হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য বরাদ্দ ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের না জানিয়ে বিতরণ, জেলেদের আঙুলের ভুয়া ছাপ নেওয়াসহ চাল আত্মসাতের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চালা ইউনিয়নে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলে পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১০০ জনের জন্য ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ করা চাল মৎস্য দপ্তরকে অবহিত করে এবং ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ করার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান এই নিয়ম মানেননি। দুই ধাপের তালিকার ১০০ জনের মধ্যে ৪৪ জন জেলে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এবং তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে, কোনো কোনো জেলের নাম একাধিকবার ব্যবহার করেও চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে। চাল বিতরণের মাস্টাররোলে আঙুলে ভুয়া ছাপ ব্যবহার ও চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক জেলে।
দিয়াবাড়ী গ্রামের দুলাল রাজবংশীর ছেলে স্বপন রাজবংশীর নাম দুই তালিকায় মোট তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসাবে তাঁর জন্য মোট বরাদ্দ ২৪০ কেজি চাল থাকলেও ৩০ কেজি পেয়েছেন বলে দাবি স্বপনের স্ত্রী ভারতী রাজবংশীর। ভারতী বলেন, ‘কয়েক মাস আগেই একবার ৩০ কেজির এক বস্তা চাল পেয়েছি।’
চাল না পেলেও কারও কারও নাম তালিকায় রয়েছে। সট্টি গ্রামের আব্দুর রহিমের নামে বরাদ্দ হয়েছে মোট ১৬০ কেজি। তবে জীবনে কখনো জেলে কার্ডের চাল পাননি বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া সট্টি গ্রামের রহমান কাজী ও বাবুপুর গ্রামের মনোরঞ্জন রাজবংশী চাল পাননি বলে দাবি করেছেন। দিয়াবাড়ী গ্রামের সুজন রাজবংশী, সুরেশ রাজবংশী, পবন রাজবংশী, পরি রাজবংশী, নিরাঞ্জন রাজবংশী ও জিতেন রাজবংশী এবং কল্যাণপুর গ্রামের পরেশ রাজবংশী ও রবি রাজবংশী, সুশান্ত রাজবংশী, সুরেশ রাজবংশী, গোবিন্দ রাজবংশী, শংকর রাজবংশী, প্রত্যেকে ৮০ কেজির জায়গায় ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছেন বলে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য জানান, ৪ মেট্রিক টন চাল চেয়ারম্যান বিতরণ না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে চালা ইউপি চেয়ারম্যান ও চালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল মজিদ চাল আত্মসাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাল আত্মসাৎ করিনি। তালিকায় অনেক জেলে থাকলেও বরাদ্দ কম পাই। বরাদ্দের চেয়ে চাল পাওয়ার মতো দরিদ্র জেলে বেশি থাকার কারণে একজনের চাল কয়েকজনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’ একই নাম একাধিকবার নেই বলেও দাবি তাঁর।
চাল বিতরণ পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসান মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানালে আমি বিতরণ তালিকায় স্বাক্ষর করে দিয়েছি।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইকরাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত, চাল বিতরণের বিষয়টি আমাদের আগে জানানোর কথা থাকলেও তিনি জানাননি। পরে বিতরণের বিষয়ে আমরা কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বললে তাঁদের মধ্যে পাঁচজন চাল পাননি বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
ইউএনও মো. শাহরিয়ার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য বরাদ্দ ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের না জানিয়ে বিতরণ, জেলেদের আঙুলের ভুয়া ছাপ নেওয়াসহ চাল আত্মসাতের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চালা ইউনিয়নে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলে পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১০০ জনের জন্য ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ করা চাল মৎস্য দপ্তরকে অবহিত করে এবং ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ করার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান এই নিয়ম মানেননি। দুই ধাপের তালিকার ১০০ জনের মধ্যে ৪৪ জন জেলে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এবং তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে, কোনো কোনো জেলের নাম একাধিকবার ব্যবহার করেও চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে। চাল বিতরণের মাস্টাররোলে আঙুলে ভুয়া ছাপ ব্যবহার ও চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক জেলে।
দিয়াবাড়ী গ্রামের দুলাল রাজবংশীর ছেলে স্বপন রাজবংশীর নাম দুই তালিকায় মোট তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসাবে তাঁর জন্য মোট বরাদ্দ ২৪০ কেজি চাল থাকলেও ৩০ কেজি পেয়েছেন বলে দাবি স্বপনের স্ত্রী ভারতী রাজবংশীর। ভারতী বলেন, ‘কয়েক মাস আগেই একবার ৩০ কেজির এক বস্তা চাল পেয়েছি।’
চাল না পেলেও কারও কারও নাম তালিকায় রয়েছে। সট্টি গ্রামের আব্দুর রহিমের নামে বরাদ্দ হয়েছে মোট ১৬০ কেজি। তবে জীবনে কখনো জেলে কার্ডের চাল পাননি বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া সট্টি গ্রামের রহমান কাজী ও বাবুপুর গ্রামের মনোরঞ্জন রাজবংশী চাল পাননি বলে দাবি করেছেন। দিয়াবাড়ী গ্রামের সুজন রাজবংশী, সুরেশ রাজবংশী, পবন রাজবংশী, পরি রাজবংশী, নিরাঞ্জন রাজবংশী ও জিতেন রাজবংশী এবং কল্যাণপুর গ্রামের পরেশ রাজবংশী ও রবি রাজবংশী, সুশান্ত রাজবংশী, সুরেশ রাজবংশী, গোবিন্দ রাজবংশী, শংকর রাজবংশী, প্রত্যেকে ৮০ কেজির জায়গায় ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছেন বলে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য জানান, ৪ মেট্রিক টন চাল চেয়ারম্যান বিতরণ না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে চালা ইউপি চেয়ারম্যান ও চালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল মজিদ চাল আত্মসাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাল আত্মসাৎ করিনি। তালিকায় অনেক জেলে থাকলেও বরাদ্দ কম পাই। বরাদ্দের চেয়ে চাল পাওয়ার মতো দরিদ্র জেলে বেশি থাকার কারণে একজনের চাল কয়েকজনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’ একই নাম একাধিকবার নেই বলেও দাবি তাঁর।
চাল বিতরণ পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসান মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানালে আমি বিতরণ তালিকায় স্বাক্ষর করে দিয়েছি।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইকরাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত, চাল বিতরণের বিষয়টি আমাদের আগে জানানোর কথা থাকলেও তিনি জানাননি। পরে বিতরণের বিষয়ে আমরা কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বললে তাঁদের মধ্যে পাঁচজন চাল পাননি বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
ইউএনও মো. শাহরিয়ার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে