বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ২৯ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন ওই থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির। ইতিমধ্যে গতকাল রোববার মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও যেসব কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর।
আরও রয়েছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ভিপি জয়নাল, জয়নাল আবেদীন ফারুক, শাহজাহান মিয়া, আতাউর রহমান ঢালী ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ উদ্দিন ডোনার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন ও আমিরুল ইসলাম আমির, সহদপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তেজনি ও মনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফাত আলী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল।
কেন্দ্রীয় এসব নেতা ছাড়াও আরও ৪৩ জন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামিদের কথাও বলা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নয়াপল্টনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এজাহারভুক্তসহ অন্যান্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসার সামনে অবস্থান নেয়। তারা রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বৈশাখী পরিবহনের একটি গাড়ি ও একটি পিকআপ ভাঙচুর করে। মামলার বাদীসহ পুলিশ সদস্যরা বাধা দিতে এগিয়ে গেলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এরই মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে হামলা করে এবং বাসভবনের ভেতরে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে বিনষ্ট করে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরস্পর যোগসাজশে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়, আশপাশের রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।
সেখান থেকে পুলিশ ৪৩ জনকে আটক করে। ওই ৪৩ জনকে গতকাল রোববার আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে, রাতে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত রাত ১০টার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার এজাহারভুক্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোববার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস ও আরও কয়েকজন নেতার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের না পাওয়ায় গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ২৯ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন ওই থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির। ইতিমধ্যে গতকাল রোববার মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও যেসব কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর।
আরও রয়েছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ভিপি জয়নাল, জয়নাল আবেদীন ফারুক, শাহজাহান মিয়া, আতাউর রহমান ঢালী ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ উদ্দিন ডোনার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন ও আমিরুল ইসলাম আমির, সহদপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তেজনি ও মনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফাত আলী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল।
কেন্দ্রীয় এসব নেতা ছাড়াও আরও ৪৩ জন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামিদের কথাও বলা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নয়াপল্টনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এজাহারভুক্তসহ অন্যান্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসার সামনে অবস্থান নেয়। তারা রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বৈশাখী পরিবহনের একটি গাড়ি ও একটি পিকআপ ভাঙচুর করে। মামলার বাদীসহ পুলিশ সদস্যরা বাধা দিতে এগিয়ে গেলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এরই মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে হামলা করে এবং বাসভবনের ভেতরে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে বিনষ্ট করে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরস্পর যোগসাজশে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়, আশপাশের রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।
সেখান থেকে পুলিশ ৪৩ জনকে আটক করে। ওই ৪৩ জনকে গতকাল রোববার আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে, রাতে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত রাত ১০টার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার এজাহারভুক্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোববার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস ও আরও কয়েকজন নেতার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের না পাওয়ায় গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে