লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বসিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান হারুনুর রশিদ। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালরে মর্গে রাখা হয়।

এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে বটের পুকুর পাড়ের চা দোকানের সামনে হারুনুর রশিদের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁর পা বিচ্ছিন্ন করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদের হাত-পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণের কারণে সে মারা যায়। 

দলীয় সূত্র জানায়, বসিকপুর ইউনিয়নের বটের পুকুর পাড়ে একটি চায়ের দোকানে বসে ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ। এ সময় সিএনজি করে ৫ থেকে ৬ জনের একদল সন্ত্রাসী তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। একপর্যায়ে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায়। 

তবে বিএনপির নেতা কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া হারনুর রশিদ ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী। 

সদর থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। 

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এসএম কামরুজ্জামান বলেন, হারনুর রশিদ চা দোকানে বসে খেলা দেখছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।