনিময়ে অঙ্গ সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করিয়ে নেন। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) কিডনি বিশেষজ্ঞরা টেলিগ্রাফকে বলেন, অপরিচিতদের দান করা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে ভ্রমণকারী রোগী এখানেও রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ। তাঁরা ব্রিটেন থেকে বিদেশে যাচ্ছেন। ফিরে আসছেন নতুন কিডনি নিয়ে। বলা হয় আত্মীয় বা এমন কারও কাছ থেকে নিয়েছেন। কিন্তু এটি যাচাই করা কঠিন।
এনএইচএসের উপাত্তে দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকে এনএইচএসের অন্তত ১৫৮ জন রোগী অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, এই অপারেশনগুলোর বেশির ভাগই (২৫ শতাংশ) ভারতে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অবৈধ বাণিজ্য সেসব দেশেই হচ্ছে, যেসব দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা শিল্প বিকাশমান। এর মধ্যে ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতাল অন্যতম প্রধান।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এর আগেও কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ওঠার পর দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ হাসপাতালের দুই কর্মকর্তাকে ২০১৬ সালে এজেন্ট এবং দাতাদের একটি চক্রের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো চলছে।
অ্যাপোলো সেই সময় বলেছিল, রোগী এবং হাসপাতালের সঙ্গে প্রতারণা করতে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র এই কাজ করেছিল। তারা বলেছে, এই ঘটনার পর পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হয়েছে। তবে টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে স্পষ্ট, এই হাসপাতালের কার্যক্রমে গুরুতর ত্রুটিগুলো রয়েই গেছে।
টেলিগ্রাফের আন্ডারকভার রিপোর্টারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কথোপকথনে মিয়ানমারের এজেন্ট এবং অ্যাপোলো কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে অপরিচিত ব্যক্তির কিডনি পাওয়ার কৌশল বাতলে দিয়েছেন।
পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনায় মিয়ানমারে অ্যাপোলোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও এজেন্টরা বলেন, রোগী এবং কিডনি দাতাকে আত্মীয় প্রমাণ করার জন্য বংশলতিকা, পরিবারের নথি, বিয়ের শংসাপত্র এবং ছবি জাল করা হয়। ভারতে যাওয়ার আগে উভয় পক্ষকে এক জায়গায় করে গ্রুপ ছবি তোলা হয়। ছবিগুলো পুরোনো দেখাতে সেগুলো প্রিন্ট করার পর দুমড়ে-মুচড়ে রেখে দেওয়া হয়। এরপর তাদের একসঙ্গে কিছুদিন বসবাস করতে বলা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করার পর নথিপত্রগুলো হাসপাতালের অনুমোদন কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিটি ধাপে আলাদা খরচ রয়েছে। টেলিগ্রাফ প্রতিবেদকের কাছে সেসবের বিস্তারিত জানিয়েছেন এজেন্টরা। একটি বংশলতিকা তৈরির জন্য ৪০০ ডলার, বিমান ভাড়া প্রতি ধাপে ২৫০ ডলার এবং মেডিকেল বোর্ডের জন্য নিবন্ধন খরচ ২০০ ডলার।
অ্যাপোলো হাসপাতালের নথি অনুযায়ীই একজন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনে মোট খরচ হয় ২১ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। তবে কিডনি দাতাকে দেওয়া খরচের হিসাব এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
অ্যাপোলোর মিয়ানমার অপারেশনের প্রধান ডা. থেট উ টেলিগ্রাফ প্রতিবেদককে জানান, রোগী তাঁর অঙ্গ দাতাকে নিজের পছন্দমতো বাছাই করতে পারেন। সবকিছু চূড়ান্ত হলে তারপরই অর্থ লেনদেন হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৭০ বা ৮০ লাখ মিয়ানমার কিয়াতে চুক্তি হয়। যা মার্কিন মুদ্রায় দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ ডলার। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকার বেশি পান একজন কিডনি দাতা।
অগ্রিম নগদ টাকা দেওয়া হয়। এরপর দাতাকে কিডনি প্রতিস্থাপন অনুমোদন কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য ভারতে পাঠানো হয়। এই কমিটিতে অ্যাপোলো হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং সরকার নিযুক্ত সদস্যরা থাকেন।
এই চক্রে জড়িত এজেন্টদের একজনের মতে, বোর্ডটি শুধু নামেই! বোর্ডের সদস্যরা কিছু ভাসা ভাসা প্রশ্ন করেন। অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ যদিও এটি অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের বহু মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করছেন। কিডনি ব্যবসার এই চক্র মিয়ানমারের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও মানুষের দারিদ্র্যকে পুঁজি করে অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর অনেক চিকিৎসক আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। শাসক জান্তার বিরোধিতা করার কারণে তাঁদের পরবর্তীতে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছে। এতে দেশটির হাসপাতালগুলোর এখন বেহাল দশা। জনগণ মৌলিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং কাজ পাওয়া কঠিন হওয়ায় অর্থনীতিও ভেঙে পড়ছে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ (আনুমানিক ২ কোটি ২০ লাখ) দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। বিশ্বব্যাংকের মতে, অন্তত ১৫ বছরের মধ্যে এত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি মিয়ানমার।
এই পটভূমিতে অ্যাপোলোর সঙ্গে যুক্ত একটি কিডনি পাচার চক্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী। কিডনি বিক্রি করা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে এর প্রমাণও পেয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
দ্য টেলিগ্রাফ মন্তব্যের জন্য মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দিল্লির মিয়ানমার দূতাবাস এবং ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি।
দ্য টেলিগ্রাফ থেকে অনুবাদ (সংক্ষেপিত) করেছেন জাহাঙ্গীর আলম
ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতাল। এশিয়াজুড়ে তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের চিকিৎসা ব্যবসা। গর্ব করে বলে, তারা বছরে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি কিডনি প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে। যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্ব থেকে ধনী রোগীরা তাদের কাছে আসে অস্ত্রোপচারের জন্য।
ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর তথ্য। চিকিৎসার মতো ‘মহান’ সেবা বাণিজ্যের আড়ালে কিডনি ব্যবসার বৈশ্বিক চক্রে জড়িয়ে গেছে এই হাসপাতাল। অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ধনী রোগীদের কাছে অঙ্গ বিক্রি করছেন মিয়ানমারের দরিদ্র তরুণ-যুবকেরা।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল গ্রুপটি ‘কিডনির বিনিময়ে টাকা’ লেনদেনের একটি অপরাধী চক্রে জড়িয়ে পড়েছে। তারা মিয়ানমারের দরিদ্র মানুষদের মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করছে।
ভারতে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ বেচাকেনা বেআইনি। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এমন আইন আছে। টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মিয়ানমার থেকে দরিদ্র গ্রামীণ যুবকদের অ্যাপোলোর মর্যাদাপূর্ণ দিল্লি হাসপাতালে আনা হচ্ছে। মিয়ানমারেরই ধনী রোগীদের তাঁরা কিডনি দান করছেন। বিনিময়ে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এই চক্রের একজন এজেন্ট টেলিগ্রাফের প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘এটি বড় ব্যবসা। এর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ-সংক্রান্ত বাধাগুলো অপসারণে যোগসাজশে কাজ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব সময় সরকারকে মিথ্যা তথ্য দেয়।’
কিডনি বেচাকেনার পুরো প্রক্রিয়াটিতে অনেকগুলো ধাপে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়। পরিচয় সম্পর্কিত নথি জাল করা হয়। দাতাকে রোগীর আত্মীয় হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য পারিবারিক ছবি মঞ্চায়িত করা হয়। যেখানে ভারত এবং মিয়ানমারের আইন অনুসারে, একজন রোগী স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে অঙ্গ নিতে পারেন না।
অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা তথ্য দেখে তারা হতবাক হয়েছে। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করবেন বলেও জানিয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষ বলেছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো বেআইনি কার্যকলাপের জন্য আমাদের ইচ্ছাকৃত জটিলতা বা গোপন অনুমোদনের কোনো সুযোগ নেই।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সার্জনদের একজন ডা. সন্দীপ গুলেরিয়া। তিনি যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং চিকিৎসা সেবার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মশ্রী পেয়েছেন। রোগী এবং এজেন্টরা কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার পরিচালনাকারী সার্জন হিসেবে তাঁর নাম বলেছেন।
তবে ডা. সন্দীপ বলেছেন, টেলিগ্রাফ যেসব তথ্য অনুসন্ধানে পেয়েছে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। তা ছাড়া এসব দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন চক্রের সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত করাটা ‘আপত্তিকর এবং হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন ডা. সন্দীপ।
অথচ ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য ডেকান হেরাল্ডে ২০১৬ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপোলোর দিল্লি হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কিডনি কেলেঙ্কারির ঘটনায় ডা. সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এই সম্মানিত চিকিৎসক।
‘কিডনির বিনিময়ে নগদ টাকা’ এই চক্র সম্পর্কে টেলিগ্রাফ প্রথম জানতে পারে দাও সো সোয়ে নামে ৫৮ বছর বয়সী এক রোগী যখন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কিডনির জন্য ৮০ লাখ মিয়ানমার কিয়াত বা প্রায় ৩৯ হাজার ডলার খরচ করেন।
তাঁর চিকিৎসার নথিপত্রে দেখা যায়, দিল্লিতে অ্যাপোলোর ফ্ল্যাগশিপ হাসপাতাল ইন্দ্রপ্রস্থ হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর কিডনি দাতা ছিলেন সম্পূর্ণ অপরিচিত।
এই রোগী টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমি জানি যে, মিয়ানমার এবং ভারতের আইনে অপরিচিত ব্যক্তির অঙ্গ দান করার অনুমতি নেই। কিন্তু যেহেতু আমরা মিয়ানমারে আছি, তাই এজেন্ট আমাদের আত্মীয় বলে ভুয়া গল্প বলতে শিখিয়েছিল।’
টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে এমন গল্পই বলেছেন ডা. হটেট হটেট মিন্ট ওয়াই। তাঁর বিজনেস কার্ডে লেখা রয়েছে, তিনি মিয়ানমারে অ্যাপোলো অফিসের জন্য কাজ করেন। আত্মীয়দের মধ্যে অঙ্গ দাতা পাওয়া না গেলে রোগীর লোকজন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে প্রতিবেদককে জানান তিনি। ওই প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছিলেন।
অ্যাপোলোর সঙ্গে যুক্ত ফিয়ো খান্ট হেইন নামে আরেক ব্যক্তি টেলিগ্রাফকে বলেছেন, মিয়ানমারে ৮০ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপন হয় অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে। বাকি মাত্র ২০ শতাংশ দাতা থাকেন আত্মীয়।
ফিয়ো খান্ট বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করতে আগ্রহী মানুষ খুঁজে বের করেন। এরা সবাই দরিদ্র। এই এজেন্টদের অনেকে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে এভাবে দরিদ্র কিডনি দাতা খুঁজে দেওয়ার কাজ করছে। তারা একটি কিডনির জন্য প্রায় ৪ হাজার ডলার চার্জ করে।
ধারণা করা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রতিস্থাপিত অঙ্গের ১০টির মধ্যে একটি পাচারকৃত। যুক্তরাজ্যের সেন্ট মেরি ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা নীতিশাস্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং অঙ্গ পাচার বিশেষজ্ঞ ডা. ট্রেভর স্ট্যামারস টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমরা হাজার হাজার অঙ্গ পাচারের কথা বলছি। এটি বিশাল বৈশ্বিক বাণিজ্য।’
এমনকি যুক্তরাজ্য থেকেও এমন অনেকে টাকার বিনিময়ে অঙ্গ সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করিয়ে নেন। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) কিডনি বিশেষজ্ঞরা টেলিগ্রাফকে বলেন, অপরিচিতদের দান করা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে ভ্রমণকারী রোগী এখানেও রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ। তাঁরা ব্রিটেন থেকে বিদেশে যাচ্ছেন। ফিরে আসছেন নতুন কিডনি নিয়ে। বলা হয় আত্মীয় বা এমন কারও কাছ থেকে নিয়েছেন। কিন্তু এটি যাচাই করা কঠিন।
এনএইচএসের উপাত্তে দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকে এনএইচএসের অন্তত ১৫৮ জন রোগী অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, এই অপারেশনগুলোর বেশির ভাগই (২৫ শতাংশ) ভারতে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অবৈধ বাণিজ্য সেসব দেশেই হচ্ছে, যেসব দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা শিল্প বিকাশমান। এর মধ্যে ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতাল অন্যতম প্রধান।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এর আগেও কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ওঠার পর দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ হাসপাতালের দুই কর্মকর্তাকে ২০১৬ সালে এজেন্ট এবং দাতাদের একটি চক্রের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো চলছে।
অ্যাপোলো সেই সময় বলেছিল, রোগী এবং হাসপাতালের সঙ্গে প্রতারণা করতে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র এই কাজ করেছিল। তারা বলেছে, এই ঘটনার পর পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হয়েছে। তবে টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে স্পষ্ট, এই হাসপাতালের কার্যক্রমে গুরুতর ত্রুটিগুলো রয়েই গেছে।
টেলিগ্রাফের আন্ডারকভার রিপোর্টারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কথোপকথনে মিয়ানমারের এজেন্ট এবং অ্যাপোলো কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে অপরিচিত ব্যক্তির কিডনি পাওয়ার কৌশল বাতলে দিয়েছেন।
পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনায় মিয়ানমারে অ্যাপোলোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও এজেন্টরা বলেন, রোগী এবং কিডনি দাতাকে আত্মীয় প্রমাণ করার জন্য বংশলতিকা, পরিবারের নথি, বিয়ের শংসাপত্র এবং ছবি জাল করা হয়। ভারতে যাওয়ার আগে উভয় পক্ষকে এক জায়গায় করে গ্রুপ ছবি তোলা হয়। ছবিগুলো পুরোনো দেখাতে সেগুলো প্রিন্ট করার পর দুমড়ে-মুচড়ে রেখে দেওয়া হয়। এরপর তাদের একসঙ্গে কিছুদিন বসবাস করতে বলা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করার পর নথিপত্রগুলো হাসপাতালের অনুমোদন কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিটি ধাপে আলাদা খরচ রয়েছে। টেলিগ্রাফ প্রতিবেদকের কাছে সেসবের বিস্তারিত জানিয়েছেন এজেন্টরা। একটি বংশলতিকা তৈরির জন্য ৪০০ ডলার, বিমান ভাড়া প্রতি ধাপে ২৫০ ডলার এবং মেডিকেল বোর্ডের জন্য নিবন্ধন খরচ ২০০ ডলার।
অ্যাপোলো হাসপাতালের নথি অনুযায়ীই একজন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনে মোট খরচ হয় ২১ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। তবে কিডনি দাতাকে দেওয়া খরচের হিসাব এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
অ্যাপোলোর মিয়ানমার অপারেশনের প্রধান ডা. থেট উ টেলিগ্রাফ প্রতিবেদককে জানান, রোগী তাঁর অঙ্গ দাতাকে নিজের পছন্দমতো বাছাই করতে পারেন। সবকিছু চূড়ান্ত হলে তারপরই অর্থ লেনদেন হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৭০ বা ৮০ লাখ মিয়ানমার কিয়াতে চুক্তি হয়। যা মার্কিন মুদ্রায় দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ ডলার। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকার বেশি পান একজন কিডনি দাতা।
অগ্রিম নগদ টাকা দেওয়া হয়। এরপর দাতাকে কিডনি প্রতিস্থাপন অনুমোদন কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য ভারতে পাঠানো হয়। এই কমিটিতে অ্যাপোলো হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং সরকার নিযুক্ত সদস্যরা থাকেন।
এই চক্রে জড়িত এজেন্টদের একজনের মতে, বোর্ডটি শুধু নামেই! বোর্ডের সদস্যরা কিছু ভাসা ভাসা প্রশ্ন করেন। অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ যদিও এটি অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের বহু মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করছেন। কিডনি ব্যবসার এই চক্র মিয়ানমারের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও মানুষের দারিদ্র্যকে পুঁজি করে অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর অনেক চিকিৎসক আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। শাসক জান্তার বিরোধিতা করার কারণে তাঁদের পরবর্তীতে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছে। এতে দেশটির হাসপাতালগুলোর এখন বেহাল দশা। জনগণ মৌলিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং কাজ পাওয়া কঠিন হওয়ায় অর্থনীতিও ভেঙে পড়ছে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ (আনুমানিক ২ কোটি ২০ লাখ) দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। বিশ্বব্যাংকের মতে, অন্তত ১৫ বছরের মধ্যে এত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি মিয়ানমার।
এই পটভূমিতে অ্যাপোলোর সঙ্গে যুক্ত একটি কিডনি পাচার চক্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী। কিডনি বিক্রি করা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে এর প্রমাণও পেয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
দ্য টেলিগ্রাফ মন্তব্যের জন্য মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দিল্লির মিয়ানমার দূতাবাস এবং ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি।
দ্য টেলিগ্রাফ থেকে অনুবাদ (সংক্ষেপিত) করেছেন জাহাঙ্গীর আলম
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে