জীবনধারা ডেস্ক
দিন দিন নারীদের সক্রিয়তা আরও বাড়ছে উৎপাদন, প্রযুক্তি, শিক্ষাসহ প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশায়। দেশে ফায়ার সার্ভিসে প্রথম ব্যাচের নারী অগ্নিযোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এরপরও ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নারীরা। বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে তারা। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারী নির্যাতন। ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩’ শিরোনামে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) প্রকাশিত একটি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ৬২৩ জন নারী ও ৭৬৮ জন শিশু ও কিশোরী যৌন নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মহিলা পরিষদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৬ নারী ও কন্যাশিশু।
মহিলা পরিষদের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার ২৪০ নারী ও কন্যাশিশু। ফেব্রুয়ারিতে ২৩২ জন, মার্চে ২৪৯, এপ্রিলে ২৩৩, মে মাসে ৩০১, জুন মাসে ৩২৯, জুলাইয়ে ২৯৮ ও আগস্টে ২৭৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। সেপ্টেম্বর মাসে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৯ জনে। অক্টোবর মাসে ২১১ এবং নভেম্বর মাসে ১৯১ জন শিশু, কিশোরী ও নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, হত্যা, পারিবারিক সহিংসতা ও সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, গত ১১ মাসে নির্যাতনের ধরনে সবচেয়ে বেশি হয়েছে হত্যা। এর পরেই আছে ধর্ষণ। এমএসএফ এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ২৩১ টি। এর মধ্যে দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৭ জন নারী, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১৬ জন, ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ১১০ জন এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪৯ জন নারী। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন নারী। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭২ জন। অন্যদিকে ৪২ জন প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছে। আত্মহত্যা করেছেন ৫১২ জন নারী। অপহরণ করা হয়েছে ১৫ জনকে, নিখোঁজ রয়েছেন ২২ জন। গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত জটিলতা ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৫২টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৮৩ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।
দেশে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী নির্যাতন আইন সংশোধন করা হয়েছে। নারী সংক্রান্ত একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সনদ হলো সিডও। এই সনদের মূল বিষয়, নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ বা দূরীকরণ। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এই সনদে স্বাক্ষর করলেও দেশে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তারা পিতার সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন ক্ষেত্রবিশেষে। সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ‘অভিন্ন পারিবারিক আইন’ প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশের নারী অধিকার কর্মীরা। সিডও কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বৈবাহিক ধর্ষণের সংজ্ঞা এখনো আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন নারী অধিকার কর্মীরা। প্রতিবন্ধী নারী ও কন্যাশিশুরা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হলেও আইন অনুযায়ী বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নির্দেশনা নেই। বেশ কয়েকটি খসড়া প্রণয়নের পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সর্বস্তরে যৌন হয়রানি রোধে তেমন কোনো আইন প্রণয়ন লক্ষ্য করা যায় না। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে নির্দেশনা দিলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন নারী অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশে ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলির সহজলভ্যতা, ব্যবহারকারীদের অজ্ঞতা ও প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে আইনি পদক্ষেপের ফাঁক থাকায় নারীরা বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ইউনিটে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়ে ৩৪ হাজার ৬০৫ টি। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৯২। লিঙ্গভিত্তিক তুলনামূলক পরিসংখ্যানে সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের মধ্যে নারীর হার ৫৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ভুক্তভোগী নারীদের এই উচ্চ হার তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি করছে ব্যাপক মাত্রায়। অনলাইনে সহিংসতার শিকার নারীদের নিরাপত্তায় আইন থাকলেও, সাধারণ ক্রিমিনাল কোর্টে এসব অভিযোগের বিচার হওয়ায় নারীরা অভিযোগ এনেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পান না। আইনের ফাঁকে অনলাইনে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা। জরিপে পাওয়া তথ্য মতে, ভুক্তভোগীদের মধ্যে অভিযোগকারীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। জরিপে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার ৭টি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণগুলোর মধ্যে ২৪ শতাংশ ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাঁরা জানেন না কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হয়। এ ছাড়া, ২০ শতাংশ ভুক্তভোগী বিষয়টি গোপন রাখতে চান এবং আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উল্টো হয়রানির মধ্যে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ১৮ শতাংশ ভুক্তভোগী।
এমএসএফ এর পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সারা দেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও আদিবাসী নারীদের প্রতি সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতার ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও ভাঙচুর করা, বিভিন্ন কারণে উচ্ছেদ ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্বত্য আদিবাসী নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ২৪টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫টি ধর্ষণ,৪টি গণধর্ষণ ও ৫টি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা আছে।
দিন দিন নারীদের সক্রিয়তা আরও বাড়ছে উৎপাদন, প্রযুক্তি, শিক্ষাসহ প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশায়। দেশে ফায়ার সার্ভিসে প্রথম ব্যাচের নারী অগ্নিযোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এরপরও ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নারীরা। বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে তারা। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারী নির্যাতন। ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩’ শিরোনামে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) প্রকাশিত একটি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ৬২৩ জন নারী ও ৭৬৮ জন শিশু ও কিশোরী যৌন নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মহিলা পরিষদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৬ নারী ও কন্যাশিশু।
মহিলা পরিষদের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার ২৪০ নারী ও কন্যাশিশু। ফেব্রুয়ারিতে ২৩২ জন, মার্চে ২৪৯, এপ্রিলে ২৩৩, মে মাসে ৩০১, জুন মাসে ৩২৯, জুলাইয়ে ২৯৮ ও আগস্টে ২৭৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। সেপ্টেম্বর মাসে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৯ জনে। অক্টোবর মাসে ২১১ এবং নভেম্বর মাসে ১৯১ জন শিশু, কিশোরী ও নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, হত্যা, পারিবারিক সহিংসতা ও সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, গত ১১ মাসে নির্যাতনের ধরনে সবচেয়ে বেশি হয়েছে হত্যা। এর পরেই আছে ধর্ষণ। এমএসএফ এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ২৩১ টি। এর মধ্যে দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৭ জন নারী, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১৬ জন, ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ১১০ জন এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪৯ জন নারী। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন নারী। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭২ জন। অন্যদিকে ৪২ জন প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছে। আত্মহত্যা করেছেন ৫১২ জন নারী। অপহরণ করা হয়েছে ১৫ জনকে, নিখোঁজ রয়েছেন ২২ জন। গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত জটিলতা ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৫২টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৮৩ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।
দেশে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী নির্যাতন আইন সংশোধন করা হয়েছে। নারী সংক্রান্ত একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সনদ হলো সিডও। এই সনদের মূল বিষয়, নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ বা দূরীকরণ। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এই সনদে স্বাক্ষর করলেও দেশে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তারা পিতার সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন ক্ষেত্রবিশেষে। সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ‘অভিন্ন পারিবারিক আইন’ প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশের নারী অধিকার কর্মীরা। সিডও কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বৈবাহিক ধর্ষণের সংজ্ঞা এখনো আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন নারী অধিকার কর্মীরা। প্রতিবন্ধী নারী ও কন্যাশিশুরা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হলেও আইন অনুযায়ী বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নির্দেশনা নেই। বেশ কয়েকটি খসড়া প্রণয়নের পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সর্বস্তরে যৌন হয়রানি রোধে তেমন কোনো আইন প্রণয়ন লক্ষ্য করা যায় না। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে নির্দেশনা দিলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন নারী অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশে ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলির সহজলভ্যতা, ব্যবহারকারীদের অজ্ঞতা ও প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে আইনি পদক্ষেপের ফাঁক থাকায় নারীরা বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ইউনিটে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়ে ৩৪ হাজার ৬০৫ টি। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৯২। লিঙ্গভিত্তিক তুলনামূলক পরিসংখ্যানে সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের মধ্যে নারীর হার ৫৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ভুক্তভোগী নারীদের এই উচ্চ হার তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি করছে ব্যাপক মাত্রায়। অনলাইনে সহিংসতার শিকার নারীদের নিরাপত্তায় আইন থাকলেও, সাধারণ ক্রিমিনাল কোর্টে এসব অভিযোগের বিচার হওয়ায় নারীরা অভিযোগ এনেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পান না। আইনের ফাঁকে অনলাইনে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা। জরিপে পাওয়া তথ্য মতে, ভুক্তভোগীদের মধ্যে অভিযোগকারীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। জরিপে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার ৭টি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণগুলোর মধ্যে ২৪ শতাংশ ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাঁরা জানেন না কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হয়। এ ছাড়া, ২০ শতাংশ ভুক্তভোগী বিষয়টি গোপন রাখতে চান এবং আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উল্টো হয়রানির মধ্যে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ১৮ শতাংশ ভুক্তভোগী।
এমএসএফ এর পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সারা দেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও আদিবাসী নারীদের প্রতি সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতার ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও ভাঙচুর করা, বিভিন্ন কারণে উচ্ছেদ ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্বত্য আদিবাসী নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ২৪টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫টি ধর্ষণ,৪টি গণধর্ষণ ও ৫টি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা আছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৭ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৭ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১১ দিন আগে