নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রটোকল অফিসার (পিএস) আকিজ উদ্দিনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী–সন্তানের নামে থাকা হিসাব ও তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, হিসাব জব্দ করাদের ব্যক্তিগত হিসাবে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না তাঁরা। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার সময় বাড়ানো হবে।
চিঠিতে আকিজ উদ্দিনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠাতে বলা হয়।
এর আগে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন–সংশ্লিষ্ট চার প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ৯৯ কোটি টাকার হদিস পায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আকিজ উদ্দিন এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রটোকল অফিসার (পিএস) হন। ১৪ বছরের ব্যবধানে অস্বাভাবিক পদোন্নতি পেয়ে বনে যান ইসলামী ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৬ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮৮৯ কোটি টাকার ‘বেনামি ঋণের’ মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ডিএমডি আকিজ উদ্দিন। তবে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের তৎপরতায় টাকা উত্তোলন আটকে যায়। আকিজ উদ্দিনের মালিকানাধীন ‘গোল্ডেন স্টার’ ও ‘টপ টেন ট্রেডিং হাউজ’—এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের নামে টাকাগুলো উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই আকিজ উদ্দিন নামে–বেনামে কোম্পানি খুলে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। তিনি আমদানি–রপ্তানির বাণিজ্যের মাধ্যমে এস আলমের কোটি কোটি টাকা পাচারে সহযোগিতা করেছেন। বেনামি ঋণ সৃষ্টি করে ওই অর্থ দিয়েই ইসলামী ব্যাংকের বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এস আলমের বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কিনতেও সহযোগিতা করেছেন। আর এভাবেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট এস আলমের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা। গত ৭ এবং ৮ আগস্ট ব্যাংকারদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের পর পদায়ন পাওয়া এক্সিকিউটিভসহ (নির্বাহী কর্মকর্তারা) যারা অবৈধ ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ বাতিলের দাবি করেন তাঁরা।
গত ১১ আগস্ট রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এমন পরিস্থিতিতে ডিএমডি মো. আকিজ উদ্দিনকে বরখাস্ত করে ইসলামী ব্যাংক।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রটোকল অফিসার (পিএস) আকিজ উদ্দিনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী–সন্তানের নামে থাকা হিসাব ও তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, হিসাব জব্দ করাদের ব্যক্তিগত হিসাবে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না তাঁরা। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার সময় বাড়ানো হবে।
চিঠিতে আকিজ উদ্দিনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠাতে বলা হয়।
এর আগে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন–সংশ্লিষ্ট চার প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ৯৯ কোটি টাকার হদিস পায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আকিজ উদ্দিন এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রটোকল অফিসার (পিএস) হন। ১৪ বছরের ব্যবধানে অস্বাভাবিক পদোন্নতি পেয়ে বনে যান ইসলামী ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৬ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮৮৯ কোটি টাকার ‘বেনামি ঋণের’ মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ডিএমডি আকিজ উদ্দিন। তবে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের তৎপরতায় টাকা উত্তোলন আটকে যায়। আকিজ উদ্দিনের মালিকানাধীন ‘গোল্ডেন স্টার’ ও ‘টপ টেন ট্রেডিং হাউজ’—এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের নামে টাকাগুলো উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই আকিজ উদ্দিন নামে–বেনামে কোম্পানি খুলে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। তিনি আমদানি–রপ্তানির বাণিজ্যের মাধ্যমে এস আলমের কোটি কোটি টাকা পাচারে সহযোগিতা করেছেন। বেনামি ঋণ সৃষ্টি করে ওই অর্থ দিয়েই ইসলামী ব্যাংকের বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এস আলমের বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কিনতেও সহযোগিতা করেছেন। আর এভাবেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট এস আলমের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা। গত ৭ এবং ৮ আগস্ট ব্যাংকারদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের পর পদায়ন পাওয়া এক্সিকিউটিভসহ (নির্বাহী কর্মকর্তারা) যারা অবৈধ ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ বাতিলের দাবি করেন তাঁরা।
গত ১১ আগস্ট রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এমন পরিস্থিতিতে ডিএমডি মো. আকিজ উদ্দিনকে বরখাস্ত করে ইসলামী ব্যাংক।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে