নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রী কিংবা সিপাহীবাগ দু’জায়গা থেকেই ভূইয়াপাড়া বাজারে যাওয়া সহজ। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীদের যাতায়াতের কারণে সেই বাজারের পাশে মোশাররফ দারোগার বাড়ি এখন এলাকার সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। তিনি পুলিশের সাবেক সুপার বাবুল আক্তারের শ্বশুর।
গতকাল সোমবার দিনব্যাপী গুঞ্জন ছিল– তদন্তের স্বার্থে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু নিশ্চিত করার মতো সূত্র মেলেনি। তাই তার শ্বশুরবাড়িতে যাত্রা। ঢুকতেই এগিয়ে এলেন লিয়াকত, বাড়ির পেছনের টিনশেড অংশে ভাড়া থাকেন। মাটিকাটা শ্রমিক। প্রতিবেদককে বলেন, ‘সারাডা দিন নাতিগুলার লাইগা কান্দে ভাই। এত কষ্ট হ্যাগো। আমরা শুধু দেহি। ছোড মাইয়ার নাতিডারে লইয়াই দিন কাডে বুড়াবুড়ির।’
বেশ কয়েকবার কলিংবেলের সুইচ চাপার পর দরজা খুললেন চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা আক্তার মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ। মেয়ের কথা তুলতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন। সাড়ে তিন বছর ধরে বড় মেয়ের দুই নাতি-নাতনির সাথে দেখা নেই। যাদের জন্মের পর থেকে কোলে–পিঠে করে বড় করেছেন, তাদের সাথে দেখা না হওয়ার কষ্টের কথা রূপ নেয় ক্ষোভে, বাবু (বাবুল আক্তার) আমার নাতিগুলার সাথে দেখা করতে দ্যায় না। কী যে কষ্টে আছি, আপানারা বুঝবেন না। ঈদ, রমজান আসে, ভালো কোনো খাবার করে নাতিগুলারে দিতে পারি না। আমাদের সাথে একবারের জন্যও কথা বলতে দ্যায় না নাতি দুইটারে।
শাহিদা বলতে থাকেন, ‘বাবুলই তো খুন করছে আমার মেয়েরে। সবকিছু আল্লাহর ওপর ছাইড়া দিছি। বিচার যদি হয় দেখে যেতে পারবো।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবুল আক্তারের বাবা ফোন করেন শাহিদা মোশাররফকে। জানান, সোমবার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তার ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য তিনি জেনেছেন বাবুল আক্তারের বর্তমান স্ত্রীর (তৃতীয়) কাছ থেকে।
বাবুলের শ্বশুর পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশররফ হোসেন বাসায় নেই বলে দাবি করেন তার স্ত্রী। ফোন করার পর তিনি জানান, পারিবারিক কাজে বাইরে আছেন। বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা হবে। তবে বাবুল আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বাবুল আক্তারের বর্তমান কর্মস্থল বেসরকারি হাসপাতাল আদ-দ্বীনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুইদিন ধরে অফিস করেননি তিনি। বড় মগবাজারে অবস্থিত হাসপাতালটির প্রশাসনিক ভবনের ছয়তলায় বসেন বাবুল। তাঁর কাজের সহকারী এখলাস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্যার গত পরশুদিন (শনিবার) শেষ অফিস করেছেন। গতকাল ও আজকে ফিরে আসেননি। আমরা স্যারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু স্যারকে ফোনে পাইনি।
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা তদন্তের পাঁচ বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলো। এখন চট্টগ্রাম অফিসে রেখে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানায় পিবিআই সূত্র।
পিবিআইয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে এক বন্ধুসহ তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর প্রথমে পিবিআই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অফিসে, পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রেখেই তাকে এই হত্যা মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। বাবুলকে তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি করে ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে এসপি (পুলিশ সুপার) পদে সংযুক্ত করা হয়।
মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরতে শুরু করে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। এসময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রী কিংবা সিপাহীবাগ দু’জায়গা থেকেই ভূইয়াপাড়া বাজারে যাওয়া সহজ। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীদের যাতায়াতের কারণে সেই বাজারের পাশে মোশাররফ দারোগার বাড়ি এখন এলাকার সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। তিনি পুলিশের সাবেক সুপার বাবুল আক্তারের শ্বশুর।
গতকাল সোমবার দিনব্যাপী গুঞ্জন ছিল– তদন্তের স্বার্থে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু নিশ্চিত করার মতো সূত্র মেলেনি। তাই তার শ্বশুরবাড়িতে যাত্রা। ঢুকতেই এগিয়ে এলেন লিয়াকত, বাড়ির পেছনের টিনশেড অংশে ভাড়া থাকেন। মাটিকাটা শ্রমিক। প্রতিবেদককে বলেন, ‘সারাডা দিন নাতিগুলার লাইগা কান্দে ভাই। এত কষ্ট হ্যাগো। আমরা শুধু দেহি। ছোড মাইয়ার নাতিডারে লইয়াই দিন কাডে বুড়াবুড়ির।’
বেশ কয়েকবার কলিংবেলের সুইচ চাপার পর দরজা খুললেন চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা আক্তার মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ। মেয়ের কথা তুলতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন। সাড়ে তিন বছর ধরে বড় মেয়ের দুই নাতি-নাতনির সাথে দেখা নেই। যাদের জন্মের পর থেকে কোলে–পিঠে করে বড় করেছেন, তাদের সাথে দেখা না হওয়ার কষ্টের কথা রূপ নেয় ক্ষোভে, বাবু (বাবুল আক্তার) আমার নাতিগুলার সাথে দেখা করতে দ্যায় না। কী যে কষ্টে আছি, আপানারা বুঝবেন না। ঈদ, রমজান আসে, ভালো কোনো খাবার করে নাতিগুলারে দিতে পারি না। আমাদের সাথে একবারের জন্যও কথা বলতে দ্যায় না নাতি দুইটারে।
শাহিদা বলতে থাকেন, ‘বাবুলই তো খুন করছে আমার মেয়েরে। সবকিছু আল্লাহর ওপর ছাইড়া দিছি। বিচার যদি হয় দেখে যেতে পারবো।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবুল আক্তারের বাবা ফোন করেন শাহিদা মোশাররফকে। জানান, সোমবার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তার ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য তিনি জেনেছেন বাবুল আক্তারের বর্তমান স্ত্রীর (তৃতীয়) কাছ থেকে।
বাবুলের শ্বশুর পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশররফ হোসেন বাসায় নেই বলে দাবি করেন তার স্ত্রী। ফোন করার পর তিনি জানান, পারিবারিক কাজে বাইরে আছেন। বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা হবে। তবে বাবুল আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বাবুল আক্তারের বর্তমান কর্মস্থল বেসরকারি হাসপাতাল আদ-দ্বীনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুইদিন ধরে অফিস করেননি তিনি। বড় মগবাজারে অবস্থিত হাসপাতালটির প্রশাসনিক ভবনের ছয়তলায় বসেন বাবুল। তাঁর কাজের সহকারী এখলাস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্যার গত পরশুদিন (শনিবার) শেষ অফিস করেছেন। গতকাল ও আজকে ফিরে আসেননি। আমরা স্যারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু স্যারকে ফোনে পাইনি।
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা তদন্তের পাঁচ বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলো। এখন চট্টগ্রাম অফিসে রেখে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানায় পিবিআই সূত্র।
পিবিআইয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে এক বন্ধুসহ তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর প্রথমে পিবিআই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অফিসে, পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রেখেই তাকে এই হত্যা মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। বাবুলকে তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি করে ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে এসপি (পুলিশ সুপার) পদে সংযুক্ত করা হয়।
মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরতে শুরু করে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। এসময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে