শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
মানুষের অর্থ লুটে নেওয়ার অভিযোগে গত ছয় মাসে ১৭ ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বৈধ পথেই বাংলাদেশে ঢোকেন, এরপর বিশেষ কায়দায় ঘোর লাগিয়ে লুট করেন। পুলিশ বলছে, দেশের অন্তত ৩৩ জেলায় ইরানিদের একটি চক্র সক্রিয়। এ চক্রে ৭০-৮০ জন সদস্য রয়েছেন।
ইরানিদের এ ধরনের অপরাধ নিয়ে দুই মাস আগে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার বিষয়টি নিয়ে সেখানে কথা বলেন। সেখানে ইরানিদের চুরির কৌশল ও প্রতিরোধ নিয়েও কথা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি এই চক্র সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তর অবহিত আছে। বিদেশি বলে অপরাধ করে তাদের কেউ পার পাবে না। সারা দেশে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলাসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইরানিরা অর্থ লুটের জন্য স্কোপোলামিন নামের একটি মাদকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাচৌকি ফাঁকি দিয়ে এটি তাঁরা এ দেশে আনছেন। কোনো দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁরা ওই মাদক লোকজনকে শুঁকিয়ে ভুক্তভোগীকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলেন। এরপর সেই নেশার ঘোরে প্রায় ১০ মিনিট ভুক্তভোগীরা দুর্বৃত্তদের নির্দেশমতো কাজ করেন। অচেতন না হলেও তিনি তখন বুঝে উঠছে পারেন না, আসলে কী করছেন। ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা অর্থকড়ি লুট করে চলে যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, স্কোপোলামিন একধরনের গাছের বীজ থেকে তৈরি পাউডার। নিশ্বাসের মাধ্যমে যা শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের প্রাথমিক স্মৃতি ব্লক করে দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক সময়ের জন্য কাউকে চিনতে পারেন না। শরীর ও মনের ওপর দখল হারিয়ে ফেলায় তাঁকে যে কেউ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্র বলছে, দেশে বর্তমানে ১১৫টি দেশের ২০ হাজার ৯৮৮ জন নাগরিক বৈধভাবে কাজের অনুমতি নিয়ে এ দেশে কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ইরানি নাগরিকের সংখ্যা ৫০ জনের কম। তবে অপরাধের উদ্দেশ্যে যেসব ইরানি বাংলাদেশে ঢুকছেন, তাঁরা কাজের অনুমতি নিয়ে আসছেন না, ঢুকছেন ভ্রমণ ভিসায়। এ ছাড়া তাঁদের কেউই সরাসরি ইরান থেকে আসছেন না। মালদ্বীপ, ভারত কিংবা অন্য দেশ থেকে থেকে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন।
রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস শপিং কমপ্লেক্সে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ঢোকেন দুই ব্যক্তি। সে সময় দোকানে একাই বসে ছিলেন মালিকের সহকারী জিসান।
উড়োজাহাজের টিকিটের কথা বলতে বলতে জিসানের নাকের সামনে দিয়ে ডান হাত ঘুরিয়ে নিয়ে যান একজন। এরপর কয়েক মিনিটে কী করেছেন বুঝে উঠতে পারেননি জিসান। তখন তাঁর সামনেই দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যাগে ভরে বেরিয়ে যান সেই দুজন।
মামলার পর তদন্তে নেমে এ ঘটনায় পুলিশ দুই ইরানি নাগরিকের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। তাঁরা হলেন পার্ভিজ মোহাম্মদ ও মেইস্যাম গোরবানি। এরপর গোরবানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পার্ভিজ পালিয়ে যান।
পল্লবী থানায় করা সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক চিন্ময় সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। মালদ্বীপ থেকে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। একই কায়দায় সারা দেশেই তাঁদের অন্য সদস্যরা চুরি করে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
৪ আগস্ট বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের হৃদয় টেলিকম থেকে একই কৌশলে এক লাখ টাকা চুরি করেন আজাদ নুবাহার ও আরসাদ আমন নামের দুই ইরানি নাগরিক। ঘটনার চার দিন পর বগুড়া জেলা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, দুই ইরানি যুবক ভ্রমণের উদ্দেশে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তাঁরা সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ এই কৌশলে চুরি করতে থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, তাঁরা পেশাদার অপরাধী।
গত ৮ এপ্রিল যশোরের অভয়নগর উপজেলার বর্ণী হরিশপুর বাজারের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকান মরিয়ম স্টোরে ঢোকেন দুজন।
তাঁরা দোকানমালিক শরিফুল ইসলামকে একই প্রক্রিয়ায় স্মৃতিভ্রম করেন। একপর্যায়ে তাঁদের কথামতো শরিফুল তাঁদের হাতে তুলে দেন ৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ তিন ইরানি নাগরিক খালেদ মহিবুবী, সালার মাহবুবী ও ফারিবোরয মাসুফিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ইরানিরা বলেছেন, তাঁদের এই চক্র যশোরসহ ৩৩ জেলায় সক্রিয় রয়েছে।
মানুষের অর্থ লুটে নেওয়ার অভিযোগে গত ছয় মাসে ১৭ ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বৈধ পথেই বাংলাদেশে ঢোকেন, এরপর বিশেষ কায়দায় ঘোর লাগিয়ে লুট করেন। পুলিশ বলছে, দেশের অন্তত ৩৩ জেলায় ইরানিদের একটি চক্র সক্রিয়। এ চক্রে ৭০-৮০ জন সদস্য রয়েছেন।
ইরানিদের এ ধরনের অপরাধ নিয়ে দুই মাস আগে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার বিষয়টি নিয়ে সেখানে কথা বলেন। সেখানে ইরানিদের চুরির কৌশল ও প্রতিরোধ নিয়েও কথা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি এই চক্র সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তর অবহিত আছে। বিদেশি বলে অপরাধ করে তাদের কেউ পার পাবে না। সারা দেশে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলাসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইরানিরা অর্থ লুটের জন্য স্কোপোলামিন নামের একটি মাদকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাচৌকি ফাঁকি দিয়ে এটি তাঁরা এ দেশে আনছেন। কোনো দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁরা ওই মাদক লোকজনকে শুঁকিয়ে ভুক্তভোগীকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলেন। এরপর সেই নেশার ঘোরে প্রায় ১০ মিনিট ভুক্তভোগীরা দুর্বৃত্তদের নির্দেশমতো কাজ করেন। অচেতন না হলেও তিনি তখন বুঝে উঠছে পারেন না, আসলে কী করছেন। ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা অর্থকড়ি লুট করে চলে যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, স্কোপোলামিন একধরনের গাছের বীজ থেকে তৈরি পাউডার। নিশ্বাসের মাধ্যমে যা শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের প্রাথমিক স্মৃতি ব্লক করে দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক সময়ের জন্য কাউকে চিনতে পারেন না। শরীর ও মনের ওপর দখল হারিয়ে ফেলায় তাঁকে যে কেউ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্র বলছে, দেশে বর্তমানে ১১৫টি দেশের ২০ হাজার ৯৮৮ জন নাগরিক বৈধভাবে কাজের অনুমতি নিয়ে এ দেশে কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ইরানি নাগরিকের সংখ্যা ৫০ জনের কম। তবে অপরাধের উদ্দেশ্যে যেসব ইরানি বাংলাদেশে ঢুকছেন, তাঁরা কাজের অনুমতি নিয়ে আসছেন না, ঢুকছেন ভ্রমণ ভিসায়। এ ছাড়া তাঁদের কেউই সরাসরি ইরান থেকে আসছেন না। মালদ্বীপ, ভারত কিংবা অন্য দেশ থেকে থেকে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন।
রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস শপিং কমপ্লেক্সে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ঢোকেন দুই ব্যক্তি। সে সময় দোকানে একাই বসে ছিলেন মালিকের সহকারী জিসান।
উড়োজাহাজের টিকিটের কথা বলতে বলতে জিসানের নাকের সামনে দিয়ে ডান হাত ঘুরিয়ে নিয়ে যান একজন। এরপর কয়েক মিনিটে কী করেছেন বুঝে উঠতে পারেননি জিসান। তখন তাঁর সামনেই দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যাগে ভরে বেরিয়ে যান সেই দুজন।
মামলার পর তদন্তে নেমে এ ঘটনায় পুলিশ দুই ইরানি নাগরিকের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। তাঁরা হলেন পার্ভিজ মোহাম্মদ ও মেইস্যাম গোরবানি। এরপর গোরবানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পার্ভিজ পালিয়ে যান।
পল্লবী থানায় করা সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক চিন্ময় সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। মালদ্বীপ থেকে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। একই কায়দায় সারা দেশেই তাঁদের অন্য সদস্যরা চুরি করে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
৪ আগস্ট বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের হৃদয় টেলিকম থেকে একই কৌশলে এক লাখ টাকা চুরি করেন আজাদ নুবাহার ও আরসাদ আমন নামের দুই ইরানি নাগরিক। ঘটনার চার দিন পর বগুড়া জেলা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, দুই ইরানি যুবক ভ্রমণের উদ্দেশে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তাঁরা সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ এই কৌশলে চুরি করতে থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, তাঁরা পেশাদার অপরাধী।
গত ৮ এপ্রিল যশোরের অভয়নগর উপজেলার বর্ণী হরিশপুর বাজারের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকান মরিয়ম স্টোরে ঢোকেন দুজন।
তাঁরা দোকানমালিক শরিফুল ইসলামকে একই প্রক্রিয়ায় স্মৃতিভ্রম করেন। একপর্যায়ে তাঁদের কথামতো শরিফুল তাঁদের হাতে তুলে দেন ৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ তিন ইরানি নাগরিক খালেদ মহিবুবী, সালার মাহবুবী ও ফারিবোরয মাসুফিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ইরানিরা বলেছেন, তাঁদের এই চক্র যশোরসহ ৩৩ জেলায় সক্রিয় রয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে