তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
প্রথমবারের মতো ট্রেন ও লঞ্চে টিকিট কাটতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিন থেকেই এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। লঞ্চের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কিছুটা ঢিলেঢালা হলেও ট্রেনের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কী প্রক্রিয়ায় এনআইডির বিপরীতে টিকিট দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত নয়। যে এনআইডি দেখিয়ে টিকিট কেনা হবে, তা সঠিক কি না, বা সেটা ওই ব্যক্তির কি না, তা যাচাই করে দেখার ক্ষমতা রেলের নেই। ফলে ঘোষণা দেওয়া হলে এর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর বাইরে আরও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। সব মিলিয়ে এনআইডি ছাড়া টিকিট দেওয়া হবে না, রেল কর্তৃপক্ষের এই অনড় সিদ্ধান্ত যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারির আশঙ্কাও বাড়াবে।
পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বুধবার ২০ এপ্রিল থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে এবং ২৩ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এদিকে রেলের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অগ্রিম টিকিট কেনার সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তাঁর এনআইডি/জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে জমা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অপরের এনআইডির মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করে ভ্রমণ করলে ভ্রমণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে রেলওয়ে।
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, ‘টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন যাত্রী চারজনের টিকিট কাটতে পারেন, সে ক্ষেত্রে চারজনের এনআইডি দেখাতে হবে।’
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকিট কাটতে এনআইডি দেখাতে হবে। প্রশ্ন হলো, এনআইডি দেখালেই কি টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে? কারণ যে ব্যক্তি তাঁর এনআইডি দেখিয়ে প্রথমবার টিকিট নেবেন। সেই ব্যক্তি ইচ্ছা করলে একই দিনে তাঁর এনআইডি দিয়ে একাধিকবার টিকিট কিনতে পারবেন। কারণ, এনআইডির বিপরীতে যে টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেখানে কোনো প্রমাণ থাকছে না বা সিস্টেমে সঙ্গে সঙ্গে সেটি যাচাই করার কোনো উপায় থাকবে না। কারণ, যাত্রীর এনআইডির নম্বর রেলের সফটওয়্যারে যুক্ত করা হবে না। ফলে কার এনআইডি দিয়ে কে টিকিট নিচ্ছে, তা বোঝা সম্ভব না। ফলে এনআইডি জালিয়াতি করে টিকিট কালোবাজারির সুযোগ থেকে যাবে। টিকিট বুকিং সহকারীরা বলছেন, বর্তমানে একটা টিকিট দিতে ১০-২০ সেকেন্ড লাগে। আর এনআইডির ফটোকপি নেওয়ার সময় যদি কোনো রেজিস্টার করা হয়। তাহলে টিকিট দিতে দুই-তিন মিনিট লেগে যাবে।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা এনআইডি ও জন্মসনদ দেখাতে পারবে না, তারা আপাতত টিকিট কাটতে পারবে না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’
এনআইডি নিয়ে আগ্রহ নেই লঞ্চে
লঞ্চের যাত্রায় এ বছর যাত্রীদের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও ঈদযাত্রায় তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েও শঙ্কায় আছেন লঞ্চমালিকেরা। কারণ, লঞ্চের ডেকেই থাকে বেশি যাত্রী। আর ডেকের যাত্রীরা কখনো অগ্রিম টিকিট কাটেন না। তাঁরা যাত্রার আগে টিকিট কেটে লঞ্চে ওঠেন। ফলে তখন এত যাত্রীর এনআইডি দেখা সম্ভব হবে না।
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে উঠবে তাদের এনআইডি সংরক্ষণ করা কি সম্ভব, সেটা সম্ভব নয়। তবে বিআইডব্লিউটিএ আমাদের বলেছে এনআইডি নিয়েই যাত্রীদের টিকিট দিতে।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চে যাত্রীদের এনআইডি থাকার বিষয়টি শতভাগ কার্যকর করার চেষ্টা করছি। তবে ডেকের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার হয়তো পুরোপুরি সম্ভব হবে না। এতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ঈদের সময় সদরঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১৫০টি ডাবলডেকার লঞ্চ দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছেড়ে যায় এবং সমপরিমাণ লঞ্চ ফিরে আসে।
সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনআইডি দিয়ে টিকিট ইস্যু করার যে প্রক্রিয়া, সেটি জগাখিচুড়িতে পরিণত হবে। এত অল্প সময়ের সিদ্ধান্তে এনআইডিসহ টিকিট কাটতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। তা ছাড়া একটা এনআইডির বিপরীতে যে টিকিট ইস্যু করা হবে, সেগুলো যাচাই করার কোনো প্রক্রিয়া নেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। সে ক্ষেত্রে এনআইডি জালিয়াতি করে টিকিট কালোবাজারির বাড়তি সুযোগ তৈরি হবে।
প্রথমবারের মতো ট্রেন ও লঞ্চে টিকিট কাটতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিন থেকেই এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। লঞ্চের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কিছুটা ঢিলেঢালা হলেও ট্রেনের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কী প্রক্রিয়ায় এনআইডির বিপরীতে টিকিট দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত নয়। যে এনআইডি দেখিয়ে টিকিট কেনা হবে, তা সঠিক কি না, বা সেটা ওই ব্যক্তির কি না, তা যাচাই করে দেখার ক্ষমতা রেলের নেই। ফলে ঘোষণা দেওয়া হলে এর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর বাইরে আরও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। সব মিলিয়ে এনআইডি ছাড়া টিকিট দেওয়া হবে না, রেল কর্তৃপক্ষের এই অনড় সিদ্ধান্ত যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারির আশঙ্কাও বাড়াবে।
পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বুধবার ২০ এপ্রিল থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে এবং ২৩ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এদিকে রেলের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অগ্রিম টিকিট কেনার সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তাঁর এনআইডি/জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে জমা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অপরের এনআইডির মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করে ভ্রমণ করলে ভ্রমণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে রেলওয়ে।
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, ‘টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন যাত্রী চারজনের টিকিট কাটতে পারেন, সে ক্ষেত্রে চারজনের এনআইডি দেখাতে হবে।’
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকিট কাটতে এনআইডি দেখাতে হবে। প্রশ্ন হলো, এনআইডি দেখালেই কি টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে? কারণ যে ব্যক্তি তাঁর এনআইডি দেখিয়ে প্রথমবার টিকিট নেবেন। সেই ব্যক্তি ইচ্ছা করলে একই দিনে তাঁর এনআইডি দিয়ে একাধিকবার টিকিট কিনতে পারবেন। কারণ, এনআইডির বিপরীতে যে টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেখানে কোনো প্রমাণ থাকছে না বা সিস্টেমে সঙ্গে সঙ্গে সেটি যাচাই করার কোনো উপায় থাকবে না। কারণ, যাত্রীর এনআইডির নম্বর রেলের সফটওয়্যারে যুক্ত করা হবে না। ফলে কার এনআইডি দিয়ে কে টিকিট নিচ্ছে, তা বোঝা সম্ভব না। ফলে এনআইডি জালিয়াতি করে টিকিট কালোবাজারির সুযোগ থেকে যাবে। টিকিট বুকিং সহকারীরা বলছেন, বর্তমানে একটা টিকিট দিতে ১০-২০ সেকেন্ড লাগে। আর এনআইডির ফটোকপি নেওয়ার সময় যদি কোনো রেজিস্টার করা হয়। তাহলে টিকিট দিতে দুই-তিন মিনিট লেগে যাবে।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা এনআইডি ও জন্মসনদ দেখাতে পারবে না, তারা আপাতত টিকিট কাটতে পারবে না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’
এনআইডি নিয়ে আগ্রহ নেই লঞ্চে
লঞ্চের যাত্রায় এ বছর যাত্রীদের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও ঈদযাত্রায় তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েও শঙ্কায় আছেন লঞ্চমালিকেরা। কারণ, লঞ্চের ডেকেই থাকে বেশি যাত্রী। আর ডেকের যাত্রীরা কখনো অগ্রিম টিকিট কাটেন না। তাঁরা যাত্রার আগে টিকিট কেটে লঞ্চে ওঠেন। ফলে তখন এত যাত্রীর এনআইডি দেখা সম্ভব হবে না।
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে উঠবে তাদের এনআইডি সংরক্ষণ করা কি সম্ভব, সেটা সম্ভব নয়। তবে বিআইডব্লিউটিএ আমাদের বলেছে এনআইডি নিয়েই যাত্রীদের টিকিট দিতে।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চে যাত্রীদের এনআইডি থাকার বিষয়টি শতভাগ কার্যকর করার চেষ্টা করছি। তবে ডেকের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার হয়তো পুরোপুরি সম্ভব হবে না। এতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ঈদের সময় সদরঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১৫০টি ডাবলডেকার লঞ্চ দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছেড়ে যায় এবং সমপরিমাণ লঞ্চ ফিরে আসে।
সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনআইডি দিয়ে টিকিট ইস্যু করার যে প্রক্রিয়া, সেটি জগাখিচুড়িতে পরিণত হবে। এত অল্প সময়ের সিদ্ধান্তে এনআইডিসহ টিকিট কাটতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। তা ছাড়া একটা এনআইডির বিপরীতে যে টিকিট ইস্যু করা হবে, সেগুলো যাচাই করার কোনো প্রক্রিয়া নেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। সে ক্ষেত্রে এনআইডি জালিয়াতি করে টিকিট কালোবাজারির বাড়তি সুযোগ তৈরি হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে