সামিউল মনির, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের নুর হোসেন মোড়লের ছোট ছেলে ফজলুর রহমান থাকেন ইতালি। বড় ছেলে নুরুজ্জামানের স্থানীয় বাজারে রয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তাঁদের নাম উঠেছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সংশোধিত তালিকায়। একই তালিকায় জায়গা হয়েছে তাঁদের প্রতিবেশী পাকা ভবন আর জায়গা-জমির মালিক সচ্ছল আবদুর রহিমের।
অথচ একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত জাহানারা বেগম ও নদীর পারে বসবাসকারী ভূমিহীন ইউসুফ আলীর নাম বাদ পড়েছে সদ্য সংশোধিত তালিকা থেকে। আবার দিনমজুর আবুল কালামের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সদ্য নিবন্ধিত তালিকায়।
জানা গেছে, মূলত স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরাগভাজন হওয়ায় ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে গেছে জাহানারা ও ইউসুফসহ অন্যদের। বিপরীতে কর্তাব্যক্তিদের সুনজরে থাকায় বিত্তশালী হয়েও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম উঠেছে নুর হোসেনদের। শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই কমবেশি এমন অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে নুর হোসেন বলেন, ‘ছেলেদের পাকা বাড়ি, জমিজমা রয়েছে সত্যি। তবে আমার নিজের কিছু নেই। সে কারণে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটা কার্ডের জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে।’ দিনমজুর আবুল কালাম বলেন, ‘দিনমজুরি খেটে কোনো রকমে সংসার চালাতে হয়। তারপরও নির্বাচনে ইউপি সদস্যের পক্ষে কাজ না করায় তালিকায় আমার নাম রাখেনি।’
একইভাবে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কণিকা মণ্ডল, নিত্যানন্দ, গুণধর, প্রদীপসহ অসংখ্য সচ্ছল ব্যক্তির জায়গা হয়েছে তালিকায়। যদিও কাঁচড়াহাটি গ্রামের তরুলতা, রাধাকান্তসহ রবীন্দ্র মণ্ডলের মতো অনেক দিনমজুরের নাম নেই ভাগ্যবানদের তালিকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত নির্বাচনে সমর্থন না করাসহ চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের নাম তালিকায় রাখা হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাঁদের নিযুক্ত এজেন্ট নিজেদের খেয়ালখুশিমতো তালিকা তৈরি করায় প্রকৃত দুস্থ ও অসহায়রা বঞ্চিত হয়েছেন।
ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লুৎফর রহমান ও শহীদ মল্লিক জানান, তাঁরা নিঃস্ব-অসহায় হওয়া সত্ত্বেও নতুন তালিকায় জায়গা হয়নি। ইউপি সদস্যের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের কপাল পুড়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিত্তশালী অশোক মণ্ডলসহ কয়েকজনের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন দিনমজুর মোশারফ হোসেন ও আবদুর রশিদসহ স্থানীয়রা।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নতুন তালিকা নিয়ে তুঘলকি কারবার শুধু ঈশ্বরীপুর আর ভুরুলিয়া ইউনিয়নে সীমাবদ্ধ নয়। গাবুরা, কাশিমাড়ী, মুন্সিগঞ্জসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় সবগুলোতে তালিকা প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় সচ্ছল ব্যক্তিদের জায়গা দেওয়ার বিপরীতে দুস্থ-অসহায়দের উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে উপজেলার কাশিমাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গাবুরাতে মানববন্ধন করেছেন। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার অনেক দুস্থ আর অসহায় ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরীপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এম সফিউল্লাহ জানান, কার্ড কম থাকায় সবাইকে তালিকাভুক্ত করা যায়নি। ব্যবসায়ী ও পাকা ভবনের মালিকদের তালিকাভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে কাউকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। কয়েকটি ওয়ার্ডে আগের সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় না থাকার ঘটনায় নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি।’
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দুস্থ বা অসহায় মানুষকে বাদ দিয়ে বিত্তবানদের সুবিধাভোগীর তালিকাভুক্তির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের নুর হোসেন মোড়লের ছোট ছেলে ফজলুর রহমান থাকেন ইতালি। বড় ছেলে নুরুজ্জামানের স্থানীয় বাজারে রয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তাঁদের নাম উঠেছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সংশোধিত তালিকায়। একই তালিকায় জায়গা হয়েছে তাঁদের প্রতিবেশী পাকা ভবন আর জায়গা-জমির মালিক সচ্ছল আবদুর রহিমের।
অথচ একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত জাহানারা বেগম ও নদীর পারে বসবাসকারী ভূমিহীন ইউসুফ আলীর নাম বাদ পড়েছে সদ্য সংশোধিত তালিকা থেকে। আবার দিনমজুর আবুল কালামের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সদ্য নিবন্ধিত তালিকায়।
জানা গেছে, মূলত স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরাগভাজন হওয়ায় ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে গেছে জাহানারা ও ইউসুফসহ অন্যদের। বিপরীতে কর্তাব্যক্তিদের সুনজরে থাকায় বিত্তশালী হয়েও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম উঠেছে নুর হোসেনদের। শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই কমবেশি এমন অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে নুর হোসেন বলেন, ‘ছেলেদের পাকা বাড়ি, জমিজমা রয়েছে সত্যি। তবে আমার নিজের কিছু নেই। সে কারণে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটা কার্ডের জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে।’ দিনমজুর আবুল কালাম বলেন, ‘দিনমজুরি খেটে কোনো রকমে সংসার চালাতে হয়। তারপরও নির্বাচনে ইউপি সদস্যের পক্ষে কাজ না করায় তালিকায় আমার নাম রাখেনি।’
একইভাবে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কণিকা মণ্ডল, নিত্যানন্দ, গুণধর, প্রদীপসহ অসংখ্য সচ্ছল ব্যক্তির জায়গা হয়েছে তালিকায়। যদিও কাঁচড়াহাটি গ্রামের তরুলতা, রাধাকান্তসহ রবীন্দ্র মণ্ডলের মতো অনেক দিনমজুরের নাম নেই ভাগ্যবানদের তালিকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত নির্বাচনে সমর্থন না করাসহ চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের নাম তালিকায় রাখা হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাঁদের নিযুক্ত এজেন্ট নিজেদের খেয়ালখুশিমতো তালিকা তৈরি করায় প্রকৃত দুস্থ ও অসহায়রা বঞ্চিত হয়েছেন।
ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লুৎফর রহমান ও শহীদ মল্লিক জানান, তাঁরা নিঃস্ব-অসহায় হওয়া সত্ত্বেও নতুন তালিকায় জায়গা হয়নি। ইউপি সদস্যের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের কপাল পুড়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিত্তশালী অশোক মণ্ডলসহ কয়েকজনের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন দিনমজুর মোশারফ হোসেন ও আবদুর রশিদসহ স্থানীয়রা।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নতুন তালিকা নিয়ে তুঘলকি কারবার শুধু ঈশ্বরীপুর আর ভুরুলিয়া ইউনিয়নে সীমাবদ্ধ নয়। গাবুরা, কাশিমাড়ী, মুন্সিগঞ্জসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় সবগুলোতে তালিকা প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় সচ্ছল ব্যক্তিদের জায়গা দেওয়ার বিপরীতে দুস্থ-অসহায়দের উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে উপজেলার কাশিমাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গাবুরাতে মানববন্ধন করেছেন। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার অনেক দুস্থ আর অসহায় ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরীপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এম সফিউল্লাহ জানান, কার্ড কম থাকায় সবাইকে তালিকাভুক্ত করা যায়নি। ব্যবসায়ী ও পাকা ভবনের মালিকদের তালিকাভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে কাউকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। কয়েকটি ওয়ার্ডে আগের সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় না থাকার ঘটনায় নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি।’
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দুস্থ বা অসহায় মানুষকে বাদ দিয়ে বিত্তবানদের সুবিধাভোগীর তালিকাভুক্তির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১১ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৫ দিন আগে