জাবি সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষারোপ করে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন উপাচার্য। একই সঙ্গে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমও প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন।
এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘একাধিক গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে শামীম মোল্লাকে মারধর করা হয়েছে। অথচ আমি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য প্রক্টরকে নির্দেশ দিই। এ ছাড়া ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে নিজেই রাত ৭টা ২০ মিনিটের দিকে প্রক্টর অফিসে উপস্থিত হই। আমি গিয়ে দেখতে পাই, পুলিশ তখনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে আবারও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দ্রুত আসার জন্য অনুরোধ করি।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি, শামীম মোল্লাকে মারধরকারী বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটে নতুন তালা লাগিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আমি কালবিলম্ব না করে তাকে দ্রুত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য প্রক্টরকে নির্দেশ দিই। এরপর আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। আমার উপস্থিতিতে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে প্রক্টর অফিসে উপস্থিত সাবেক শিক্ষার্থী ও জাবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ ভূঁইয়া এবং আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেদিন প্রক্টর অফিসে গেলে নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে আমার সঙ্গে অনেক সাবেক শিক্ষার্থী দেখা করেন। তাদের মধ্যে আবু সাঈদ ভূঁইয়াও ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তাদের সঙ্গে শামীম মোল্লাকে মারধরের বিষয় নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি।’
কিছু গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে কামরুল আহসান বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক সংবাদে শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি এ ঘটনায় একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে শোক প্রকাশ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কয়েকজনকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাশাপাশি অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ওই দিনই প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় এত ত্বরিত গতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষারোপ করার বিষয়টি দুরভিসন্ধিমূলক।’
এদিকে নিজেদের অবস্থান ও পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রক্টরিয়াল বডিকে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। প্রতিবেদনগুলোতে প্রক্টরিয়াল বডির গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত এগুলো সত্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন উপাচার্যের নির্দেশের পরপরই আশুলিয়া থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং শামীম মোল্লাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য দ্রুত পুলিশের টিম পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি। নিরাপত্তার স্বার্থে শামীম মোল্লাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কলাপসিবল গেটের সামনে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারায় রেখে নিজের অফিসে ফিরে আসি। এর মধ্যে কতিপয় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি গেটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধর শুরু করেন বলে খবর আসে। তৎক্ষণাৎ আমি নিরাপত্তা শাখায় গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াই এবং সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেই। এরপর শামীম মোল্লার নিরাপত্তার স্বার্থে আবারও নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।’
শামীম মোল্লাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় পুলিশের টিম প্রক্টর অফিসে আসে। এরপর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আমি এবং নিরাপত্তাকর্মীরা শামীম মোল্লাকে ঢালস্বরূপ নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিই।’
থানায় মামলা করার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো অভিযুক্তদের ক্রমের সঙ্গে আসামিদের ক্রমের অমিল পরিলক্ষিত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে মামলায় আসামিদের ক্রম সংশোধন করা হয়েছে।’
আসামিদের ক্রমপরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলার বাদী হন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশিত নিয়মেই তাঁকে মামলা করতে হবে। ক্রমপরিবর্তনের সঙ্গে মামলার বাদী প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জড়িত আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপাচার্য ও আমাকে জড়িয়ে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একটি তদন্তাধীন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তাঁর এরূপ মন্তব্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষারোপ করে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন উপাচার্য। একই সঙ্গে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমও প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন।
এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘একাধিক গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে শামীম মোল্লাকে মারধর করা হয়েছে। অথচ আমি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য প্রক্টরকে নির্দেশ দিই। এ ছাড়া ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে নিজেই রাত ৭টা ২০ মিনিটের দিকে প্রক্টর অফিসে উপস্থিত হই। আমি গিয়ে দেখতে পাই, পুলিশ তখনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে আবারও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দ্রুত আসার জন্য অনুরোধ করি।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি, শামীম মোল্লাকে মারধরকারী বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটে নতুন তালা লাগিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আমি কালবিলম্ব না করে তাকে দ্রুত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য প্রক্টরকে নির্দেশ দিই। এরপর আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। আমার উপস্থিতিতে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে প্রক্টর অফিসে উপস্থিত সাবেক শিক্ষার্থী ও জাবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ ভূঁইয়া এবং আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেদিন প্রক্টর অফিসে গেলে নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে আমার সঙ্গে অনেক সাবেক শিক্ষার্থী দেখা করেন। তাদের মধ্যে আবু সাঈদ ভূঁইয়াও ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তাদের সঙ্গে শামীম মোল্লাকে মারধরের বিষয় নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি।’
কিছু গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে কামরুল আহসান বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক সংবাদে শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি এ ঘটনায় একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে শোক প্রকাশ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কয়েকজনকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাশাপাশি অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ওই দিনই প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় এত ত্বরিত গতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষারোপ করার বিষয়টি দুরভিসন্ধিমূলক।’
এদিকে নিজেদের অবস্থান ও পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রক্টরিয়াল বডিকে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। প্রতিবেদনগুলোতে প্রক্টরিয়াল বডির গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত এগুলো সত্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন উপাচার্যের নির্দেশের পরপরই আশুলিয়া থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং শামীম মোল্লাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য দ্রুত পুলিশের টিম পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি। নিরাপত্তার স্বার্থে শামীম মোল্লাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কলাপসিবল গেটের সামনে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারায় রেখে নিজের অফিসে ফিরে আসি। এর মধ্যে কতিপয় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি গেটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধর শুরু করেন বলে খবর আসে। তৎক্ষণাৎ আমি নিরাপত্তা শাখায় গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াই এবং সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেই। এরপর শামীম মোল্লার নিরাপত্তার স্বার্থে আবারও নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।’
শামীম মোল্লাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় পুলিশের টিম প্রক্টর অফিসে আসে। এরপর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আমি এবং নিরাপত্তাকর্মীরা শামীম মোল্লাকে ঢালস্বরূপ নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিই।’
থানায় মামলা করার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো অভিযুক্তদের ক্রমের সঙ্গে আসামিদের ক্রমের অমিল পরিলক্ষিত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে মামলায় আসামিদের ক্রম সংশোধন করা হয়েছে।’
আসামিদের ক্রমপরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলার বাদী হন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশিত নিয়মেই তাঁকে মামলা করতে হবে। ক্রমপরিবর্তনের সঙ্গে মামলার বাদী প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জড়িত আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপাচার্য ও আমাকে জড়িয়ে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একটি তদন্তাধীন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তাঁর এরূপ মন্তব্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে