মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
নারী উদ্যোক্তা রাইসা রফিক সুলগ্না, থাকেন রাজশাহীতে। ছোটবেলা থেকেই রং নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন। রঙের বিষয়ে প্রথম হাতেখড়ি মায়ের কাছে। সেই থেকে মায়ের সঙ্গে নিজের পরিধেয় জামা, ঘরের ব্যবহারের জিনিসপত্র রং দিয়ে রঙিন করে তুলতেন। রঙের প্রতি ভালোবাসা থেকে পড়ালেখা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে।
সুলগ্না রং ও তুলিতে হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িও করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘তখন সবেমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তি হয়েছি। থাকতাম নিবেদিতা হোস্টেলে। সে বছর হলের দুজন আপু আমার কাছে হ্যান্ড পেইন্টের দুইটা শাড়ি অর্ডার করেন। পরে তাঁদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন আপু শাড়ি অর্ডার করেন। মনে আছে, সেবার আমি এক রাতে ৯টি শাড়িতে আলপনা এঁকে দিয়েছিলাম। আর আমার হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িগুলো সবাই অনেক পছন্দও করেছিল। শাড়ি ছাড়াও আমার হাতে আঁকা মাটির সরাও সে সময় অনেকে পছন্দ করেছিল।’
সুলগ্না উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সংসারজীবন শুরুর আগে থেকে। বিয়ের পর স্বামী মো. রিয়াদ উদ্দিনও উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিতেন। তবে সংসারজীবনের কাজের চাপে একপর্যায়ে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান। পারিবারিক কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন সুলগ্না।
২০২১ সালে সুলগ্নার জীবনে নেমে আসে ভীষণ এক ঝড়। হঠাৎ স্বামীর হার্ট অ্যাটাকের কারণে অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হন তিনি। দুই সন্তান নিয়ে ভাবতে থাকেন কীভাবে কাজ শুরু করবেন। ঠিক সে সময় তাঁর মাথায় আসে উদ্যোক্তা হওয়ার সেই পুরোনো স্বপ্ন। স্বপ্নপূরণে শুরু হয় যুদ্ধ। সুলগ্না সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। একপর্যায়ে উদ্যোক্তার কাজ শুরুর অংশ হিসেবে বায়োকেমিস্ট মামা মনিরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা দেন ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’-এর রঙিন সাবান প্রস্তুত করার জন্য।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে সুলগ্না বলেন, ‘আমি রাত জেগে হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি করতাম। আমার স্বামী এই শাড়ি দেখে বলেন, “তোমার হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হচ্ছে। ছোট করে হলেও তোমার নিজের একটা ব্যবসা শুরু করা উচিত। তুমি বড় পরিসরে তোমার কাজ শুরু করো। এতে দিন শেষে কাজ করে শান্তি পাবে। অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে হয়তো মাস শেষে টাকা আসবে; কিন্তু নিজের স্বপ্ন আর পূরণ হবে না। নিজের স্বপ্নপূরণে নিজেই উদ্যোগী হও। তুমি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করো, আমি পাশে থাকব।”’
অনেক চিন্তার পর সুলগ্না সিদ্ধান্ত নেন, রঙিন সাবান দিয়ে শুরু করবেন অনলাইন ব্যবসা। যে চিন্তা করলেন, সেই কাজ। নিজের তৈরি করা পণ্য রঙিন সাবান সম্পর্কে সুলগ্না বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে রং নিয়ে খেলা করতে পছন্দ করতাম। আর এখন রং নিয়ে খেলা করা আমার প্রতিদিনের কাজ। আমার সাম্প্রতিক সাড়াজাগানো একটা পণ্য হলো ব্রাশ দিয়ে করা দৃষ্টিনন্দন রঙিন সাবান। এর রং, গন্ধ ও কারুকাজ সবাইকে মুগ্ধ করবে। হ্যান্ড মেইড সাবান বাংলাদেশে অনেকে তৈরি করেন। কিন্তু হ্যান্ড মেইড রঙিন সাবান আমরাই প্রথম বানিয়েছি। হ্যান্ড মেইড সাবান ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এই সাবানে আছে নারকেল তেল, যা ত্বকের দাগ, বলিরেখা দূর করে। এ ছাড়া এ সাবানে থাকা অন্য উপাদান; যেমন ক্যাস্টর অয়েল, জলপাই তেল ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ধরে রাখে ত্বকের কোমলতাও। এ রঙিন সাবান শতভাগ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি।’
এত কিছু থাকতে রঙিন সাবান নিয়ে কাজ করছেন কেন জানতে চাইলে সুলগ্না বলেন, ‘আমি রঙিন সাবান নিয়ে কাজ করছি কারণ, বর্তমান যুগে রং ফরসাকারী পণ্যের পেছনে ঝুঁকে পড়ছেন সবাই, যা ত্বকের ক্ষতি করছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় ত্বকের যত্ন না করে আমরা রং ফরসাকারী ক্ষতিকর প্রসাধন সামগ্রীই ব্যবহার করছি বেশি। এতে ত্বক তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে। এ ছাড়া ত্বকের যত্নের বিষয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা কাজ করে। ত্বকের যত্নের প্রক্রিয়া হবে খুব সহজ একটা বিষয়ের মতো, যা সব সময় সবাই মেনে চলতে পারবে। ত্বকের জন্য এমন কিছু ব্যবহার করা উচিত হবে না, যা তিন দিন বা এক মাস ব্যবহারে ত্বক শুধু ফরসা হবে। এসব পণ্য ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। আমার মনে হয় ত্বক ভালো রাখার প্রথম ধাপ হলো ত্বকের যত্ন বা ত্বক পরিষ্কার রাখা। তাই আমি চেয়েছি এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে, যা ত্বকের সমস্যাগুলো দূর করবে, আর সবার ব্যবহারোপযোগী হবে। তাই সাবান নিয়ে কাজ শুরু করা। এ ছাড়া কেউ কোনো কিছু ব্যবহার করুক আর না করুক, সাবান কিন্তু প্রত্যেকে ব্যবহার করবে। হ্যান্ড মেইড সাবান কিন্তু সারা পৃথিবীতেই জনপ্রিয়।’
বাংলাদেশের একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ বায়োকেমিস্ট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয় ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’-এর এই সাবান। মনিরুল ইসলাম সম্পর্কে সুলগ্নার মামা। দীর্ঘ দুই বছর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যবহারের পর সাবান তৈরির কাজ চূড়ান্ত করা হয়। ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’ সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানের মধ্যে রয়েছে নারকেলের তেল, জোজোবা অয়েল (প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বকের ভেতর থেকে আর্দ্রতা জোগায়), আলমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, পাম অয়েল, রাইস ব্র্যান অয়েল, সান ফ্লাওয়ার অয়েল ও প্রাকৃতিক রং।
সুলগ্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁর মা-ও। ড্যাজেল ডেজ-এর ফেসবুক পাতায় নতুন সংযোজন হয়েছে সুলগ্নার মায়ের তৈরি ভিন্ন স্বাদের কাঁচা মরিচের আচার এবং কাঁচা রসুন ও তেঁতুলের আচার।
এখন যুগ পাল্টেছে। নারীরা ঘরের বাইরে যাচ্ছেন। অফিস, আদালত, চাকরি, ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন, যা করোনাকালের আগে তেমন চোখে পড়েনি। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঋণসহ উদ্যোক্তা তৈরির কাজে সহযোগিতা করছে। ‘নারী এবং উদ্যোক্তা’ এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সুলগ্না বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে, আমি পারব। নিজের স্বপ্ন পূরণে নারীকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। তাহলে কোনো বাধা নারীর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না। আর পরিবার যদি পাশে থাকে, তাহলে তো সমাজের কোনো বাধাকে পথের কাঁটা মনে হবে না।’
গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অধীনে ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’ নিবন্ধিত হয়েছে। এটা ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’ পরিবারের জন্য আনন্দের সংবাদ। ভবিষ্যতের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসা রফিক সুলগ্না বলেন, ‘যাঁরা অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করতে চাই। অ্যাসিড হামলার কারণে যাঁদের ত্বকের সার্জারি করা হয়েছে, তাঁদের কাছে রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে আমার তৈরি সাবান নিয়ে যেতে চাই। যে সাবান তাঁরা নির্ভয়ে, আনন্দের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন। তাঁদের আস্থার জায়গাটুকু অর্জন করে নেবে আমার ড্যাজেল ডেজ মার্ট-এর রঙিন সাবান।’
নারী উদ্যোক্তা রাইসা রফিক সুলগ্না, থাকেন রাজশাহীতে। ছোটবেলা থেকেই রং নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন। রঙের বিষয়ে প্রথম হাতেখড়ি মায়ের কাছে। সেই থেকে মায়ের সঙ্গে নিজের পরিধেয় জামা, ঘরের ব্যবহারের জিনিসপত্র রং দিয়ে রঙিন করে তুলতেন। রঙের প্রতি ভালোবাসা থেকে পড়ালেখা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে।
সুলগ্না রং ও তুলিতে হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িও করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘তখন সবেমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তি হয়েছি। থাকতাম নিবেদিতা হোস্টেলে। সে বছর হলের দুজন আপু আমার কাছে হ্যান্ড পেইন্টের দুইটা শাড়ি অর্ডার করেন। পরে তাঁদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন আপু শাড়ি অর্ডার করেন। মনে আছে, সেবার আমি এক রাতে ৯টি শাড়িতে আলপনা এঁকে দিয়েছিলাম। আর আমার হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িগুলো সবাই অনেক পছন্দও করেছিল। শাড়ি ছাড়াও আমার হাতে আঁকা মাটির সরাও সে সময় অনেকে পছন্দ করেছিল।’
সুলগ্না উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সংসারজীবন শুরুর আগে থেকে। বিয়ের পর স্বামী মো. রিয়াদ উদ্দিনও উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিতেন। তবে সংসারজীবনের কাজের চাপে একপর্যায়ে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান। পারিবারিক কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন সুলগ্না।
২০২১ সালে সুলগ্নার জীবনে নেমে আসে ভীষণ এক ঝড়। হঠাৎ স্বামীর হার্ট অ্যাটাকের কারণে অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হন তিনি। দুই সন্তান নিয়ে ভাবতে থাকেন কীভাবে কাজ শুরু করবেন। ঠিক সে সময় তাঁর মাথায় আসে উদ্যোক্তা হওয়ার সেই পুরোনো স্বপ্ন। স্বপ্নপূরণে শুরু হয় যুদ্ধ। সুলগ্না সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। একপর্যায়ে উদ্যোক্তার কাজ শুরুর অংশ হিসেবে বায়োকেমিস্ট মামা মনিরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা দেন ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’-এর রঙিন সাবান প্রস্তুত করার জন্য।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে সুলগ্না বলেন, ‘আমি রাত জেগে হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি করতাম। আমার স্বামী এই শাড়ি দেখে বলেন, “তোমার হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হচ্ছে। ছোট করে হলেও তোমার নিজের একটা ব্যবসা শুরু করা উচিত। তুমি বড় পরিসরে তোমার কাজ শুরু করো। এতে দিন শেষে কাজ করে শান্তি পাবে। অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে হয়তো মাস শেষে টাকা আসবে; কিন্তু নিজের স্বপ্ন আর পূরণ হবে না। নিজের স্বপ্নপূরণে নিজেই উদ্যোগী হও। তুমি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করো, আমি পাশে থাকব।”’
অনেক চিন্তার পর সুলগ্না সিদ্ধান্ত নেন, রঙিন সাবান দিয়ে শুরু করবেন অনলাইন ব্যবসা। যে চিন্তা করলেন, সেই কাজ। নিজের তৈরি করা পণ্য রঙিন সাবান সম্পর্কে সুলগ্না বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে রং নিয়ে খেলা করতে পছন্দ করতাম। আর এখন রং নিয়ে খেলা করা আমার প্রতিদিনের কাজ। আমার সাম্প্রতিক সাড়াজাগানো একটা পণ্য হলো ব্রাশ দিয়ে করা দৃষ্টিনন্দন রঙিন সাবান। এর রং, গন্ধ ও কারুকাজ সবাইকে মুগ্ধ করবে। হ্যান্ড মেইড সাবান বাংলাদেশে অনেকে তৈরি করেন। কিন্তু হ্যান্ড মেইড রঙিন সাবান আমরাই প্রথম বানিয়েছি। হ্যান্ড মেইড সাবান ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এই সাবানে আছে নারকেল তেল, যা ত্বকের দাগ, বলিরেখা দূর করে। এ ছাড়া এ সাবানে থাকা অন্য উপাদান; যেমন ক্যাস্টর অয়েল, জলপাই তেল ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ধরে রাখে ত্বকের কোমলতাও। এ রঙিন সাবান শতভাগ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি।’
এত কিছু থাকতে রঙিন সাবান নিয়ে কাজ করছেন কেন জানতে চাইলে সুলগ্না বলেন, ‘আমি রঙিন সাবান নিয়ে কাজ করছি কারণ, বর্তমান যুগে রং ফরসাকারী পণ্যের পেছনে ঝুঁকে পড়ছেন সবাই, যা ত্বকের ক্ষতি করছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় ত্বকের যত্ন না করে আমরা রং ফরসাকারী ক্ষতিকর প্রসাধন সামগ্রীই ব্যবহার করছি বেশি। এতে ত্বক তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে। এ ছাড়া ত্বকের যত্নের বিষয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা কাজ করে। ত্বকের যত্নের প্রক্রিয়া হবে খুব সহজ একটা বিষয়ের মতো, যা সব সময় সবাই মেনে চলতে পারবে। ত্বকের জন্য এমন কিছু ব্যবহার করা উচিত হবে না, যা তিন দিন বা এক মাস ব্যবহারে ত্বক শুধু ফরসা হবে। এসব পণ্য ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। আমার মনে হয় ত্বক ভালো রাখার প্রথম ধাপ হলো ত্বকের যত্ন বা ত্বক পরিষ্কার রাখা। তাই আমি চেয়েছি এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে, যা ত্বকের সমস্যাগুলো দূর করবে, আর সবার ব্যবহারোপযোগী হবে। তাই সাবান নিয়ে কাজ শুরু করা। এ ছাড়া কেউ কোনো কিছু ব্যবহার করুক আর না করুক, সাবান কিন্তু প্রত্যেকে ব্যবহার করবে। হ্যান্ড মেইড সাবান কিন্তু সারা পৃথিবীতেই জনপ্রিয়।’
বাংলাদেশের একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ বায়োকেমিস্ট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয় ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’-এর এই সাবান। মনিরুল ইসলাম সম্পর্কে সুলগ্নার মামা। দীর্ঘ দুই বছর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যবহারের পর সাবান তৈরির কাজ চূড়ান্ত করা হয়। ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’ সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানের মধ্যে রয়েছে নারকেলের তেল, জোজোবা অয়েল (প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বকের ভেতর থেকে আর্দ্রতা জোগায়), আলমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, পাম অয়েল, রাইস ব্র্যান অয়েল, সান ফ্লাওয়ার অয়েল ও প্রাকৃতিক রং।
সুলগ্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁর মা-ও। ড্যাজেল ডেজ-এর ফেসবুক পাতায় নতুন সংযোজন হয়েছে সুলগ্নার মায়ের তৈরি ভিন্ন স্বাদের কাঁচা মরিচের আচার এবং কাঁচা রসুন ও তেঁতুলের আচার।
এখন যুগ পাল্টেছে। নারীরা ঘরের বাইরে যাচ্ছেন। অফিস, আদালত, চাকরি, ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন, যা করোনাকালের আগে তেমন চোখে পড়েনি। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঋণসহ উদ্যোক্তা তৈরির কাজে সহযোগিতা করছে। ‘নারী এবং উদ্যোক্তা’ এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সুলগ্না বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে, আমি পারব। নিজের স্বপ্ন পূরণে নারীকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। তাহলে কোনো বাধা নারীর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না। আর পরিবার যদি পাশে থাকে, তাহলে তো সমাজের কোনো বাধাকে পথের কাঁটা মনে হবে না।’
গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অধীনে ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’ নিবন্ধিত হয়েছে। এটা ‘ড্যাজেল ডেজ মার্ট’ পরিবারের জন্য আনন্দের সংবাদ। ভবিষ্যতের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসা রফিক সুলগ্না বলেন, ‘যাঁরা অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করতে চাই। অ্যাসিড হামলার কারণে যাঁদের ত্বকের সার্জারি করা হয়েছে, তাঁদের কাছে রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে আমার তৈরি সাবান নিয়ে যেতে চাই। যে সাবান তাঁরা নির্ভয়ে, আনন্দের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন। তাঁদের আস্থার জায়গাটুকু অর্জন করে নেবে আমার ড্যাজেল ডেজ মার্ট-এর রঙিন সাবান।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৩ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
৮ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগে