নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘হরর ক্লাব’ নামে শিশুদের জন্য ছড়ার সিরিজ বই লিখে নাম-যশ অর্জন করেছেন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া; আলোকচিত্রী হিসেবেও পরিচিতি আছে তাঁর। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে তিনি শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত তালিকাভুক্ত অপরাধী।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতায় শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও পাচারের অভিযোগে টিপু কিবরিয়াকে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। কিন্তু আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি খালাস পান।
ওই ঘটনার ৯ বছর পর একই অপরাধে আবার ধরা পড়েছেন টিপু কিবরিয়া। এবার নজরে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পুলিশের, তাঁরা বাংলাদেশ পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির সূত্র ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) দুজনকে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাঁরা হলেন টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরুফে টিপু কিবরিয়া, মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর। এ ঘটনায় এক শিশু ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু পর্নোগ্রাফির বেশ কিছু কনটেন্ট ও পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টু রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত গ্রেপ্তার ফকরুজ্জামান একসময়কার খুব জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্মাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্মাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক কিশোর পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশুসাহিত্য রচনা করতেন। তাঁর অর্ধশতাধিক বই আছে, যার বেশির ভাগই সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়ান টিপু কিবরিয়া। দীর্ঘদিন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পর ২০১৪ সালে সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হন এবং তাঁর নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির পুরোনো পথে হাঁটতে শুরু করেন টিপু কিবরিয়া। তখন ‘একশো এক’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, টিপু কিবরিয়ার টার্গেট ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেশিশু। এই ছেলেশিশুদের নিজের হেফাজতে নিতে রাজধানীজুড়ে তার একটা চক্র রয়েছে। চক্রের সদস্যরা ভাসমান মাদকাসক্ত টোকাই শ্রেণির। তাদের প্রথমে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা ও কম দামি মোবাইল ফোন, সিম দিতেন তিনি। এই চক্রে রয়েছে কামরুল ও দেলোয়ার নামে দুজন। তাদের মধ্যে দেলোয়ার হকার। এরা পথশিশুদের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসে টিপুর কাছে। শিশু সংগ্রহ করতে পারলে তারা ১ থেকে ২ হাজার করে টাকা পায়। ছিন্নমূল এসব ছেলেশিশুকে ভালো খাবার ও টাকা দেওয়ার কথা বলে তার কাছে রাখা হয়। পরে তাদের দিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি করেন টিপু কিবরিয়া। খিলগাঁও এলাকার একটি বাসায় স্টুডিও তৈরি করেছেন। এখানেও শিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফির শুটিং করতেন তিনি। সেখানে ঢুকলে বোঝা যাবে না যে, ভয়ংকর অপরাধ হচ্ছে। অভিযানের সময়ও তিনি পর্নোগ্রাফি তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি পর্নোগ্রাফি তৈরি করে ‘মেঘা’ নামের বিশেষ অ্যাপে সেই ভিডিও আন্তর্জাতিক চক্রের কাছে পাঠাতেন। তারাই তাকে এসব ভিডিও তৈরি করতে নানা ধরনের নির্দেশনা দিত। সেই নির্দেশনা মেনে তিনি মেঘা ছাড়াও ‘টোটা নোটা’ অ্যাপসে তা পাঠাতেন এবং যোগাযোগ করতেন। এবার নতুন করে এই অপকর্ম শুরু করে ইতালির এক ব্যক্তি ও অস্ট্রেলিয়ায় এক ব্যক্তির কাছে পর্নোগ্রাফি পাঠিয়েছেন। ১০ থেকে ১২টি পর্নোগ্রাফি পাঠালে তিনি ১ হাজার ডলার পেতেন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে তিনি টাকা সংগ্রহ করেন। ‘বিকৃত মানসিকতা ও ডলারের লোভে’ এই অপকর্ম করে আসছিলেন।
অভিযান পরিচালনার সময় তাঁর ব্যবহৃত ডেস্কটপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, MEGA এবং Totanota নামে দুটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। প্রাথমিকভাবে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জর্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০-২৫টি আইডি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এসব আইডি দিয়ে মূল হোতা টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য যোগাযোগ করত।
এ ছাড়া তাঁর ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিশু পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা স্থিরচিত্র ও প্রায় ১ হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁর ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুর প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
‘হরর ক্লাব’ নামে শিশুদের জন্য ছড়ার সিরিজ বই লিখে নাম-যশ অর্জন করেছেন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া; আলোকচিত্রী হিসেবেও পরিচিতি আছে তাঁর। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে তিনি শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত তালিকাভুক্ত অপরাধী।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতায় শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও পাচারের অভিযোগে টিপু কিবরিয়াকে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। কিন্তু আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি খালাস পান।
ওই ঘটনার ৯ বছর পর একই অপরাধে আবার ধরা পড়েছেন টিপু কিবরিয়া। এবার নজরে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পুলিশের, তাঁরা বাংলাদেশ পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির সূত্র ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) দুজনকে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাঁরা হলেন টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরুফে টিপু কিবরিয়া, মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর। এ ঘটনায় এক শিশু ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু পর্নোগ্রাফির বেশ কিছু কনটেন্ট ও পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টু রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত গ্রেপ্তার ফকরুজ্জামান একসময়কার খুব জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্মাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্মাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক কিশোর পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশুসাহিত্য রচনা করতেন। তাঁর অর্ধশতাধিক বই আছে, যার বেশির ভাগই সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়ান টিপু কিবরিয়া। দীর্ঘদিন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পর ২০১৪ সালে সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হন এবং তাঁর নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির পুরোনো পথে হাঁটতে শুরু করেন টিপু কিবরিয়া। তখন ‘একশো এক’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, টিপু কিবরিয়ার টার্গেট ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেশিশু। এই ছেলেশিশুদের নিজের হেফাজতে নিতে রাজধানীজুড়ে তার একটা চক্র রয়েছে। চক্রের সদস্যরা ভাসমান মাদকাসক্ত টোকাই শ্রেণির। তাদের প্রথমে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা ও কম দামি মোবাইল ফোন, সিম দিতেন তিনি। এই চক্রে রয়েছে কামরুল ও দেলোয়ার নামে দুজন। তাদের মধ্যে দেলোয়ার হকার। এরা পথশিশুদের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসে টিপুর কাছে। শিশু সংগ্রহ করতে পারলে তারা ১ থেকে ২ হাজার করে টাকা পায়। ছিন্নমূল এসব ছেলেশিশুকে ভালো খাবার ও টাকা দেওয়ার কথা বলে তার কাছে রাখা হয়। পরে তাদের দিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি করেন টিপু কিবরিয়া। খিলগাঁও এলাকার একটি বাসায় স্টুডিও তৈরি করেছেন। এখানেও শিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফির শুটিং করতেন তিনি। সেখানে ঢুকলে বোঝা যাবে না যে, ভয়ংকর অপরাধ হচ্ছে। অভিযানের সময়ও তিনি পর্নোগ্রাফি তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি পর্নোগ্রাফি তৈরি করে ‘মেঘা’ নামের বিশেষ অ্যাপে সেই ভিডিও আন্তর্জাতিক চক্রের কাছে পাঠাতেন। তারাই তাকে এসব ভিডিও তৈরি করতে নানা ধরনের নির্দেশনা দিত। সেই নির্দেশনা মেনে তিনি মেঘা ছাড়াও ‘টোটা নোটা’ অ্যাপসে তা পাঠাতেন এবং যোগাযোগ করতেন। এবার নতুন করে এই অপকর্ম শুরু করে ইতালির এক ব্যক্তি ও অস্ট্রেলিয়ায় এক ব্যক্তির কাছে পর্নোগ্রাফি পাঠিয়েছেন। ১০ থেকে ১২টি পর্নোগ্রাফি পাঠালে তিনি ১ হাজার ডলার পেতেন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে তিনি টাকা সংগ্রহ করেন। ‘বিকৃত মানসিকতা ও ডলারের লোভে’ এই অপকর্ম করে আসছিলেন।
অভিযান পরিচালনার সময় তাঁর ব্যবহৃত ডেস্কটপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, MEGA এবং Totanota নামে দুটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। প্রাথমিকভাবে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জর্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০-২৫টি আইডি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এসব আইডি দিয়ে মূল হোতা টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য যোগাযোগ করত।
এ ছাড়া তাঁর ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিশু পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা স্থিরচিত্র ও প্রায় ১ হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁর ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুর প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১১ দিন আগে