নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টাঙ্গাইলের আনিছুর রহমান নিজের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে গড়ে তোলেন কিডনি বিক্রির প্রতারণা চক্র। বিত্তবান গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনিপ্রতি ৫০ লাখ টাকা নিলেও ভুক্তভোগীকে দেওয়া হতো মাত্র ৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে নিত চক্রটি। গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চক্রটি অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধভাবে কিডনি নিয়েছে। এভাবে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে তারা। চক্রের মূল হোতা মো. আনিছুর রহমান। বাকিরা হলেন মো. আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১-এর অধিনায়নক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা চুক্তির এফিডেভিট কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ভুয়া কাগজপত্রে ভারতে গিয়ে প্রতারিত হন আনিছুর রহমান। অর্থের বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রলুব্ধ হয়ে আনিছুর দেশে ফিরে নিজেই কিডনি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসায় নামেন। পরে ভারতে অবস্থানরত কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সহযোগিতায় একটি দালাল চক্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ভারতে পাঠাতেন।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে মানবদেহের কিডনিসহ নানাবিধ অঙ্গের অবৈধ ট্রান্সপ্লান্টেশনের সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে কয়েকটি চক্র। এসব চক্রের ফাঁদে প্রলুব্ধ হয়ে সর্বহারা হচ্ছে অসহায় নিম্ন মায়ের মানুষ। অর্থের লোভে আইনবহির্ভূত, স্পর্শকাতর, অবৈধ ট্রান্সপ্লান্টেশনসহ অমানবিক কাজে যুক্ত রয়েছেন চক্রের সদস্যরা। সম্প্রতি র্যাব সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনিসহ অন্যান্য মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিক্রয় সিন্ডিকেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। সিন্ডিকেটের এসব সদস্য বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহক ও ডোনারদের আকৃষ্ট করে থাকেন।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে অবস্থানরত একেকজন কিডনি ক্রেতা জীবন বাঁচাতে ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করে কিডনি কেনেন। এর মধ্যে মাত্র ৪-৫ লাখ টাকা পান প্রতারিত ডোনাররা। ৫-১০ লাখ টাকার ভাগবাঁটোয়ারা হয় দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট এবং অন্যান্য প্রতারকের মধ্যে। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা ভোগ করে বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেট।’
যেভাবে ফাঁদে ফেলে কিডনি নিত চক্রটি
র্যাব-১-এর অধিনায়ক জানান, চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। দেশে থাকা মূল হোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয়টি তদারক করেন। চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ ও তুহিন প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করেন এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনারকে প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
পরে ঢাকার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রত্যাশী রোগীর সঙ্গে ব্লাড ম্যাচিং এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। ব্লাড ম্যাচিং এবং অন্যান্য টেস্টে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের উপযুক্ততা নিশ্চিত হলে চতুর্থ গ্রুপটির হোতা ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’-এর মালিক সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে ভুক্তভোগী ডোনারাকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করেন।
এই চক্রের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানকারী প্রথম চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারাকে কিডনি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মূল হোতা আনিছুর রহমান এয়ারপোর্ট অথবা স্থলবন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রবেশ করিয়ে এবং হাসপাতালের ডকুমেন্টেশন, অস্ত্রোপচারসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ভিকটিমদের বৈধ-অবৈধ উপায়ে বিমান বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকার মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠায়।
চক্রের অন্যতম সদস্য সাইফুল ইসলাম ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’-এর মালিক। তিনি কিডনি ডোনারদের পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর জন্য পাসপোর্ট ব্যাংক অ্যান্ডোর্সমেন্ট, মেডিকেল ডকুমেন্টস, ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করেন। যেসব ডকুমেন্টের ঘাটতি থাকে, তাদের কাগজপত্র জালিয়াতের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। ২০২১ সালেও র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘অন্য কোনো চক্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আমরা পাইনি। তবে দেশের অভ্যন্তরে তারা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি বেচাকেনা নিয়ে কাজ করছিল। চক্রটি এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নিয়েছে। মূলত এসব চক্রে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার কাজ করে আসছে। আমরা বেশ কিছু পেজ নজরদারি করছি, ধারণা করছি এসব কাজে আরও বেশ কিছু চক্র জড়িত। তাদের ধরার পরই আইনের হাতে সোপর্দ করব।’
কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা অন্য কেউ চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, ‘না, আমরা এমন কাউকে পাইনি। তাদের কাছে যেসব কাগজপত্র পেয়েছি, সেগুলো জাল। এগুলো জালিয়াতির মাধ্যমেই তৈরি করেছে, যা দিয়ে ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা করত। এর সঙ্গে কোনো হাসপাতালের সম্পৃক্ততা পাইনি।’
টাঙ্গাইলের আনিছুর রহমান নিজের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে গড়ে তোলেন কিডনি বিক্রির প্রতারণা চক্র। বিত্তবান গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনিপ্রতি ৫০ লাখ টাকা নিলেও ভুক্তভোগীকে দেওয়া হতো মাত্র ৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে নিত চক্রটি। গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চক্রটি অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধভাবে কিডনি নিয়েছে। এভাবে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে তারা। চক্রের মূল হোতা মো. আনিছুর রহমান। বাকিরা হলেন মো. আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১-এর অধিনায়নক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা চুক্তির এফিডেভিট কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ভুয়া কাগজপত্রে ভারতে গিয়ে প্রতারিত হন আনিছুর রহমান। অর্থের বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রলুব্ধ হয়ে আনিছুর দেশে ফিরে নিজেই কিডনি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসায় নামেন। পরে ভারতে অবস্থানরত কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সহযোগিতায় একটি দালাল চক্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ভারতে পাঠাতেন।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে মানবদেহের কিডনিসহ নানাবিধ অঙ্গের অবৈধ ট্রান্সপ্লান্টেশনের সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে কয়েকটি চক্র। এসব চক্রের ফাঁদে প্রলুব্ধ হয়ে সর্বহারা হচ্ছে অসহায় নিম্ন মায়ের মানুষ। অর্থের লোভে আইনবহির্ভূত, স্পর্শকাতর, অবৈধ ট্রান্সপ্লান্টেশনসহ অমানবিক কাজে যুক্ত রয়েছেন চক্রের সদস্যরা। সম্প্রতি র্যাব সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনিসহ অন্যান্য মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিক্রয় সিন্ডিকেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। সিন্ডিকেটের এসব সদস্য বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহক ও ডোনারদের আকৃষ্ট করে থাকেন।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে অবস্থানরত একেকজন কিডনি ক্রেতা জীবন বাঁচাতে ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করে কিডনি কেনেন। এর মধ্যে মাত্র ৪-৫ লাখ টাকা পান প্রতারিত ডোনাররা। ৫-১০ লাখ টাকার ভাগবাঁটোয়ারা হয় দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট এবং অন্যান্য প্রতারকের মধ্যে। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা ভোগ করে বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেট।’
যেভাবে ফাঁদে ফেলে কিডনি নিত চক্রটি
র্যাব-১-এর অধিনায়ক জানান, চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। দেশে থাকা মূল হোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয়টি তদারক করেন। চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ ও তুহিন প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করেন এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনারকে প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
পরে ঢাকার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রত্যাশী রোগীর সঙ্গে ব্লাড ম্যাচিং এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। ব্লাড ম্যাচিং এবং অন্যান্য টেস্টে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের উপযুক্ততা নিশ্চিত হলে চতুর্থ গ্রুপটির হোতা ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’-এর মালিক সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে ভুক্তভোগী ডোনারাকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করেন।
এই চক্রের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানকারী প্রথম চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারাকে কিডনি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মূল হোতা আনিছুর রহমান এয়ারপোর্ট অথবা স্থলবন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রবেশ করিয়ে এবং হাসপাতালের ডকুমেন্টেশন, অস্ত্রোপচারসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ভিকটিমদের বৈধ-অবৈধ উপায়ে বিমান বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকার মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠায়।
চক্রের অন্যতম সদস্য সাইফুল ইসলাম ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’-এর মালিক। তিনি কিডনি ডোনারদের পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর জন্য পাসপোর্ট ব্যাংক অ্যান্ডোর্সমেন্ট, মেডিকেল ডকুমেন্টস, ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করেন। যেসব ডকুমেন্টের ঘাটতি থাকে, তাদের কাগজপত্র জালিয়াতের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। ২০২১ সালেও র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘অন্য কোনো চক্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আমরা পাইনি। তবে দেশের অভ্যন্তরে তারা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি বেচাকেনা নিয়ে কাজ করছিল। চক্রটি এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নিয়েছে। মূলত এসব চক্রে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার কাজ করে আসছে। আমরা বেশ কিছু পেজ নজরদারি করছি, ধারণা করছি এসব কাজে আরও বেশ কিছু চক্র জড়িত। তাদের ধরার পরই আইনের হাতে সোপর্দ করব।’
কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা অন্য কেউ চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, ‘না, আমরা এমন কাউকে পাইনি। তাদের কাছে যেসব কাগজপত্র পেয়েছি, সেগুলো জাল। এগুলো জালিয়াতির মাধ্যমেই তৈরি করেছে, যা দিয়ে ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা করত। এর সঙ্গে কোনো হাসপাতালের সম্পৃক্ততা পাইনি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে