নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থী ধর্মান্ধের’ দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও পাননি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। একাদশ সংসদে ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তাঁরা দুজনই প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ভাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপক সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের চালানো নির্বিচার হামলার তীব্র সমালোচক ছিলেন। যে আন্দোলনে শত শত নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার ছেলে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য শাহবাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে উল্লাসমুখর ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। আমার স্বামী ছাত্রদের এই অভূতপূর্ব গণ–আন্দোলন প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। আমরা আমার স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং আমি দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিই। উত্তরা থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটি তখন শত শত মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
‘বিমানবন্দরের কাছে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে রিকশায় আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা নেমে রাস্তার মানুষদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলাম। কয়েকজন ছাত্র আমার স্বামীকে দেখে হাসল এবং তাঁর সঙ্গে হাত মেলাল। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছানোর সময়, ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজন অচেনা ব্যক্তি হঠাৎ আমার স্বামীর কাছে এগিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেই প্রফেসর যিনি ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা আপনাকে টিভিতে দেখেছি।”
‘ওই ব্যক্তি জোর করে আমার স্বামীকে বিমানবন্দরের বিপরীতে একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমি শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকজন (তিন থেকে চারজন) আমার স্বামীর চারপাশে জড়ো হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা “নারায়ে তাকবির” ধ্বনি দিতে শুরু করে। তাদের একজন বলল, “তুমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছ। আমরা তোমার গলা কাটব।” ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন বস্তু দিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্মম আক্রমণ চালাতে থাকে। তাদের একজন বলল, “তার মাথায় আঘাত করো। মেরে ফেলো।”
‘আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা বলতে পারছিলাম না কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, আমার স্বামী মনে করতে পারেন যে তাঁর মনে হয়েছিল একটি বড় পাথর বা ইট এবং একটি তীক্ষ্ণ লৌহ বস্তু দিয়ে তাঁর মুখ, কপাল, মাথার ওপরের অংশ এবং পেছনে ও বুকের ওপর বারবার আঘাত করা হয়েছিল। আমার পুত্রবধূ সামরিক জিপে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউনিফর্মধারী সেনাসদস্যের কাছে সাহায্য চেয়ে যান, কিন্তু প্রায় ভয়ে কেউই জিপ থেকে নামেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাণঘাতী আক্রমণ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল, এর মধ্যে আমার ছেলে, আমার পুত্রবধূ এবং আমি আমার স্বামীর মাথাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করছিল। কারণ, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামী প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে একটি সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তখন, দুজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, কালো পোশাক পরিহিত। দ্বিতীয় ব্যক্তির চেহারা মনে করতে পারছি না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার স্বামীর দেহকে রক্ষা করতে থাকে। কালো টি–শার্ট পরিহিত ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিল, “আপনারা কী করছেন?! তিনি একজন মানুষ! তিনি একজন মানুষ!”
‘আমরা কোনোমতে আমার স্বামীকে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে বিমানবন্দরের সামনের সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ব্যারিকেডে পৌঁছে আমি দেখতে পাই যে সেনাসদস্যরা আমার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন তাদের বললাম যে আমার স্বামী কে। তখন তারা দ্রুত প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তাঁকে এবং আমাদের সবাইকে ব্যারিকেডের ভেতরে নিয়ে গেল। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। সেখানে আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে স্ত্রী আয়েশা হোসেন বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে বহু প্রকাশনা রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারবিহীন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ও অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ায়, অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।’
জামায়াতের বক্তব্য
আজ শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করা একটি রাজনৈতিক অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়ে থাকলে জামায়াত তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থী ধর্মান্ধের’ দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও পাননি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। একাদশ সংসদে ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তাঁরা দুজনই প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ভাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপক সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের চালানো নির্বিচার হামলার তীব্র সমালোচক ছিলেন। যে আন্দোলনে শত শত নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার ছেলে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য শাহবাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে উল্লাসমুখর ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। আমার স্বামী ছাত্রদের এই অভূতপূর্ব গণ–আন্দোলন প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। আমরা আমার স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং আমি দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিই। উত্তরা থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটি তখন শত শত মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
‘বিমানবন্দরের কাছে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে রিকশায় আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা নেমে রাস্তার মানুষদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলাম। কয়েকজন ছাত্র আমার স্বামীকে দেখে হাসল এবং তাঁর সঙ্গে হাত মেলাল। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছানোর সময়, ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজন অচেনা ব্যক্তি হঠাৎ আমার স্বামীর কাছে এগিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেই প্রফেসর যিনি ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা আপনাকে টিভিতে দেখেছি।”
‘ওই ব্যক্তি জোর করে আমার স্বামীকে বিমানবন্দরের বিপরীতে একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমি শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকজন (তিন থেকে চারজন) আমার স্বামীর চারপাশে জড়ো হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা “নারায়ে তাকবির” ধ্বনি দিতে শুরু করে। তাদের একজন বলল, “তুমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছ। আমরা তোমার গলা কাটব।” ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন বস্তু দিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্মম আক্রমণ চালাতে থাকে। তাদের একজন বলল, “তার মাথায় আঘাত করো। মেরে ফেলো।”
‘আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা বলতে পারছিলাম না কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, আমার স্বামী মনে করতে পারেন যে তাঁর মনে হয়েছিল একটি বড় পাথর বা ইট এবং একটি তীক্ষ্ণ লৌহ বস্তু দিয়ে তাঁর মুখ, কপাল, মাথার ওপরের অংশ এবং পেছনে ও বুকের ওপর বারবার আঘাত করা হয়েছিল। আমার পুত্রবধূ সামরিক জিপে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউনিফর্মধারী সেনাসদস্যের কাছে সাহায্য চেয়ে যান, কিন্তু প্রায় ভয়ে কেউই জিপ থেকে নামেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাণঘাতী আক্রমণ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল, এর মধ্যে আমার ছেলে, আমার পুত্রবধূ এবং আমি আমার স্বামীর মাথাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করছিল। কারণ, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামী প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে একটি সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তখন, দুজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, কালো পোশাক পরিহিত। দ্বিতীয় ব্যক্তির চেহারা মনে করতে পারছি না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার স্বামীর দেহকে রক্ষা করতে থাকে। কালো টি–শার্ট পরিহিত ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিল, “আপনারা কী করছেন?! তিনি একজন মানুষ! তিনি একজন মানুষ!”
‘আমরা কোনোমতে আমার স্বামীকে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে বিমানবন্দরের সামনের সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ব্যারিকেডে পৌঁছে আমি দেখতে পাই যে সেনাসদস্যরা আমার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন তাদের বললাম যে আমার স্বামী কে। তখন তারা দ্রুত প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তাঁকে এবং আমাদের সবাইকে ব্যারিকেডের ভেতরে নিয়ে গেল। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। সেখানে আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে স্ত্রী আয়েশা হোসেন বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে বহু প্রকাশনা রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারবিহীন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ও অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ায়, অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।’
জামায়াতের বক্তব্য
আজ শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করা একটি রাজনৈতিক অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়ে থাকলে জামায়াত তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে