নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পেশায় গ্রিল ওয়ার্কশপের কর্মচারী মো. মামুন ইসলাম। পড়াশোনা সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু ফেসবুকে নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আবার কখনো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপসচিব, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ারসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এসব ভুয়া পরিচয়ে মেয়েদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতেন। পাশাপাশি সুবিধাজনক স্থানে বদলি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিতেন অর্থকড়ি।
এমনই এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার আমতলী বাজার থেকে মামুন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পাঁচটি নকল নিকাহনামা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ভুয়া বদলির অফিস আদেশ, দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম।
আশরাফুল আলম জানান, মামুন বদলি বাণিজ্যসহ নানা প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত। তবে তাঁর প্রধান টার্গেট ছিলেন নারী। ফেসবুকে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ছবি নিজের ছবি হিসেবে ব্যবহার করে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন মামুন। বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে বিয়েতে রাজি করাতেন। পরে বিয়ের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতেন টাকা।
বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম আরও জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গভীর হলেও মামুন কখনো সরাসরি দেখা করতেন না। সরকারি কাজে ব্যস্ততার অজুহাত দিতেন। সশরীরে বিয়ের অনুষ্ঠানে না থেকে মেয়ের নামে কাজী অফিসের সিলমোহরযুক্ত ভুয়া নিকাহনামা প্রস্তুত করে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিতেন। সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে মামুন কিছুদিন পর মেয়ের বাসায় যান এবং বিয়ে করে কিছুদিন একসঙ্গে বসবাস করেন। এরপর মামুন মেয়েটিকে আপত্তিকর ও অশালীন অবস্থায় ভিডিও কলে আসতে বলতেন। মামুন ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ড করতেন। সেসব ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন।
ওই ভুক্তভোগী ডিএমপির পল্টন থানায় প্রতারক মামুনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন ও অপারেশনস টিম মামলাটির তদন্ত ভার পাওয়ার পর প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের পর মামুনকে শনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে মামুনকে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার আমতলী বাজার থেকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারক মামুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, মামুন ইসলামের আসল নাম মো. মমিনুল ইসলাম (৩০)। তাঁর বাড়ি দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ জন মেয়েকে বিয়ের পর ব্ল্যাকমেল করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মামুনের মোবাইল ফোনে ৫০ জনেরও বেশি মেয়ের সঙ্গে কথোপকথন ও আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
পেশায় গ্রিল ওয়ার্কশপের কর্মচারী মো. মামুন ইসলাম। পড়াশোনা সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু ফেসবুকে নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আবার কখনো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপসচিব, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ারসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এসব ভুয়া পরিচয়ে মেয়েদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতেন। পাশাপাশি সুবিধাজনক স্থানে বদলি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিতেন অর্থকড়ি।
এমনই এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার আমতলী বাজার থেকে মামুন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পাঁচটি নকল নিকাহনামা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ভুয়া বদলির অফিস আদেশ, দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম।
আশরাফুল আলম জানান, মামুন বদলি বাণিজ্যসহ নানা প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত। তবে তাঁর প্রধান টার্গেট ছিলেন নারী। ফেসবুকে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ছবি নিজের ছবি হিসেবে ব্যবহার করে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন মামুন। বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে বিয়েতে রাজি করাতেন। পরে বিয়ের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতেন টাকা।
বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম আরও জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গভীর হলেও মামুন কখনো সরাসরি দেখা করতেন না। সরকারি কাজে ব্যস্ততার অজুহাত দিতেন। সশরীরে বিয়ের অনুষ্ঠানে না থেকে মেয়ের নামে কাজী অফিসের সিলমোহরযুক্ত ভুয়া নিকাহনামা প্রস্তুত করে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিতেন। সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে মামুন কিছুদিন পর মেয়ের বাসায় যান এবং বিয়ে করে কিছুদিন একসঙ্গে বসবাস করেন। এরপর মামুন মেয়েটিকে আপত্তিকর ও অশালীন অবস্থায় ভিডিও কলে আসতে বলতেন। মামুন ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ড করতেন। সেসব ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন।
ওই ভুক্তভোগী ডিএমপির পল্টন থানায় প্রতারক মামুনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন ও অপারেশনস টিম মামলাটির তদন্ত ভার পাওয়ার পর প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের পর মামুনকে শনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে মামুনকে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার আমতলী বাজার থেকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারক মামুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, মামুন ইসলামের আসল নাম মো. মমিনুল ইসলাম (৩০)। তাঁর বাড়ি দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ জন মেয়েকে বিয়ের পর ব্ল্যাকমেল করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মামুনের মোবাইল ফোনে ৫০ জনেরও বেশি মেয়ের সঙ্গে কথোপকথন ও আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে