নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র (বিসিসি) সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আবারও বিবাদে জড়ালেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে। আজ সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলবল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা প্রদান করলে নতুন ইউএনও মনিরুজ্জামানকে প্রকাশ্যে ‘স্টুপিড’ বলেন মেয়র সাদিক।
এ সময় ইউএনও বারবার প্লিজ প্লিজ বলে অনুরোধ করলে মেয়র বাগবিতন্ডা জড়িয়ে পরেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীরাও মেয়রের সঙ্গে ছিলেন। সোমবার সকালে মেয়রের নিজস্ব ফেসবুকে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ঘটে বরিশালে।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যা দেখার আপনি তো দেখছেন, আমাকে কেন জিজ্ঞাস করেন। আমি কেবল আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলাম।’ ভোট কেন্দ্র থেকে লাইভ করা যায় কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় প্রিসাইডিং অফিসার কিংবা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন।’
সোমবার সকালে ভোটকক্ষে প্রবেশের গেটে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম অনুরোধ করেন দলবল নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে। এরপর ভোট কক্ষের সামনে পৌঁছালে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দল বেঁধে প্রবেশ না করতে প্লিজ প্লিজ বলে অনুরোধ করেন। এ সময় মেয়র সাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন তাতে বুঝা যায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায়!’
এ সময় তাঁর সঙ্গে কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না বলেন, ‘এখানে সবাই ভোটার, আপনি চেনেন না।’
নগর আ. লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ইউএনওকে বলেন, ‘উনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র। আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।’ এ সময় ইউএনও পিঠে হাত বুলিয়ে বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।’
একপর্যায়ে মেয়র সাদিক ইউএনওকে বলেন, ‘আমি তো ভেতরে ঢুকিনি। ফাইজলামি করেন আপনারা। আপনে কানে কথা শোনেননি।’ তখন ইউএনও মনিরুজ্জমান মেয়রকে বলেন, ‘আপনাকে কিছু বলিনি স্যার।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করব না।’ তবে বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই।’
এ সময় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে বিনা ভোটে সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মেয়রের সঙ্গে থাকা বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিনা ভোটে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গির বলেন, ‘ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৯টায়। মেয়র অন্যান্য ভোটারদের নিয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভেতরে প্রবেশ করেননি। তখন ইউএনও তাকে প্রবেশ না করার জন্য বারবার বলেন।’ এর বেশি কিছুই হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৮ আগস্ট রাতে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণ নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়ান মেয়র সাদিক ও তাঁর অনুসারীরা। এ সময় তার অনুসারীরা ইউএনওর বাসায় ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় ঘটে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র (বিসিসি) সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আবারও বিবাদে জড়ালেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে। আজ সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলবল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা প্রদান করলে নতুন ইউএনও মনিরুজ্জামানকে প্রকাশ্যে ‘স্টুপিড’ বলেন মেয়র সাদিক।
এ সময় ইউএনও বারবার প্লিজ প্লিজ বলে অনুরোধ করলে মেয়র বাগবিতন্ডা জড়িয়ে পরেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীরাও মেয়রের সঙ্গে ছিলেন। সোমবার সকালে মেয়রের নিজস্ব ফেসবুকে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ঘটে বরিশালে।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যা দেখার আপনি তো দেখছেন, আমাকে কেন জিজ্ঞাস করেন। আমি কেবল আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলাম।’ ভোট কেন্দ্র থেকে লাইভ করা যায় কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় প্রিসাইডিং অফিসার কিংবা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন।’
সোমবার সকালে ভোটকক্ষে প্রবেশের গেটে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম অনুরোধ করেন দলবল নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে। এরপর ভোট কক্ষের সামনে পৌঁছালে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দল বেঁধে প্রবেশ না করতে প্লিজ প্লিজ বলে অনুরোধ করেন। এ সময় মেয়র সাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন তাতে বুঝা যায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায়!’
এ সময় তাঁর সঙ্গে কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না বলেন, ‘এখানে সবাই ভোটার, আপনি চেনেন না।’
নগর আ. লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ইউএনওকে বলেন, ‘উনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র। আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।’ এ সময় ইউএনও পিঠে হাত বুলিয়ে বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।’
একপর্যায়ে মেয়র সাদিক ইউএনওকে বলেন, ‘আমি তো ভেতরে ঢুকিনি। ফাইজলামি করেন আপনারা। আপনে কানে কথা শোনেননি।’ তখন ইউএনও মনিরুজ্জমান মেয়রকে বলেন, ‘আপনাকে কিছু বলিনি স্যার।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করব না।’ তবে বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই।’
এ সময় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে বিনা ভোটে সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মেয়রের সঙ্গে থাকা বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিনা ভোটে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গির বলেন, ‘ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৯টায়। মেয়র অন্যান্য ভোটারদের নিয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভেতরে প্রবেশ করেননি। তখন ইউএনও তাকে প্রবেশ না করার জন্য বারবার বলেন।’ এর বেশি কিছুই হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৮ আগস্ট রাতে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণ নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়ান মেয়র সাদিক ও তাঁর অনুসারীরা। এ সময় তার অনুসারীরা ইউএনওর বাসায় ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় ঘটে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে