খান রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নগরী। দু’দিন ধরে প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে। সংঘর্ষে আহত হয় উভয় পক্ষে শতাধিক। ভাঙচুর করা হয় বিএম কলেজের ৩টি বাস ও ছাত্রী হোস্টেল।
এ ঘটনায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা আজ সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করে ববির কতিপয় শিক্ষার্থীকে চাঁদাবাজ অভিহিত করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আলটিমেটাম দিয়েছে। তা না হলে বরিশাল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
যদিও বিএম কলেজের কতিপয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ববি শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে আজ বিকেলে জরুরি সভা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডে জমি নিয়ে বিরোধ মেটাতে গিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় বিএম কলেজের ছাত্র সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমানকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করা হয়। মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ইমন ও রাফিনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩টি বাস যোগে নগরীতে এসে বিএম কলেজের কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। হামলা করে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০০ জন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মহসীন উদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ববির এ পর্যন্ত ৭২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে বিভাগীয় কমিশনার বিকেলে সভা করেছেন।
শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শামিম আহমেদ বলেন, আমরা বিএম কলেজে গিয়েছিলাম সমঝোতা করতে। তারা আমাদের আক্রমণ করতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
অপর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের ভাইয়েরা আটকে থাকার কারণে ববি শিক্ষার্থীরা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যাই। আমরা নিরস্ত্র ছিলাম। কিন্তু তারা (বিএম কলেজ) মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সশস্ত্র হামলা চালায়।
আজ বেলা ১১টায় বিএম কলেজছাত্ররা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক বিষয় তুলে ধরে। লিখিত বক্তব্যে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একজন গরিব লোকের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের বটতলায় আটক করা হয়। পরে ববি শিক্ষার্থীরা আলেকান্দা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে। হামলা করা হয় বনমালী গাঙ্গুলি ছাত্রীনিবাসে। ভাঙচুর করা হয় ৫টি বাস।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান না হলে পুরো বরিশাল অচল করে দেওয়া হবে। বরিশালের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না। নগরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না।
সোহাগ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী চাঁদাবাজি করেছে, সন্ত্রাস করেছে। এই হামলা সন্ত্রাসের শামিল।
পরে বিকেল ৫টার দিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অপরদিকে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের অন্যতম মো. তমাল বলেন, তাঁদের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ভাই মলম পার্টির খপ্পরে পড়েন। এতে বাস কর্তৃপক্ষকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে জুনিয়ররা। পরে অবশিষ্ট টাকা নিতে এলে ইমন, রাফিন নামক দুই জনকে মারধর করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, যা হয়েছে তা সমানে সমান। চাঁদাবাজির অভিযোগে ওদের একজনকে মারধর এবং আমাদেরও দুই জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করা হয়েছে। রাতে মারামারিতে অনেকে আহত হয়েছে। যদি কেউ টাকার বিনিময় সালিস করতে আসে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে ক্লাস–পরীক্ষা নেওয়া যায় না। এ কারণে একদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তা ছাড়া তাঁরা একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি করেছেন। কমিটির আহ্বায়ক আইন অনুষদের ডিন সুপ্রভাত হালদার।
বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিনুল হক বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। এতে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, ডিসি এবং দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান ছিলেন। সভায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি করা হয়েছে। যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রশাসনের লোক এর আহ্বায়ক থাকবেন। ছাত্রদের দুই পক্ষকে আর যাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি না হয় সে বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। কলেজের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজ বিকেলে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়নি।
বরিশাল শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন এক শ্রেণির মানুষ তাদের কাছে গিয়ে নানা অভিযোগ দিয়ে ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। এই সুযোগে এক শ্রেণি চাঁদাবাজিতে নেমেছে। তিনি মনে করেন, যারা সালিসের নামে চাঁদাবাজি করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবে প্রশাসন।
বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নগরী। দু’দিন ধরে প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে। সংঘর্ষে আহত হয় উভয় পক্ষে শতাধিক। ভাঙচুর করা হয় বিএম কলেজের ৩টি বাস ও ছাত্রী হোস্টেল।
এ ঘটনায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা আজ সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করে ববির কতিপয় শিক্ষার্থীকে চাঁদাবাজ অভিহিত করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আলটিমেটাম দিয়েছে। তা না হলে বরিশাল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
যদিও বিএম কলেজের কতিপয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ববি শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে আজ বিকেলে জরুরি সভা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডে জমি নিয়ে বিরোধ মেটাতে গিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় বিএম কলেজের ছাত্র সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমানকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করা হয়। মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ইমন ও রাফিনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩টি বাস যোগে নগরীতে এসে বিএম কলেজের কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। হামলা করে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০০ জন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মহসীন উদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ববির এ পর্যন্ত ৭২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে বিভাগীয় কমিশনার বিকেলে সভা করেছেন।
শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শামিম আহমেদ বলেন, আমরা বিএম কলেজে গিয়েছিলাম সমঝোতা করতে। তারা আমাদের আক্রমণ করতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
অপর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের ভাইয়েরা আটকে থাকার কারণে ববি শিক্ষার্থীরা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যাই। আমরা নিরস্ত্র ছিলাম। কিন্তু তারা (বিএম কলেজ) মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সশস্ত্র হামলা চালায়।
আজ বেলা ১১টায় বিএম কলেজছাত্ররা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক বিষয় তুলে ধরে। লিখিত বক্তব্যে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একজন গরিব লোকের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের বটতলায় আটক করা হয়। পরে ববি শিক্ষার্থীরা আলেকান্দা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে। হামলা করা হয় বনমালী গাঙ্গুলি ছাত্রীনিবাসে। ভাঙচুর করা হয় ৫টি বাস।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান না হলে পুরো বরিশাল অচল করে দেওয়া হবে। বরিশালের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না। নগরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না।
সোহাগ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী চাঁদাবাজি করেছে, সন্ত্রাস করেছে। এই হামলা সন্ত্রাসের শামিল।
পরে বিকেল ৫টার দিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অপরদিকে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের অন্যতম মো. তমাল বলেন, তাঁদের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ভাই মলম পার্টির খপ্পরে পড়েন। এতে বাস কর্তৃপক্ষকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে জুনিয়ররা। পরে অবশিষ্ট টাকা নিতে এলে ইমন, রাফিন নামক দুই জনকে মারধর করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, যা হয়েছে তা সমানে সমান। চাঁদাবাজির অভিযোগে ওদের একজনকে মারধর এবং আমাদেরও দুই জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মারধর করা হয়েছে। রাতে মারামারিতে অনেকে আহত হয়েছে। যদি কেউ টাকার বিনিময় সালিস করতে আসে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে ক্লাস–পরীক্ষা নেওয়া যায় না। এ কারণে একদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তা ছাড়া তাঁরা একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি করেছেন। কমিটির আহ্বায়ক আইন অনুষদের ডিন সুপ্রভাত হালদার।
বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিনুল হক বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। এতে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, ডিসি এবং দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান ছিলেন। সভায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি করা হয়েছে। যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রশাসনের লোক এর আহ্বায়ক থাকবেন। ছাত্রদের দুই পক্ষকে আর যাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি না হয় সে বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। কলেজের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজ বিকেলে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়নি।
বরিশাল শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন এক শ্রেণির মানুষ তাদের কাছে গিয়ে নানা অভিযোগ দিয়ে ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। এই সুযোগে এক শ্রেণি চাঁদাবাজিতে নেমেছে। তিনি মনে করেন, যারা সালিসের নামে চাঁদাবাজি করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবে প্রশাসন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে