শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা ও আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রায় সোয়া ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। তাঁরা হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩১৮টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩০৪ পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন। সভায় দায়িত্বে অমনোযোগী পুলিশ সদস্য ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের ওপর নজর রাখতে ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া খুবই দুঃখজনক। তিনি ইউনিটপ্রধানদের রোল কলের সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যক্তি পুলিশের দায় কখনো বাহিনীর ওপর পড়ার কথা নয়। তবে বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে কখনোই ছাড় দেওয়া হয় না।
শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে টাকা লুটের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত সূত্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার এমন অপরাধে জড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে ডেমরা থানায় সংযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফ নয়াপল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে টেনে বাইরে নিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেন। গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে বাকি টাকা উদ্ধার করা হয়। অক্টোবরে শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে ৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ মামলার অন্য তিন আসামির একজন কনস্টেবল আবু সায়েম (রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত)। তাঁরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফৌজদারি অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়।
বিভাগীয় মামলার শাস্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত বা দূরে বদলি। কারও কারও মতে, ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দেওয়ায় বড় অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। তিনি বলেন, ‘২ লাখ ১০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই, তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতার মানুষ থাকতে পারে। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা ও আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রায় সোয়া ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। তাঁরা হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩১৮টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩০৪ পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন। সভায় দায়িত্বে অমনোযোগী পুলিশ সদস্য ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের ওপর নজর রাখতে ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া খুবই দুঃখজনক। তিনি ইউনিটপ্রধানদের রোল কলের সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যক্তি পুলিশের দায় কখনো বাহিনীর ওপর পড়ার কথা নয়। তবে বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে কখনোই ছাড় দেওয়া হয় না।
শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে টাকা লুটের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত সূত্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার এমন অপরাধে জড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে ডেমরা থানায় সংযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফ নয়াপল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে টেনে বাইরে নিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেন। গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে বাকি টাকা উদ্ধার করা হয়। অক্টোবরে শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে ৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ মামলার অন্য তিন আসামির একজন কনস্টেবল আবু সায়েম (রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত)। তাঁরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফৌজদারি অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়।
বিভাগীয় মামলার শাস্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত বা দূরে বদলি। কারও কারও মতে, ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দেওয়ায় বড় অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। তিনি বলেন, ‘২ লাখ ১০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই, তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতার মানুষ থাকতে পারে। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে