নবজাতক বিক্রি, ক্লিনিকের মালিকসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২১, ২২: ৫০

আশুলিয়া (সাভার): আশুলিয়ায় নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি যাওয়ার চার দিন পর সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে ছয় দিন বয়সী নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালটির মালিক ও চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা. মোস্তফা কামাল ও আবু হানিফ এবং মার্কেটিং অফিসার হানিফ বিন কুতুব ও সুমন মিয়া। এ ছাড়া নবজাতক ক্রেতা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার নতুন দাতপুর গ্রামের অয়জুল হক।

নবজাতকের বাবার করা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ মে রাতে স্ত্রী শিখা খাতুনকে সন্তান প্রসবের জন্য নরসিংহপুর এলাকার নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮ মে ভোরে স্বাভাবিকভাবে তার স্ত্রী স্বাভাবিকভাবে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। ওই দিন রাতেই হাসপাতালের মালিক ডা. মোস্তফা ও আবু হানিফসহ কর্তৃপক্ষ তার স্ত্রীকে জানায়, তাদের কন্যাসন্তান অসুস্থ ও শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিয়েছে। এমনকি দুই-তিন দিনের মধ্যে মারা যাবে। এ কথা জানিয়ে নবজাতককে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্তানকে ফিরে চাইলে নানা টালবাহানা করতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার কথা জানতে পারেন। উপায়ন্তর না পেয়ে অবশেষে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এঘটনার পর আজ ভোরে পুলিশ সিরাজগঞ্জ থেকে সন্তানকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ করে। এর ভিত্তিতে আমি, সঙ্গীয় এসআই সুদীপ কুমার গোপ ও আসোয়াদুর রহমান তদন্ত শুরু করি। এরপর অভিযুক্ত হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনকে আটকের পর তারা নবজাতককে বিক্রির কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার নতুন দাতপুর এলাকা থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করি। মূলত এখানকার অয়জুল হক নামের ব্যক্তির কাছেই ওই নবজাতককে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছিল। এঘটনায় অয়জুল হক ও হাসপাতালের মালিকসহ গ্রেপ্তার পাঁচ জনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, ‘এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত