বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির রমরমা বাণিজ্য চলছে। নানাভাবে পাহাড়, বনাঞ্চল, ফসলি মাঠের জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। আইনি বাধা এড়াতে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরিমানা করা হলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও পাহাড় কাটা শুরু করে দেয় পাহাড়খেকোরা। এতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মূলত বছরের শেষ দিকে উপজেলার ইটের ভাটাগুলোতে মাটি সরবরাহের জন্য পাহাড় কাটার উৎসব শুরু হয়। তবে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অজুহাত দেখিয়ে বছরজুড়েই পাহাড় কাটছে একটি চক্র। কমিশনের বিনিময়ে তাঁদের সমর্থন দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েক নেতা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোদাল দিয়ে মাটি কাটা ও টুকরি দিয়ে বহনের শর্তে সোনাইআগা এবং তৈছালা ছড়া এলাকা মাটি এবং বালু উত্তোলনের জন্য প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার অন্তত ৩০টি পয়েন্টে এক্সকাভেটর ব্যবহার করে নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। রাস্তা তৈরি ও মেরামতসহ নানা অজুহাতে পাহাড়-টিলা কাটা হচ্ছে।
বৈদ্যটিলা এলাকায় মাটি কাটায় জড়িত এক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানান, এক ড্রাম ট্রাক পাহাড়ের মাটি বিক্রি করা হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ফসলি জমির মাটি বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। ইটের ভাটায় সরবরাহ করা এক ড্রাম ট্রাক মাটি বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। এর মধ্যে তাঁরা পান ১ হাজার ৪০০ টাকা; বাকি ৪৫০ টাকা যায় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারীদের পকেটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাতাছড়া, বলিপাড়া, চিনছড়িপাড়া, বৈদ্যটিলা, কালাডেবা, সোনাইআগা, খাগড়াবিল, শ্মশান টিলা, নজির টিলা, ভতপাড়াসহ ১০ থেকে ১৫টি পয়েন্টে নির্বিচারে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে এক্সকাভেটর (ভেকো), কোদাল ও শাবল দিয়ে লাল মাটির পাহাড় ও ফসলি জমির ওপরের উর্বর মাটি কাটা হচ্ছে। এ জন্য পাহাড়ের ওপরের অংশ ন্যাড়া করে উজাড় করা হয়েছে গাছপালা।
কোথাও খাড়াভাবে, কোথাও আড়াআড়িভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু স্থানে উঁচু চূড়া থেকে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এসব মাটি ইটভাটা, পুকুর ভরাট, রাস্তা সংস্কারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এ জন্য মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নিয়মিত কমিশন নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘রামগড়-ফেনী মহাসড়কসহ উপজেলার প্রতিটি অলিগলির রাস্তাগুলো যেন এক রকম মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ইটভাটায় কাঠ ও মাটি সরবার করার ডাম্পার, মিনিট্রাক চলাচল করায় সড়ক নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি নেই, এ জন্য অবাধে পাহাড় কেটে পার পেয়ে যাচ্ছেন তারা।’
দলের নাম ভাঙিয়ে পাহাড় কাটার অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। যারা এ বেআইনি কাজে নিয়োজিত আছে, তারা নিজ দায়িত্বে এসব করছে। দল কাউকে এসবে সমর্থন বা সহযোগিতা দেয় না এবং দেবে না।’
রামগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র রফিকুল আলম কামাল জানান, ‘রামগড়ে নির্বিচারে পাহাড় ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এক প্রকার উৎসবে পরিণত হয়েছে মাটি বিক্রি। এসব বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম জানান, ‘পাহাড় কাটা গুরুতর অপরাধ। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক এবং ইউএনওকে জানানো হবে।’
এদিকে দালাল দিয়ে লোভ দেখানোসহ নানাভাবে কৃষককে জমি ও টিলার মাটি বিক্রিতে উৎসাহিত করছেন ব্যবসায়ীরা। এদের প্ররোচনায় নজির টিলার বাসিন্দা জসিম উদ্দীন নিজের ভিটের মাটি বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে পাহাড় কাটার অপরাধে তাঁকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন, ‘যখনই পাহাড় কাটার খবর পাই, তখনই অভিযানে যাই। ইতিমধ্যে দুই ব্যক্তিকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির রামগড়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির রমরমা বাণিজ্য চলছে। নানাভাবে পাহাড়, বনাঞ্চল, ফসলি মাঠের জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। আইনি বাধা এড়াতে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরিমানা করা হলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও পাহাড় কাটা শুরু করে দেয় পাহাড়খেকোরা। এতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মূলত বছরের শেষ দিকে উপজেলার ইটের ভাটাগুলোতে মাটি সরবরাহের জন্য পাহাড় কাটার উৎসব শুরু হয়। তবে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অজুহাত দেখিয়ে বছরজুড়েই পাহাড় কাটছে একটি চক্র। কমিশনের বিনিময়ে তাঁদের সমর্থন দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েক নেতা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোদাল দিয়ে মাটি কাটা ও টুকরি দিয়ে বহনের শর্তে সোনাইআগা এবং তৈছালা ছড়া এলাকা মাটি এবং বালু উত্তোলনের জন্য প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার অন্তত ৩০টি পয়েন্টে এক্সকাভেটর ব্যবহার করে নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। রাস্তা তৈরি ও মেরামতসহ নানা অজুহাতে পাহাড়-টিলা কাটা হচ্ছে।
বৈদ্যটিলা এলাকায় মাটি কাটায় জড়িত এক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানান, এক ড্রাম ট্রাক পাহাড়ের মাটি বিক্রি করা হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ফসলি জমির মাটি বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। ইটের ভাটায় সরবরাহ করা এক ড্রাম ট্রাক মাটি বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। এর মধ্যে তাঁরা পান ১ হাজার ৪০০ টাকা; বাকি ৪৫০ টাকা যায় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারীদের পকেটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাতাছড়া, বলিপাড়া, চিনছড়িপাড়া, বৈদ্যটিলা, কালাডেবা, সোনাইআগা, খাগড়াবিল, শ্মশান টিলা, নজির টিলা, ভতপাড়াসহ ১০ থেকে ১৫টি পয়েন্টে নির্বিচারে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে এক্সকাভেটর (ভেকো), কোদাল ও শাবল দিয়ে লাল মাটির পাহাড় ও ফসলি জমির ওপরের উর্বর মাটি কাটা হচ্ছে। এ জন্য পাহাড়ের ওপরের অংশ ন্যাড়া করে উজাড় করা হয়েছে গাছপালা।
কোথাও খাড়াভাবে, কোথাও আড়াআড়িভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু স্থানে উঁচু চূড়া থেকে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এসব মাটি ইটভাটা, পুকুর ভরাট, রাস্তা সংস্কারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এ জন্য মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নিয়মিত কমিশন নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘রামগড়-ফেনী মহাসড়কসহ উপজেলার প্রতিটি অলিগলির রাস্তাগুলো যেন এক রকম মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ইটভাটায় কাঠ ও মাটি সরবার করার ডাম্পার, মিনিট্রাক চলাচল করায় সড়ক নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি নেই, এ জন্য অবাধে পাহাড় কেটে পার পেয়ে যাচ্ছেন তারা।’
দলের নাম ভাঙিয়ে পাহাড় কাটার অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। যারা এ বেআইনি কাজে নিয়োজিত আছে, তারা নিজ দায়িত্বে এসব করছে। দল কাউকে এসবে সমর্থন বা সহযোগিতা দেয় না এবং দেবে না।’
রামগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র রফিকুল আলম কামাল জানান, ‘রামগড়ে নির্বিচারে পাহাড় ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এক প্রকার উৎসবে পরিণত হয়েছে মাটি বিক্রি। এসব বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম জানান, ‘পাহাড় কাটা গুরুতর অপরাধ। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক এবং ইউএনওকে জানানো হবে।’
এদিকে দালাল দিয়ে লোভ দেখানোসহ নানাভাবে কৃষককে জমি ও টিলার মাটি বিক্রিতে উৎসাহিত করছেন ব্যবসায়ীরা। এদের প্ররোচনায় নজির টিলার বাসিন্দা জসিম উদ্দীন নিজের ভিটের মাটি বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে পাহাড় কাটার অপরাধে তাঁকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন, ‘যখনই পাহাড় কাটার খবর পাই, তখনই অভিযানে যাই। ইতিমধ্যে দুই ব্যক্তিকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে