নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দামি মোটরসাইকেল থাকলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা যাবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নজরে পড়বে। এ জন্য মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড়বাকা এলাকার তিন তরুণের প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকা। টাকা জোগাতে তাঁরা শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। খুঁজতে থাকেন টার্গেট। পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের এলাকার সাত বছরের শিশু আল-আমিনকে বন্যার পানির দেখানোর কথা বলে নির্জন এলাকায় নিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেন। শিশুটির বাইসাইকেল ফেলে দেন পার্শ্ববর্তী পুকুরে।
শিশুটির পোশাক দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল ওই তরুণদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে ধরা পড়ে হৃদয় হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও নাজমুল হোসেন নামে তিন তরুণ।
রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআইয়ের হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার সংস্থাটির মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, গত ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল-আমিন বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার ওপর বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়ি না ফেরায় তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পর দিন বাবা শহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। ৩১ আগস্ট পরিত্যক্ত একটি ভিটায় বাঁশঝাড়ের ভেতর শিশুটির পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট পাওয়া যায়। পাশের বাঁশপাতা সরিয়ে মাটি খুঁড়লে সাদা রঙের একটি প্লাস্টিকের বস্তায় আল-আমিনের মৃতদেহ পায় স্থানীয়রা।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টাকার জন্য যে কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তিন তরুণ। আল-আমিনকে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান হৃদয়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন নাজমুল। দুজনে মিলে আল-আমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে নাজমুলের কাছে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে মৃতদেহ ঢুকিয়ে ফেলে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মির প্রমাণ হিসেবে আল-আমিনের পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট রেখে দেন। এরপর লাশের বস্তাটি বাঁশঝাড়ের কাছাকাছি জায়গায় প্রায় হাঁটু পানিতে ডুবিয়ে রেখে একটি মুরগির বর্জ্যের বস্তা ভেতর ঢুকিয়ে চাপা দেয়। এ সময় নাজমুলের ফোন থেকে হৃদয়, সাদ্দামকে ফোন দিয়ে বলেন যে কাজ হয়ে গেছে। ঘটনার পর আল-আমিনের সাইকেল বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর নতুন সিম থেকে শিশুর স্বজনদের ফোন দিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু সাদ্দাম ঘটনার দিন নতুন সিম সংগ্রহ করতে না পারার কারণে আল-আমিনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই স্থানীয়রা শিশুটির মৃতদেহ পেয়ে যাওয়ায় তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পালানোর জন্য প্রথমে মানিকগঞ্জ থেকে সাভারের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে হোটেল বয়ের ফোন থেকে ওই শিশুর বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান হৃদয়। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে মুক্তিপণ চাইলেও ওই দিন সাভার থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে চলে যান। তাঁরা ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন।
দামি মোটরসাইকেল থাকলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা যাবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নজরে পড়বে। এ জন্য মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড়বাকা এলাকার তিন তরুণের প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকা। টাকা জোগাতে তাঁরা শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। খুঁজতে থাকেন টার্গেট। পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের এলাকার সাত বছরের শিশু আল-আমিনকে বন্যার পানির দেখানোর কথা বলে নির্জন এলাকায় নিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেন। শিশুটির বাইসাইকেল ফেলে দেন পার্শ্ববর্তী পুকুরে।
শিশুটির পোশাক দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল ওই তরুণদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে ধরা পড়ে হৃদয় হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও নাজমুল হোসেন নামে তিন তরুণ।
রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআইয়ের হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার সংস্থাটির মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, গত ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল-আমিন বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার ওপর বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়ি না ফেরায় তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পর দিন বাবা শহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। ৩১ আগস্ট পরিত্যক্ত একটি ভিটায় বাঁশঝাড়ের ভেতর শিশুটির পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট পাওয়া যায়। পাশের বাঁশপাতা সরিয়ে মাটি খুঁড়লে সাদা রঙের একটি প্লাস্টিকের বস্তায় আল-আমিনের মৃতদেহ পায় স্থানীয়রা।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টাকার জন্য যে কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তিন তরুণ। আল-আমিনকে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান হৃদয়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন নাজমুল। দুজনে মিলে আল-আমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে নাজমুলের কাছে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে মৃতদেহ ঢুকিয়ে ফেলে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মির প্রমাণ হিসেবে আল-আমিনের পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট রেখে দেন। এরপর লাশের বস্তাটি বাঁশঝাড়ের কাছাকাছি জায়গায় প্রায় হাঁটু পানিতে ডুবিয়ে রেখে একটি মুরগির বর্জ্যের বস্তা ভেতর ঢুকিয়ে চাপা দেয়। এ সময় নাজমুলের ফোন থেকে হৃদয়, সাদ্দামকে ফোন দিয়ে বলেন যে কাজ হয়ে গেছে। ঘটনার পর আল-আমিনের সাইকেল বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর নতুন সিম থেকে শিশুর স্বজনদের ফোন দিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু সাদ্দাম ঘটনার দিন নতুন সিম সংগ্রহ করতে না পারার কারণে আল-আমিনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই স্থানীয়রা শিশুটির মৃতদেহ পেয়ে যাওয়ায় তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পালানোর জন্য প্রথমে মানিকগঞ্জ থেকে সাভারের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে হোটেল বয়ের ফোন থেকে ওই শিশুর বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান হৃদয়। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে মুক্তিপণ চাইলেও ওই দিন সাভার থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে চলে যান। তাঁরা ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে