দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক
আদানি পাওয়ারসহ ভারতের বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে পাওয়া বকেয়া আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোম্পানিগুলো ক্রমাগত বাংলাদেশ সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান বকেয়া আদায়ে চাপ বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে সব পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আদানিসহ ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি পর্যালোচনাও চলছে সমানতালে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান দ্য হিন্দু বিজনেসলাইনকে বলেন, ‘সব পাওনাদারদের বকেয়া একটি পরিকল্পনা অনুসারে পরিশোধ করা হচ্ছে।’
আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে কি না, এ প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘উচ্চ আদালত একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করেছে, যাতে সরকারের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। আদালত ১১টি চুক্তি নিয়ে তদন্ত করছে, যার মধ্যে আদানি পাওয়ারের চুক্তিও আছে। আদালত মনে করছে যে, বাড়তি কিছু সুবিধা (আদানি পাওয়ারকে) প্রদান করা হয়েছে।’
আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, তারা এই তদন্ত সম্পর্কে অবগত, তবে এখনো কোনো সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি। এদিকে, কয়েক দিন আগে, ঢাকা আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) দিয়েছে বা বকেয়া পরিশোধ করেছে। এর আগে, চাপ প্রয়োগের কৌশল কৌশল হিসেবে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় পাওনা পরিশোধের জন্য।
আদানি সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাওনা পরিশোধ করতে চায়। তবে প্রাথমিকভাবে আরও প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে ঢাকা। কারণ, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর চুক্তির অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার বেশির ভাগ প্রকল্প চুক্তিই স্বাক্ষর করেছিল কুইক এনহেন্সমেন্ট অ্যাক্ট অব বাংলাদেশ-২০১০ নামের বিশেষ আইনের অধীনে। এ আইনটির লক্ষ্য ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের কার্যকর ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করা, যাতে বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলে এসব চুক্তির কিছু পর্যালোচনা প্রয়োজন হবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
আদানি পাওয়ার ছাড়াও বাংলাদেশের কাছে পাওনা আদায়ে সমস্যায় থাকা অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎ রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে এসইআইএল, এনার্জি ইন্ডিয়া ও পিটিসি। এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষই জানিয়েছে, বিপিডিবি ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছে। ভারতীয় কিছু কোম্পানি—বিশেষত আদানি—বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধের হুমকি দিলেও এ বিষয়ে অবগত এক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা কঠিন।
বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮৫০ মিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ কিছু অর্থ পরিশোধ করেছে এরই মধ্যে। এ ছাড়া, এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়া এরই মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, তবে এখনো ১৮০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া আছে।
আদানির ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা ছিল। সেখানে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থাকলেও বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে ৫০০-৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া, এসইআইএল এনার্জি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত তাদের প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ২৫০ মেগাওয়াট এবং পিটিসির মাধ্যমে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
আরো পড়ুন:
আদানির বকেয়া পরিশোধে হাসিনা সরকারকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল ভারত
বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ সত্ত্বেও সরবরাহ আরও কমাল আদানি
অসম চুক্তি: কয়লার দাম ৩০০০ কোটি টাকা বেশি নিয়েছে আদানি
আদানির বকেয়া ১৭ কোটি ডলার এ মাসেই পরিশোধ করবে সরকার
বকেয়া বিল: ৭ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যুৎ বন্ধ, আদানির আলটিমেটাম
আদানি পাওয়ারসহ ভারতের বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে পাওয়া বকেয়া আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোম্পানিগুলো ক্রমাগত বাংলাদেশ সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান বকেয়া আদায়ে চাপ বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে সব পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আদানিসহ ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি পর্যালোচনাও চলছে সমানতালে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান দ্য হিন্দু বিজনেসলাইনকে বলেন, ‘সব পাওনাদারদের বকেয়া একটি পরিকল্পনা অনুসারে পরিশোধ করা হচ্ছে।’
আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে কি না, এ প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘উচ্চ আদালত একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করেছে, যাতে সরকারের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। আদালত ১১টি চুক্তি নিয়ে তদন্ত করছে, যার মধ্যে আদানি পাওয়ারের চুক্তিও আছে। আদালত মনে করছে যে, বাড়তি কিছু সুবিধা (আদানি পাওয়ারকে) প্রদান করা হয়েছে।’
আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, তারা এই তদন্ত সম্পর্কে অবগত, তবে এখনো কোনো সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি। এদিকে, কয়েক দিন আগে, ঢাকা আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) দিয়েছে বা বকেয়া পরিশোধ করেছে। এর আগে, চাপ প্রয়োগের কৌশল কৌশল হিসেবে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় পাওনা পরিশোধের জন্য।
আদানি সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাওনা পরিশোধ করতে চায়। তবে প্রাথমিকভাবে আরও প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে ঢাকা। কারণ, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর চুক্তির অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার বেশির ভাগ প্রকল্প চুক্তিই স্বাক্ষর করেছিল কুইক এনহেন্সমেন্ট অ্যাক্ট অব বাংলাদেশ-২০১০ নামের বিশেষ আইনের অধীনে। এ আইনটির লক্ষ্য ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের কার্যকর ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করা, যাতে বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলে এসব চুক্তির কিছু পর্যালোচনা প্রয়োজন হবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
আদানি পাওয়ার ছাড়াও বাংলাদেশের কাছে পাওনা আদায়ে সমস্যায় থাকা অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎ রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে এসইআইএল, এনার্জি ইন্ডিয়া ও পিটিসি। এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষই জানিয়েছে, বিপিডিবি ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছে। ভারতীয় কিছু কোম্পানি—বিশেষত আদানি—বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধের হুমকি দিলেও এ বিষয়ে অবগত এক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা কঠিন।
বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮৫০ মিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ কিছু অর্থ পরিশোধ করেছে এরই মধ্যে। এ ছাড়া, এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়া এরই মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, তবে এখনো ১৮০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া আছে।
আদানির ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা ছিল। সেখানে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থাকলেও বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে ৫০০-৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া, এসইআইএল এনার্জি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত তাদের প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ২৫০ মেগাওয়াট এবং পিটিসির মাধ্যমে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
আরো পড়ুন:
আদানির বকেয়া পরিশোধে হাসিনা সরকারকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল ভারত
বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ সত্ত্বেও সরবরাহ আরও কমাল আদানি
অসম চুক্তি: কয়লার দাম ৩০০০ কোটি টাকা বেশি নিয়েছে আদানি
আদানির বকেয়া ১৭ কোটি ডলার এ মাসেই পরিশোধ করবে সরকার
বকেয়া বিল: ৭ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যুৎ বন্ধ, আদানির আলটিমেটাম
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৩ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
৮ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগে