অনলাইন ডেস্ক
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা অলকা দেবী। তাঁর ১৭ বছরের কিশোরী মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তবে প্রেমিককে চিনতেন মা অলকা। এরপর অনেক কষ্টে ফিরিয়ে আনেন মেয়েকে। বাড়ি ফেরার পর থেকে মেয়ের ব্যবহারে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ফন্দি আঁটেন তিনি। ভাবেন, ভাড়াটে খুনি দিয়ে মেয়েকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেবেন।
তবে ওই ভাড়াটে খুনি শেষমেশ মেয়েকে নয়, খুন করেছেন মা অলকাকে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ভাড়াটে খুনি ও কিশোরীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী, অলকার মেয়ে যখন পালিয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি (অলকা) জানতেন না যে তাঁর মেয়ে কার সঙ্গে সম্পর্ক করছে। তবে স্থানীয় যুবক অখিলেশ ও অনিকেতের বিরুদ্ধে অলকার মেয়েটিকে প্রলুব্ধ ও অপহরণের অভিযোগ ওঠে। মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করে নয়াগাঁও পুলিশ হাজতে রাখা হয়।
পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর অলকা দেবী মেয়েকে তার নানিবাড়ি ফররুখাবাদ জেলার সিকান্দারপুর খাস গ্রামে পাঠান। কিন্তু সেখানে ওই কিশোরী আবার ১০ বছর কারাবাসে থাকা ৩৮ বছর বয়সী সুভাষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সুভাষ কথা বলার জন্য মেয়েটিকে একটি মোবাইল ফোনও কিনে দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৪২ বছর বয়সী মা অলকা দেবী খুনি ভাড়া করার জন্য যোগাযোগ করেন ওই সুভাষ সিংয়ের সঙ্গেই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অলকা সুভাষকে নিজের মেয়েকে হত্যার জন্য ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপর, সুভাষ তাঁর প্রেমিকার কাছে পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ সময় মেয়েটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে বলে, তার বদলে মাকে হত্যা করলে সে সুভাষকে বিয়ে করবে।
এরপর কিশোরী মেয়ে ও তাঁর প্রেমিক সুভাষ অলকাকে হত্যার পরিকল্পনা একযোগে করতে থাকেন। পরিকল্পনা মোতাবেক, সুভাষ অলকাকে আগ্রাতে ডাকেন ও সেখানে মেয়েটিও আসেন। তাঁরা তিনজন আগ্রার ইটাহ থেকে রামলীলা মেলায় যান। সেখান থেকে তাঁরা আলীগঞ্জ যান। সেখানকার নাগলা চন্দন এলাকায় অলকাকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সুভাষ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুভাষ ও অলকার মেয়ে তাঁদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে সুভাষ ও ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাটিকে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, এমন মামলা বিরল!
এর আগে, গত শনিবার (৫ অক্টোবর) অলকা দেবী একটি মামলা করতে ইটাহতে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি না ফেরায় তাঁর স্বামী রমাকান্ত মোবাইলে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। রমাকান্ত আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ নেন, কিন্তু পরদিন রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্ত্রীর কোনো খবর পাননি।
এরপর তিনি একটি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে ফোন পান। শনাক্তকরণের পর অলকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা অলকা দেবী। তাঁর ১৭ বছরের কিশোরী মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তবে প্রেমিককে চিনতেন মা অলকা। এরপর অনেক কষ্টে ফিরিয়ে আনেন মেয়েকে। বাড়ি ফেরার পর থেকে মেয়ের ব্যবহারে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ফন্দি আঁটেন তিনি। ভাবেন, ভাড়াটে খুনি দিয়ে মেয়েকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেবেন।
তবে ওই ভাড়াটে খুনি শেষমেশ মেয়েকে নয়, খুন করেছেন মা অলকাকে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ভাড়াটে খুনি ও কিশোরীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী, অলকার মেয়ে যখন পালিয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি (অলকা) জানতেন না যে তাঁর মেয়ে কার সঙ্গে সম্পর্ক করছে। তবে স্থানীয় যুবক অখিলেশ ও অনিকেতের বিরুদ্ধে অলকার মেয়েটিকে প্রলুব্ধ ও অপহরণের অভিযোগ ওঠে। মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করে নয়াগাঁও পুলিশ হাজতে রাখা হয়।
পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর অলকা দেবী মেয়েকে তার নানিবাড়ি ফররুখাবাদ জেলার সিকান্দারপুর খাস গ্রামে পাঠান। কিন্তু সেখানে ওই কিশোরী আবার ১০ বছর কারাবাসে থাকা ৩৮ বছর বয়সী সুভাষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সুভাষ কথা বলার জন্য মেয়েটিকে একটি মোবাইল ফোনও কিনে দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৪২ বছর বয়সী মা অলকা দেবী খুনি ভাড়া করার জন্য যোগাযোগ করেন ওই সুভাষ সিংয়ের সঙ্গেই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অলকা সুভাষকে নিজের মেয়েকে হত্যার জন্য ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপর, সুভাষ তাঁর প্রেমিকার কাছে পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ সময় মেয়েটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে বলে, তার বদলে মাকে হত্যা করলে সে সুভাষকে বিয়ে করবে।
এরপর কিশোরী মেয়ে ও তাঁর প্রেমিক সুভাষ অলকাকে হত্যার পরিকল্পনা একযোগে করতে থাকেন। পরিকল্পনা মোতাবেক, সুভাষ অলকাকে আগ্রাতে ডাকেন ও সেখানে মেয়েটিও আসেন। তাঁরা তিনজন আগ্রার ইটাহ থেকে রামলীলা মেলায় যান। সেখান থেকে তাঁরা আলীগঞ্জ যান। সেখানকার নাগলা চন্দন এলাকায় অলকাকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সুভাষ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুভাষ ও অলকার মেয়ে তাঁদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে সুভাষ ও ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাটিকে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, এমন মামলা বিরল!
এর আগে, গত শনিবার (৫ অক্টোবর) অলকা দেবী একটি মামলা করতে ইটাহতে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি না ফেরায় তাঁর স্বামী রমাকান্ত মোবাইলে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। রমাকান্ত আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ নেন, কিন্তু পরদিন রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্ত্রীর কোনো খবর পাননি।
এরপর তিনি একটি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে ফোন পান। শনাক্তকরণের পর অলকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১১ দিন আগে