অরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সড়ক খুঁড়ে দুটি নালা নির্মাণের কথা বলে ভবনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক মুন্সির বিরুদ্ধে। দেড় বছর ধরে কয়েক কিলোমিটার সড়ক কেটে নালার কাজ চললেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় মাটির নিচ দিয়ে পাইপের নালা নির্মাণের জন্য ভবনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যে বাড়ির মালিকের ১ শতাংশ জমি আছে নালার জন্য তাঁকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। আর যাঁর বাড়ি ৫ শতাংশের মধ্যে তাঁর কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এভাবে আশুলিয়ার কাঠগড়া, দক্ষিণ গাজিরচটের মুন্সিপাড়া, পশ্চিমপাড়া, বটতলা, আয়নাল মার্কেট, হক মার্কেট, শেরআলী মার্কেট, চিত্রশাইল ও মানিকগঞ্জপাড়াসহ আশপাশের এলাকার ভবনমালিকদের থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে।
তবে চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে এনামুল হক মুন্সির দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি নালার কাজ করছেন। এ পর্যন্ত কত টাকা আদায় করা হয়েছে, সে তথ্য তিনি দিতে চাননি। আর উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেছেন, সড়ক কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়ার কথা মনে পড়ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর দেড়েক আগে সরকারি অর্থায়নে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের আলাউদ্দিনের মোড় থেকে ধনঞ্জয়পুর কমিউনিটি ক্লিনিক হয়ে পাশের ইয়ারপুর ইউনিয়নের চিত্রশাইল গ্রামের কুইক ফ্যাশনস পর্যন্ত সড়ক পাকা করা হয়। এরপর সেখানে নালা করতে এনামুলের লোকজনের চাঁদা আদায় শুরু হয়। সড়ক খুঁড়ে ওই পোশাক কারখানা থেকে বাইপাইলের নলীরপাড় খাল পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ নালা নির্মাণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ধনঞ্জয়পুর কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম বলেন, এনামুলের লোকদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি।চিত্রশাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি নিজে ১৫ হাজার ও প্রতিবেশীদের কাছে থেকে আরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন। আরও ৩২ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে।
বারেক মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, এখানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা না থাকলেও ড্রেন বা অন্য কোনো অবকাঠামোর কথা বলে জোর করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।
কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ আরেকটি নালা নির্মাণ করা হচ্ছে কুইক ফ্যাশনস থেকে চিত্রশাইল হয়ে মানিকগঞ্জপাড়ার পাশে নয়নজুলি খাল পর্যন্ত। কয়েক শ ফুট কাজ বাকি আছে। এ অংশে সড়ক পাকার কাজ করছে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়া বলেন, পরিষদের টাকায় সড়ক পাকা করা হচ্ছে। সেখানে নালা নির্মাণ করছেন এনামুল হক মুন্সি। এটি সরকারি নাকি মানুষের টাকায়, তা তাঁর জানা নেই।
এ প্রসঙ্গে এনামুল হক মুন্সি বলেন, ‘ড্রেনের অভাবে এলাকার লোকজন কষ্ট করছিলেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকত। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে সরকারি বরাদ্দের দিকে না তাকিয়ে বাড়ির মালিকদের টাকায় ড্রেন নির্মাণ করে দিচ্ছি।’
স্থানীয় একটি বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে এনামুলের লোক মো. সোহেল ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন তিনি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করছেন। টাকা জোগাড় করতে না পারায় নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছেন।
যোগাযোগ করা হলে মো. সোহেল নিজেকে এনামুল হক মুন্সির ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে বলেন, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল্লায় নালা নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। গত এক বছরে নালা নির্মাণের জন্য তিনি প্রায় ৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন।
নালা দুটির বিষয়ে জানেন না সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য। তিনি বলেন, যে দুটি নালার কথা বলা হচ্ছে, তা খুবই বড় প্রকল্প। মানুষের টাকায় এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা নয়। অন্যদিকে সড়ক কেটে ব্যক্তি উদ্যোগে কোনো নালা নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কাউকে অনুমতি দেওয়ার কথাও মনে পড়ছে না। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সড়ক খুঁড়ে দুটি নালা নির্মাণের কথা বলে ভবনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক মুন্সির বিরুদ্ধে। দেড় বছর ধরে কয়েক কিলোমিটার সড়ক কেটে নালার কাজ চললেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় মাটির নিচ দিয়ে পাইপের নালা নির্মাণের জন্য ভবনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যে বাড়ির মালিকের ১ শতাংশ জমি আছে নালার জন্য তাঁকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। আর যাঁর বাড়ি ৫ শতাংশের মধ্যে তাঁর কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এভাবে আশুলিয়ার কাঠগড়া, দক্ষিণ গাজিরচটের মুন্সিপাড়া, পশ্চিমপাড়া, বটতলা, আয়নাল মার্কেট, হক মার্কেট, শেরআলী মার্কেট, চিত্রশাইল ও মানিকগঞ্জপাড়াসহ আশপাশের এলাকার ভবনমালিকদের থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে।
তবে চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে এনামুল হক মুন্সির দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি নালার কাজ করছেন। এ পর্যন্ত কত টাকা আদায় করা হয়েছে, সে তথ্য তিনি দিতে চাননি। আর উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেছেন, সড়ক কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়ার কথা মনে পড়ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর দেড়েক আগে সরকারি অর্থায়নে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের আলাউদ্দিনের মোড় থেকে ধনঞ্জয়পুর কমিউনিটি ক্লিনিক হয়ে পাশের ইয়ারপুর ইউনিয়নের চিত্রশাইল গ্রামের কুইক ফ্যাশনস পর্যন্ত সড়ক পাকা করা হয়। এরপর সেখানে নালা করতে এনামুলের লোকজনের চাঁদা আদায় শুরু হয়। সড়ক খুঁড়ে ওই পোশাক কারখানা থেকে বাইপাইলের নলীরপাড় খাল পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ নালা নির্মাণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ধনঞ্জয়পুর কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম বলেন, এনামুলের লোকদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি।চিত্রশাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি নিজে ১৫ হাজার ও প্রতিবেশীদের কাছে থেকে আরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন। আরও ৩২ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে।
বারেক মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, এখানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা না থাকলেও ড্রেন বা অন্য কোনো অবকাঠামোর কথা বলে জোর করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।
কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ আরেকটি নালা নির্মাণ করা হচ্ছে কুইক ফ্যাশনস থেকে চিত্রশাইল হয়ে মানিকগঞ্জপাড়ার পাশে নয়নজুলি খাল পর্যন্ত। কয়েক শ ফুট কাজ বাকি আছে। এ অংশে সড়ক পাকার কাজ করছে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়া বলেন, পরিষদের টাকায় সড়ক পাকা করা হচ্ছে। সেখানে নালা নির্মাণ করছেন এনামুল হক মুন্সি। এটি সরকারি নাকি মানুষের টাকায়, তা তাঁর জানা নেই।
এ প্রসঙ্গে এনামুল হক মুন্সি বলেন, ‘ড্রেনের অভাবে এলাকার লোকজন কষ্ট করছিলেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকত। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে সরকারি বরাদ্দের দিকে না তাকিয়ে বাড়ির মালিকদের টাকায় ড্রেন নির্মাণ করে দিচ্ছি।’
স্থানীয় একটি বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে এনামুলের লোক মো. সোহেল ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন তিনি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করছেন। টাকা জোগাড় করতে না পারায় নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছেন।
যোগাযোগ করা হলে মো. সোহেল নিজেকে এনামুল হক মুন্সির ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে বলেন, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল্লায় নালা নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। গত এক বছরে নালা নির্মাণের জন্য তিনি প্রায় ৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন।
নালা দুটির বিষয়ে জানেন না সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য। তিনি বলেন, যে দুটি নালার কথা বলা হচ্ছে, তা খুবই বড় প্রকল্প। মানুষের টাকায় এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা নয়। অন্যদিকে সড়ক কেটে ব্যক্তি উদ্যোগে কোনো নালা নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কাউকে অনুমতি দেওয়ার কথাও মনে পড়ছে না। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে