সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নিখোঁজের চার দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকার বাসিন্দা রোহান চৌধুরীর (১৯)। লাশটি অর্ধগলিত থাকলেও গায়ে পরিহিত জ্যাকেট দেখে শনাক্ত করা হয় তাঁর পরিচয়। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে কাজ শুরু করেন হোসিয়ারি কারখানায়। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে রোহানের চাচাতো ভাইয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় ডেকে নিয়ে যান তাঁর বন্ধুরা। পরে ২৬ জানুয়ারি সকালে কুমুদিনী বাগানসংলগ্ন এলাকায় নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর লাশ।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ২৩টি। এর ভেতর নৌ দুর্ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড উভয়ই রয়েছে। কেবল সদর নৌ থানা-পুলিশই উদ্ধার করেছে ২১টি লাশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর শীতলক্ষ্যায় লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার তালিকায় রোহান একা নন, এই শহরে ত্বকী, আশিকের মতো অনেক মেধাবী তরুণের লাশও মিলেছিল শীতলক্ষ্যায়। নতুন করে বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার আলোচনায় এনেছে শীতলক্ষ্যা নদীকে। অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, শীতলক্ষ্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত নারায়ণগঞ্জ। এখানে কোনো অপরাধ সঙ্ঘটিত হলে অপরাধীরা সহজে নিস্তার পাবে, এমন ধারণা তৈরি করে রেখেছে। সেই কারণেই অপরাধীরা দূর-দূরান্তে অপরাধ করে লাশ ফেলে এই নারায়ণগঞ্জ বা শীতলক্ষ্যায়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং জেলা পুলিশ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন মিলিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এমন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ছয়টি। আর দুর্ঘটনার কবলে পরে শীতলক্ষ্যায় মৃত্যু ঘটেছে অন্তত ১৭ জনের। পাশাপাশি শীতলক্ষ্যায় ফেলে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে এমন ভুক্তভোগীও রয়েছেন দুজন।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী বাগানের পাশে উদ্ধার করা হয় রোহান চৌধুরীর লাশ। একই দিন অজ্ঞাতনামা আরেক নারীর (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা থেকে।
উভয়ের শরীরেই ছিল আঘাতের চিহ্ন। ৭ মার্চ শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করা হয় রাহিমা নামের এক কিশোরীর মরদেহ। দুই দিন আগেই শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে ট্রলারের সংঘর্ষ ঘটলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন সে।
২২ মার্চ জাহাজের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১০ যাত্রীর মরদেহ ও এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন জয়নাল ভূঁইয়া, সাফায়াত হোসেন, সাফায়াতের মা আরিফা বেগম, স্মৃতি, আরোহী, সালমা, ফাতেমা, উম্মে খাইরুন ফাতেমা, আব্দুল্লাহ আল জাবের ও হাতেম আলী। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলেন জিয়াউর রহমান রিমন।
২ জুলাই শীতলক্ষ্যার বন্দর মাহমুদনগর এলাকা থেকে সেলিম (৪৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৪ জুলাই শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ গার্মেন্টস কর্মী মিরাজের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিন রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় শিশু আল আমিনের (৭)। গত ১৬ সেপ্টেম্বর কয়লাঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আহম্মদ উল্লাহ মৃদুল (২৫) নামের এক যুবকের লাশ। ১৪ অক্টোবর বন্দরের কদমরসূল মেলা থেকে ফেরার সময় নৌকা ডুবে মৃত্যু হয় তিন বন্ধুর। শহরের ডনচেম্বার এলাকায় বসবাস করা সেই তরুণেরা হলেন শাওন, জীম ও রিফাত। ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ।
এ ছাড়া ১৪ অক্টোবর বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম (২০) নামের এক হোসিয়ারি শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ১৬ অক্টোবর রূপগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে কাজল রেখা নামের এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে প্রত্যক্ষদর্শী এক মাঝি দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এক শীতলক্ষ্যায় এত লাশ উদ্ধারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই জেলার বাইরে থেকে অপরাধ করে এখানে লাশ ফেলে পালায় অপরাধীরা। কারণ, অপরাধীরা জানে নারায়ণগঞ্জে অপরাধ করে সহজে পার পাওয়া যায়। সেই কারণেই অপরাধীরা অপরাধ করার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জকে বেছে নেয়।
একই প্রসঙ্গে সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই শীতলক্ষ্যায় ত্বকী, আশিকের মতো মেধাবী ছেলেদের লাশ পাওয়া গেছে। সাত খুনের সব লাশও মিলেছে এখানেই। অপরাধীরা অপরাধ সঙ্ঘটিত করে শীতলক্ষ্যাকে লাশের ভাগাড় হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হলে একের পর এক লাশ শীতলক্ষ্যায় দেখতে হতো না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) আমীর খসরু বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ যেহেতু শিল্পনগরী, সেহেতু শীতলক্ষ্যায় নৌযানের চাপ অনেক বেশি। নৌ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এটি। আর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র থাকতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণও থাকতে পারে। সেসব ঘটনা নিরসন ও রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনফিট লঞ্চ দুর্ঘটনায় পতিত হলে আমাদের কী করার আছে? বিআইডব্লিউটিএ যদি জেনে-বুঝে এদের চলাচলের অনুমতি দেয়, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও বিআইডব্লিউটিএর। আমরা কেবল নৌযানগুলোকে অপরাধীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে তাদের চলাচল নিশ্চিত করি।’
নিখোঁজের চার দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকার বাসিন্দা রোহান চৌধুরীর (১৯)। লাশটি অর্ধগলিত থাকলেও গায়ে পরিহিত জ্যাকেট দেখে শনাক্ত করা হয় তাঁর পরিচয়। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে কাজ শুরু করেন হোসিয়ারি কারখানায়। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে রোহানের চাচাতো ভাইয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় ডেকে নিয়ে যান তাঁর বন্ধুরা। পরে ২৬ জানুয়ারি সকালে কুমুদিনী বাগানসংলগ্ন এলাকায় নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর লাশ।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ২৩টি। এর ভেতর নৌ দুর্ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড উভয়ই রয়েছে। কেবল সদর নৌ থানা-পুলিশই উদ্ধার করেছে ২১টি লাশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর শীতলক্ষ্যায় লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার তালিকায় রোহান একা নন, এই শহরে ত্বকী, আশিকের মতো অনেক মেধাবী তরুণের লাশও মিলেছিল শীতলক্ষ্যায়। নতুন করে বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার আলোচনায় এনেছে শীতলক্ষ্যা নদীকে। অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, শীতলক্ষ্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত নারায়ণগঞ্জ। এখানে কোনো অপরাধ সঙ্ঘটিত হলে অপরাধীরা সহজে নিস্তার পাবে, এমন ধারণা তৈরি করে রেখেছে। সেই কারণেই অপরাধীরা দূর-দূরান্তে অপরাধ করে লাশ ফেলে এই নারায়ণগঞ্জ বা শীতলক্ষ্যায়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং জেলা পুলিশ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন মিলিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এমন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ছয়টি। আর দুর্ঘটনার কবলে পরে শীতলক্ষ্যায় মৃত্যু ঘটেছে অন্তত ১৭ জনের। পাশাপাশি শীতলক্ষ্যায় ফেলে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে এমন ভুক্তভোগীও রয়েছেন দুজন।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী বাগানের পাশে উদ্ধার করা হয় রোহান চৌধুরীর লাশ। একই দিন অজ্ঞাতনামা আরেক নারীর (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা থেকে।
উভয়ের শরীরেই ছিল আঘাতের চিহ্ন। ৭ মার্চ শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করা হয় রাহিমা নামের এক কিশোরীর মরদেহ। দুই দিন আগেই শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে ট্রলারের সংঘর্ষ ঘটলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন সে।
২২ মার্চ জাহাজের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১০ যাত্রীর মরদেহ ও এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন জয়নাল ভূঁইয়া, সাফায়াত হোসেন, সাফায়াতের মা আরিফা বেগম, স্মৃতি, আরোহী, সালমা, ফাতেমা, উম্মে খাইরুন ফাতেমা, আব্দুল্লাহ আল জাবের ও হাতেম আলী। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলেন জিয়াউর রহমান রিমন।
২ জুলাই শীতলক্ষ্যার বন্দর মাহমুদনগর এলাকা থেকে সেলিম (৪৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৪ জুলাই শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ গার্মেন্টস কর্মী মিরাজের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিন রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় শিশু আল আমিনের (৭)। গত ১৬ সেপ্টেম্বর কয়লাঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আহম্মদ উল্লাহ মৃদুল (২৫) নামের এক যুবকের লাশ। ১৪ অক্টোবর বন্দরের কদমরসূল মেলা থেকে ফেরার সময় নৌকা ডুবে মৃত্যু হয় তিন বন্ধুর। শহরের ডনচেম্বার এলাকায় বসবাস করা সেই তরুণেরা হলেন শাওন, জীম ও রিফাত। ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ।
এ ছাড়া ১৪ অক্টোবর বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম (২০) নামের এক হোসিয়ারি শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ১৬ অক্টোবর রূপগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে কাজল রেখা নামের এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে প্রত্যক্ষদর্শী এক মাঝি দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এক শীতলক্ষ্যায় এত লাশ উদ্ধারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই জেলার বাইরে থেকে অপরাধ করে এখানে লাশ ফেলে পালায় অপরাধীরা। কারণ, অপরাধীরা জানে নারায়ণগঞ্জে অপরাধ করে সহজে পার পাওয়া যায়। সেই কারণেই অপরাধীরা অপরাধ করার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জকে বেছে নেয়।
একই প্রসঙ্গে সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই শীতলক্ষ্যায় ত্বকী, আশিকের মতো মেধাবী ছেলেদের লাশ পাওয়া গেছে। সাত খুনের সব লাশও মিলেছে এখানেই। অপরাধীরা অপরাধ সঙ্ঘটিত করে শীতলক্ষ্যাকে লাশের ভাগাড় হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হলে একের পর এক লাশ শীতলক্ষ্যায় দেখতে হতো না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) আমীর খসরু বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ যেহেতু শিল্পনগরী, সেহেতু শীতলক্ষ্যায় নৌযানের চাপ অনেক বেশি। নৌ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এটি। আর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র থাকতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণও থাকতে পারে। সেসব ঘটনা নিরসন ও রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনফিট লঞ্চ দুর্ঘটনায় পতিত হলে আমাদের কী করার আছে? বিআইডব্লিউটিএ যদি জেনে-বুঝে এদের চলাচলের অনুমতি দেয়, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও বিআইডব্লিউটিএর। আমরা কেবল নৌযানগুলোকে অপরাধীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে তাদের চলাচল নিশ্চিত করি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে