নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪-এর একটি দল। গ্রেপ্তার দুজন হলেন কথিত কবিরাজ সাগর আলী (৩১) ও তাঁর স্ত্রী ইশিতা বেগম (২৫)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত শনিবার মুক্তার হোসেন বাবুল (৪৮), তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৫) ও তাঁদের ছেলে মেহেদী হাসান জয়ের (১২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তিনজনের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গরুড়া (ফুলবাড়ী) গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী গৃহকর্তা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে তাঁদের বাসায় যান সাগর-ইশিতা দম্পতি। চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে এই দম্পতির ৯০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। চিকিৎসার কথা বলে বাসায় গিয়ে ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নিহতদের। এরপর একে একে তিনজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
কমান্ডার মঈন বলেন, নিহত মুক্তার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর সন্তান মেহেদী হাসান জয় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় বহুতল ভবনের ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে ফ্ল্যাট থেকে মুক্তার, তাঁর স্ত্রী শাহিদা ও তাঁদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রোববার আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন মুক্তারের চাচাতো ভাই।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সাগর টাঙ্গাইলের মোবারক ওরফে মোগবর আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে বাবুলের কাছ থেকে নেওয়া আংটি উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি র্যাবকে জানিয়েছে, প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাঁদের হত্যা করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে র্যাব মুখপাত্র যা বললেন
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় মুক্তারকে পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে তাঁর শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন। সাগর জানতে পারেন, মুক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি।
সাগর কৌশলে মুক্তারকে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তাঁর আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। মুক্তার তাঁর ও তাঁর পরিবারের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগরকে জানান।
সাগর মুক্তারকে জানান, তাঁর স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং তিনি মুক্তারের সমস্যার সমাধান করে দেবেন। একপর্যায়ে মুক্তারের সঙ্গে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করেন সাগর। তখন সাগর তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওষুধসহ মুক্তারের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবেন বলে জানান। যোগাযোগের জন্য মুক্তারকে সাগর নিজের নম্বর না দিয়ে এক আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দেন।
বাসায় গিয়ে সাগর তাঁর স্ত্রী ইশিতাকে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানান। বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হন সাগরের স্ত্রী।
তাঁরা পরিকল্পনা করেন ভুক্তভোগী মুক্তারের বাসায় গিয়ে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে তাঁর পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাঁদের অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বাক্স ঘুমের ওষুধ কেনেন।
২৯ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রেপ্তার সাগর ও তাঁর স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মুক্তারের জামগড়ার বাসায় যান। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর গ্রেপ্তার সাগরের স্ত্রী ইশিতা তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন এবং ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাঁদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে খাওয়ান।
মুক্তার, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তাঁর স্ত্রী মিলে প্রথমে মুক্তারের কক্ষে গিয়ে মুক্তারের হাত ও পা বাঁধেন, পরে মুক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধেন।
তাঁরা মুক্তারের মানিব্যাগ, তাঁর স্ত্রীর পার্স ও বাসার অন্য স্থানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দিয়ে প্রথমে মুক্তারের গলায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে হত্যা করেন সাগর। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে হত্যা করেন। পালানোর আগে তাঁরা মুক্তারের হাতে থাকা আংটি খুলে নিয়ে যান।
হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা ভিন্ন পথে গাজীপুরের মৌচাকে চলে যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান।
আগেও চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন সাগর
গ্রেপ্তার সাগর সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, সাগর মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত সাগর।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগর গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিন পান। জামিনের পর গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় তাঁর শ্বশুরের ভাড়া বাসায় কিছুদিন অবস্থান করেন।
দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকায় তাঁর আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়। তিনি রাজমিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ঢাকা, সিলেট ও টাঙ্গাইলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি ও ছিনতাই করতেন। গ্রেপ্তার দম্পতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
ঢাকার আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪-এর একটি দল। গ্রেপ্তার দুজন হলেন কথিত কবিরাজ সাগর আলী (৩১) ও তাঁর স্ত্রী ইশিতা বেগম (২৫)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত শনিবার মুক্তার হোসেন বাবুল (৪৮), তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৫) ও তাঁদের ছেলে মেহেদী হাসান জয়ের (১২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তিনজনের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গরুড়া (ফুলবাড়ী) গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী গৃহকর্তা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে তাঁদের বাসায় যান সাগর-ইশিতা দম্পতি। চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে এই দম্পতির ৯০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। চিকিৎসার কথা বলে বাসায় গিয়ে ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নিহতদের। এরপর একে একে তিনজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
কমান্ডার মঈন বলেন, নিহত মুক্তার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর সন্তান মেহেদী হাসান জয় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় বহুতল ভবনের ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে ফ্ল্যাট থেকে মুক্তার, তাঁর স্ত্রী শাহিদা ও তাঁদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রোববার আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন মুক্তারের চাচাতো ভাই।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সাগর টাঙ্গাইলের মোবারক ওরফে মোগবর আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে বাবুলের কাছ থেকে নেওয়া আংটি উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি র্যাবকে জানিয়েছে, প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাঁদের হত্যা করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে র্যাব মুখপাত্র যা বললেন
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় মুক্তারকে পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে তাঁর শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন। সাগর জানতে পারেন, মুক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি।
সাগর কৌশলে মুক্তারকে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তাঁর আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। মুক্তার তাঁর ও তাঁর পরিবারের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগরকে জানান।
সাগর মুক্তারকে জানান, তাঁর স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং তিনি মুক্তারের সমস্যার সমাধান করে দেবেন। একপর্যায়ে মুক্তারের সঙ্গে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করেন সাগর। তখন সাগর তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওষুধসহ মুক্তারের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবেন বলে জানান। যোগাযোগের জন্য মুক্তারকে সাগর নিজের নম্বর না দিয়ে এক আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দেন।
বাসায় গিয়ে সাগর তাঁর স্ত্রী ইশিতাকে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানান। বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হন সাগরের স্ত্রী।
তাঁরা পরিকল্পনা করেন ভুক্তভোগী মুক্তারের বাসায় গিয়ে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে তাঁর পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাঁদের অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বাক্স ঘুমের ওষুধ কেনেন।
২৯ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রেপ্তার সাগর ও তাঁর স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মুক্তারের জামগড়ার বাসায় যান। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর গ্রেপ্তার সাগরের স্ত্রী ইশিতা তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন এবং ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাঁদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে খাওয়ান।
মুক্তার, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তাঁর স্ত্রী মিলে প্রথমে মুক্তারের কক্ষে গিয়ে মুক্তারের হাত ও পা বাঁধেন, পরে মুক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধেন।
তাঁরা মুক্তারের মানিব্যাগ, তাঁর স্ত্রীর পার্স ও বাসার অন্য স্থানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দিয়ে প্রথমে মুক্তারের গলায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে হত্যা করেন সাগর। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে হত্যা করেন। পালানোর আগে তাঁরা মুক্তারের হাতে থাকা আংটি খুলে নিয়ে যান।
হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা ভিন্ন পথে গাজীপুরের মৌচাকে চলে যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান।
আগেও চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন সাগর
গ্রেপ্তার সাগর সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, সাগর মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত সাগর।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগর গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিন পান। জামিনের পর গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় তাঁর শ্বশুরের ভাড়া বাসায় কিছুদিন অবস্থান করেন।
দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকায় তাঁর আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়। তিনি রাজমিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ঢাকা, সিলেট ও টাঙ্গাইলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি ও ছিনতাই করতেন। গ্রেপ্তার দম্পতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে